যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৫

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’

সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত মন্তব্যে সর্বশেষ যা লিখেছে তা হলো, “রূপক অর্থে আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন আখ্যায়িত করা কুরআনের সাথে জঘন্য ধরনের উপহাস। কেননা …… আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম সম্পর্কে এমন সব গালি-গালাজ লিখা হয় যা কোন ভদ্রতা ও শালিনতার আওতায় পড়ে না। উক্ত পত্রিকায় শাইখুল হাদীছ, মাসিক মদীনার সম্পাদক, চরমোনাইয়ের পীর …… হাটহাজারীর মোহতামিম প্রমূখ দেশবরণ্যে সর্বজন শ্রদ্ধেয় নায়িবে রসূলগণকে যেসব কুৎসিত গালি দেয়া হয়েছে। তার কয়েকটি নিম্নরূপঃ উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধির ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোঁকাবাজ, ভ-, জাহিল, গোমরাহ, কায্যাব, কমীনী, যিনাখোর, নফসের পূজারী, মালউন ইত্যাদি।”

অর্থাৎ, কায্যাবুদ্দীনের মতে যে পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম ও নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়, সে পত্রিকা আবার বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ হয় কি করে? কুরআন শরীফে কি এরূপ গালি-গালাজ উল্লেখ আছে?

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত বক্তব্য দ্বারা আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি দু’টি মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। (১) আল বাইয়্যিনাতে গালি-গালাজ লিখা হয়। (২) উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ)

প্রথম মিথ্যা তোহমতের জবাবে বলতে হয় যে, মূলতঃ আল বাইয়্যিনাত শরীফে কখনোই গালি-গালাজ লিখা হয় না। কায্যাবুদ্দীন যেহেতু আশাদ্দুদ দরজার জাহিল তাই গালি-গালাজ কোনটা সেটাই সে জানেনা, সে আল বাইয়্যিনাত থেকে গালি-গালাজ হিসেবে যে শব্দগুলো উল্লেখ করেছে সেগুলো যদি গালি-গালাজ হয় তবে বলতে হয় যে কায্যাবুদ্দীনের মতে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফেও গালি-গালাজ রয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) কারণ উল্লিখিত শব্দগুলোর প্রায়গুলোই কুরআন শরীফ অথবা হাদীছ শরীফে রয়েছে।

যেমন বলা হয়েছে-

“মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব”

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

‘গোমরাহ’

কুরআন শরীফ-এর প্রথম সূরা ফতিহাতেই ‘গোমরাহ’ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে,

ولا الضالين.

অর্থাৎ আমাদেরকে গোমরাহ বা নাছারাদের পথ দিবেন না। (সূরা ফাতিহা-৭)

কায্যাবুদ্দীনের কথিত মৌলভিরা যেহেতু ইসলামকে বাদ দিয়ে আজ ইহুদী-নাছারাদেরকে অনুসরণ করছে এবং মনগড়া কথা বলছে ও মনগড়া আমল করছে, তাই তারা গোমরাহ।

‘কায্যাব’

কুরআন শরীফ-এর অসংখ্যা  স্থানে ‘কায্যাব’ শব্দটি উল্লেখ আছে। যেমন, কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে.

لعنة الله على الكاذبين.

অর্থাৎ কায্যাব তথা মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহ পাক-এর লা’নত।” (সূরা আলে ইমরান-৬১)

আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

يكون فى اخر الزمان دجالون كذابون.

অর্থাৎ আখিরী যামানায় কিছু সংখ্যক মিথ্যাবাদী দাজ্জালে কায্যাব বের হবে। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এর ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, দাজ্জালে কায্যাব হলো উলামায়ে ‘ছূ’ অর্থাৎ যারা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করে এবং দুনিয়াবী স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে প্রকাশ্যে হারাম কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেনা।

কায্যাবুদ্দীনের কথিত দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা যেহেতু হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম করছে এবং অতি তুচ্ছ এম,পি বা মন্ত্রি পদের জন্য বেপর্দা ও ছবি তোলার ন্যায় কাট্টা হারাম কাজে লিপ্ত হচ্ছে, তাই তারা দাজ্জালে কায্যাব।

‘যিনাখোর বা ব্যাভিচারী’

এ শব্দটিও কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর বহু স্থানে উল্লেখ আছে। যেমন কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

الزانية والزانى فاجلدوا كل واحد منها ماة جلد.

অর্থাৎ যিনাকারিণী ও যিনাকারী প্রত্যেককে একশত দোররা মারতে হবে। (সূরা নূর-২)।  আর ইরশাদ হয়েছে,

العينان ناهما النظر.

অর্থাৎ চোখের যিনা হচ্ছে দেখা। অর্থাৎ বেগানা মহিলাকে দেখা বা বেপর্দা হওয়াও এক প্রকার যিনা। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

কায্যাবুদ্দীনের কথিত শ্রদ্ধেয়, অতি শ্রদ্ধেয় মৌলভীরা যেহেতু বেপর্দা হয় বেগানা মহিলার সাথে দেখা-সাক্ষাত, কথা-বার্তা ও উঠা-বসা করে তাই তারা যিনাখোর বা যিনাকারী।

‘নফসের পূজারী’

‘নফসের পূজারী’ অর্থাৎ নফসের অনুসরণকারী। একথাটি কুরআন শরীফে রয়েছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে,

ولا تطع من اغفلنا قلبه عن ذكرنا واتبع هواه وكان امره فرطا.

অর্থাৎ তোমরা ঐ ব্যক্তির অনুসরণ করো না যে ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তর আমার যিকির থেকে গাফিল। সে  মূলতঃ নফসের অনুসরণ করে, তার কাজগুলো শরীয়ত বিরোধী।” (সূরা কাহাফ-২৮) অর্থাৎ যার ক্বলবে যিকির জারী নেই সে ব্যক্তিই শরীয়ত বিরোধী কাজ করে এবং সে ব্যক্তিই নফসের অনুসরণ করে বা নফসের পূজারী।

কায্যাবুদ্দীনের কথিত নায়িবদের কারো ক্বলবেই যিকির জারী নেই, তাই তারা সর্বদা শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত এবং প্রতি নিয়ত নফসের অনুসরণ করছে তাই তারা নফসের পূজারী।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।