যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৭

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা- বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’ সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত মন্তব্যে সর্বশেষ যা লিখেছে তা হলো, “রূপক অর্থে আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন আখ্যায়িত করা কুরআনের সাথে জঘন্য ধরনের উপহাস। কেননা …… আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম সম্পর্কে এমন সব গালি-গালাজ লিখা হয় যা কোন ভদ্রতা ও শালীনতার আওতায় পড়ে না। উক্ত পত্রিকায় শাইখুল হাদীছ, মাসিক মদীনার সম্পাদক, চরমোনাইয়ের পীর …… হাটহাজারীর মোহতামিম প্রমুখ দেশবরেণ্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় নায়িবে রসূলগণকে যেসব কুৎসিত গালি দেয়া হয়েছে। তার কয়েকটি নিম্নরূপঃ উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধির ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোঁকাবাজ, ভ-, জাহিল, গোমরাহ, কায্যাব, কমীনী, যিনাখোর, নফসের পূজারী, মালউন ইত্যাদি।”

“মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব”

কায্যাবুদ্দীনের মতে যে পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম ও নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়, সে পত্রিকা আবার বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ হয় কি করে? কুরআন শরীফ-এ কি এরূপ গালি-গালাজ উল্লেখ আছে?

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত বক্তব্য দ্বারা আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি দু’টি মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। (১) আল বাইয়্যিনাতে গালি-গালাজ লিখা হয়। (২) উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ)

পূর্ব প্রকাশিতের পর

অতএব, কায্যাবুদ্দীন আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর প্রতি মিথ্যা তোহমত দিয়েছে যে, ‘আল বাইয়্যিনাতে গালি-গালাজ লেখা হয়’- তা মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, কল্পনাপ্রসূত ও জিহালতপূর্ণ বলে প্রমাণিত হলো। আল বাইয়্যিনাত শরীফে কারো হক্ব সমালোচনা করতে গিয়ে যে বিশেষণগুলো প্রকাশ করা হয় তাও সঠিক এবং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ সম্মত। মিথ্যা ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ বিরোধী কোন বিশেষণ আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ প্রকাশ করা হয়না। এ ব্যাপারে কায্যাবুদ্দীন গংদের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল যদি তাদের ক্ষমতা, সৎ সাহস ও ইলমের জোর থাকে তবে যেন কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দলীল দ্বারা লিখিতভাবে প্রমাণ করে যে, আল বাইয়্যিনাতে তার কথিত নায়িবদের ক্ষেত্রে যে বিশেষণগুলো ব্যক্ত করা হয়েছে তা মিথ্যা। এ ধরনের কোন দোষ তাদের মধ্যে নেই এবং উল্লিখিত বিশেষণগুলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর খিলাফ।

কায্যাবুদ্দীন আল বাইয়্যিনাতের প্রতি দ্বিতীয় যে অপবাদ বা তোহমত দিয়েছে তা হলো “আল বাইয়্যিনাতে উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়।” (নাঊযুবিল্লাহ)

কায্যাবুদ্দীনের উক্ত বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, আল বাইয়্যিনাত শরীফে বর্ণিত, যে বিশেষণগুলো কায্যাবুদ্দীন গালি-গালাজ বলে প্রচার করছে সেগুলো গালি-গালাজ নয় তা পূর্ববর্ণিত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ সেগুলো যদি গালি-গালাজ হয় তবে কায্যাবুদ্দীনের মতে সাব্যস্ত হয় যে, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ গালি-গালাজ রয়েছে। উক্ত বিশেষণগুলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ থাকায় কেউ যদি বলে যে, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ গালি-গালাজ রয়েছে তবে সে কাফির হয়ে যাবে।

দ্বিতীয়তঃ বলতে হয় যে, “আল বাইয়্যিনাত শরীফে উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীদের গালি-গালাজ করা হয়।” নাঊযুবিল্লাহ। কায্যাবুদ্দীনের একথাও ডাহা মিথ্যা।

কারণ কায্যাবুদ্দীন যাদেরকে উলামায়ে কিরাম বা নায়েবে নবী বলে দাবী করছে, তারা কস্মিনকালেও হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবী নয়। কায্যাবুদ্দীন যেহেতু আশাদ্দুদ্ দরজার জাহিল, তাই সে জানেনা যে কে হক্কানী আলিম, কে নায়িবে নবী। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবীর সঠিক পরিচয় বা সংজ্ঞা তুলে ধরলেই সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হবে যে, কায্যাবুদ্দীনের দাবী সম্পূর্ণই মিথ্যা। অর্থাৎ তার উল্লিখিত ব্যক্তিরা আসলে হক্কানী আলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী নয়।

তাই নিম্নে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে হক্কানী আলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী-এর পরিচয় তুলে ধরা হলো-

হক্কানী আলিম-এর পরিচয়

“উল্লেখ্য, عَاَلِمٌ  (আলিমুন) শব্দটি বাবে  سمع يسمع  থেকে উদ্ভূত। উক্ত শব্দটি اسم فاعل বা কর্তৃবাচক। এর লুগাতী বা আভিধানিক অর্থ হলো- একজন জ্ঞানী পুরুষ। আর ইস্তিলাহী বা পারিভাষিক অর্থে- আলিম তাকেই বলে, যিনি দ্বীনি ইল্ম তথা ইলমে মা’রিফাত ও ইলমে তাছাউফের অধিকারী। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি আলিম হতে হলে প্রথমতঃ তাকে ইল্মে ফিক্বাহ্ ও ইল্মে তাছাউফ উভয়টাই অর্জন করতে হবে।

কেননা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

العلماء ورثة الانبياء وان الانبياء لم يورثوا دينارا ولادرهما وانما ورثوا العلم.

অর্থঃ “নিশ্চয়ই আলিমগণ নবী আলাইহিমুস্ সালামগণের ওয়ারিছ। আর নিশ্চয়ই নবী আলাইহিমুস্ সালামগণ কোন দীনার-দিরহাম রেখে যাননি। বরং ইল্ম রেখে গেছেন।” (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত, মা’য়ারিফুস্ সুনান, উরফুশ শাযী, বযলুল মাজহুদ, মিরকাত, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত্ ত্বীবী, আত্ তা’লীকুছ ছবীহ্, মুযাহিরে হক্ব)

        -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।