যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৬

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা- বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’

সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত মন্তব্যে সর্বশেষ যা লিখেছে তা হলো, “রূপক অর্থে আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন আখ্যায়িত করা কুরআনের সাথে জঘন্য ধরনের উপহাস। কেননা …… আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম সম্পর্কে এমন সব গালি-গালাজ লিখা হয় যা কোন ভদ্রতা ও শালীনতার আওতায় পড়ে না। উক্ত পত্রিকায় শাইখুল হাদীছ, মাসিক মদীনার সম্পাদক, চরমোনাইয়ের পীর …… হাটহাজারীর মোহতামিম প্রমুখ দেশবরেণ্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় নায়িবে রসূলগণকে যেসব কুৎসিত গালি দেয়া হয়েছে। তার কয়েকটি নিম্নরূপঃ উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধির ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোঁকাবাজ, ভ-, জাহিল, গোমরাহ, কায্যাব, কমীনী, যিনাখোর, নফসের পূজারী, মালউন ইত্যাদি।”

“মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব”

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

অর্থাৎ, কায্যাবুদ্দীনের মতে যে পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম ও নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়, সে পত্রিকা আবার বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ হয় কি করে? কুরআন শরীফ-এ কি এরূপ গালি-গালাজ উল্লেখ আছে?

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত বক্তব্য দ্বারা আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি দু’টি মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। (১) আল বাইয়্যিনাতে গালি-গালাজ লিখা হয়। (২) উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ)

প্রথম মিথ্যা তোহমতের জবাবে বলতে হয় যে, মূলতঃ আল বাইয়্যিনাত শরীফে কখনোই গালি-গালাজ লিখা হয় না। কায্যাবুদ্দীন যেহেতু আশাদ্দুদ দরজার জাহিল তাই গালি-গালাজ কোনটা সেটাই সে জানেনা, সে আল বাইয়্যিনাত থেকে গালি-গালাজ হিসেবে যে শব্দগুলো উল্লেখ করেছে সেগুলো যদি গালি-গালাজ হয় তবে বলতে হয় যে কায্যাবুদ্দীনের মতে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফেও গালি-গালাজ রয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) কারণ উল্লিখিত শব্দগুলোর প্রায়গুলোই কুরআন শরীফ অথবা হাদীছ শরীফে রয়েছে। যেমন বলা হয়েছে-

‘মালউন’

‘মালউন’ যারা লা’নতপ্রাপ্ত তারা মূলতঃ ‘মালউন’। কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর বহু স্থানেই তা উল্লেখ আছে। যেমন, কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

ان الذين يؤذون الله ورسوله لعنهم الله فى الدنيا والاخرة.

অর্থাৎ নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেয়, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ পাক-এর পক্ষ থেকে ‘লা’নতপ্রাপ্ত’ বা মালউন।” (সূরা আহযাব-৫৭)

আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

لعن الله الناظر والمنظور اليه.

অর্থাৎ, যে পুুরুষ বেগানা মহিলাকে দেখে এবং যে মহিলা বেগানা পুরুষের সাথে দেখা দেয় তারা উভয়ই আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে লা’নতপ্রাপ্ত বা মালউন। (বাইহাক্বী, মাযহারী)

কায্যাবুদ্দীনের কথিত সর্বজনমান্য নায়িবরা যেহেতু আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব-এর নির্দেশ অহরহ অমান্য করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীবকে কষ্ট দিচ্ছে এবং বেপর্দা হচ্ছে তাই তারা আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে লা’নতপ্রাপ্ত বা মালউন।

অতএব, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, আল বাইয়্যিনাত শরীফে কায্যাবুদ্দীনের কথিত নায়িবদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে তাদের ক্ষেত্রে যে বিশেষণগুলো যুক্ত করা হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফে রয়েছে। এখন কায্যাবুদ্দীনের মতে যদি এগুলো গালি-গালাজ হয়, তবে সে কি এটাই প্রমাণ করছেনা যে, আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গালি-গালাজ করেছেন? (নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক)

মূলতঃ যারা দলীল পাওয়ার পরও জেনে শুনে হক্বকে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করে, হক্বের বিরোধিতা করে, দুনিয়াবী ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে শরীয়ত বিরোধী কথা ও কাজে মশগুল থাকে তাদের প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরা বা তাদের মধ্যে যে সকল বদ স্বভাব, বদ খাছলত রয়েছে সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেয়া গালিÑগালাজ নয়। বরং এটি আল্লাহ পাক ও তাঁর  হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরই সুন্নত এবং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই শিক্ষা। যেমন মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন সূরা ক্বলম-এর ১০, ১১, ১২ ও ১৩নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,

ولاتطع كل حلاف مهين. هماز مشاء بنميم. مناع للخير معتد اثيم. عتل بعد ذلك زنيم.

অর্থাৎ “তোমরা আনুগত্য করবেনা এরূপ ব্যক্তির যে (১) অধিক শপথকারী (২) লাঞ্ছিত, (৩) পরনিন্দাকারী, (৪) ঘুরে ঘুরে গীবতকারী (৫) চোগলখোর (৬) সৎ কাজে বাধা দানকারী (৭) সীমালঙ্ঘনকারী (৮) পাপিষ্ঠ (৯) বদ চরিত্র (১০) উপরন্তু সে অবৈধ সন্তান।”

মহান আল্লাহ পাক উক্ত আয়াত শরীফসমূহে তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুশমন, হক্বকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যানকারী, হক্বের বিরোধিতা ও অপপ্রচারকারী ওলীদ বিন মুগীরার দশটি খারাপ বৈশিষ্ট্য প্রকাশের অনিবার্য প্রয়োজনে দশটি মন্দ বিশ্লেষণ উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, দশটি বদ গুণ সম্পর্কে যখন আয়াত শরীফ নাযিল হয় তখন পাপাত্মা, কুলাঙ্গার মুগীরা স্পষ্টভাবে বুঝে নেয় যে, নয়টিই তার নিজের মধ্যে রয়েছে, কিন্তু অবশিষ্ট অর্থাৎ সে সত্যিই অবৈধ সন্তান কিনা সেটা জানার জন্যে সরাসরি তার মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তার মা তার স্বামীর অক্ষমতা হেতু অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশার কথা এবং তার মাধ্যমে মুগীরার জন্মের কথা স্বীকার করে। এতে কুরআন শরীফে বর্ণিত দশটি বদ বিশেষণই তার সাথে প্রযুক্ত বলে প্রমাণিত হয়।

জাহিল কায্যাবুদ্দীনের নিকট প্রশ্নঃ সে কি এখন বলবে যে, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে গালি-গালাজ করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) যদি এগুলো গালি-গালাজ না হয়, তবে আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর উল্লিখিত বিশেষণগুলো কেন গালি-গালাজ হবে? উক্ত বিশেষণগুলোর প্রতিটিই তো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফে রয়েছে। তবে কি কায্যাবুদ্দীনের মতে মিথ্যাবাদীকে কায্যাব, গোমরাহকে গোমরাহ, জাহিলকে জাহিল, মুশরিককে মুশরিক, মুনাফিককে মুনাফিক ও লা’নতপ্রাপ্তকে মালউন বলা যাবেনা? কেউ যদি তা বলে তবে কি সেটা গালি-গালাজ হবে? যদি এগুলো গালি-গালাজই হয় তবে এগুলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হলো কেন? কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ ব্যক্ত হওয়ার অর্থ কি এই নয় যে, উল্লিখিত বিশেষণগুলো গালি-গালাজ নয়। (চলবে)

        -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।