যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৩

সংখ্যা: ১৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’

সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার কলঙ্কিত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত সম্পর্কে তিনি এত বাড়াবাড়ি করেছেন যে, আল বাইয়্যিনাত জুলাই ’৯৯ সংখ্যায় ১৩৪ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, “আল্লামা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মছনবী শরীফকে যেমন ফার্সী ভাষায় কুরআন শরীফ বলা হয়, তদ্রুপ আল বাইয়্যিনাতও যেন ‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ।”

উক্ত বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কায্যাবুদ্দীন লিখছে “এক দিকে তিনি আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন শরীফ বলে আখ্যায়িত করেছেন, আবার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হয়ে যাওয়ার ধারণা প্রদান করেছেন। এর অর্থ হলো তিনি এই পত্রিকাকে প্রকৃত অর্থেই কুরআনের সমতুল্য আখ্যায়িত করতে চান।”

“মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব”

পূর্ব প্রকাশিতের পর

স্বর্তব্য যে,শুধু মছনবী শরীফই নয় পূর্ববর্তী আরো অনেক কিতাবকেই কুরআন শরীফের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে ফিক্বাহের বিখ্যাত কিতাব “ফতহুল ক্বাদীরে” “কাশফুয্ যুনূন” এর বরাত দিয়ে লিখা হয়েছে যে,

قال كشف الظنون ان الهداية كالقران قد نسخت ماصنفوا قبلها فى السرع من كتب فاحفظ قواعدها واسلك مسالكها يسلم مقالك من زبغ ومن كذب.

অর্থাৎ “কাশফুয্ যুনূন কিতাবে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই “হিদায়া শরীফ” কুরআন শরীফ-এর অনুরূপ।” হিদায়া শরীফের পূর্বে শরীয়তের বিধি-বিধান সম্পর্কিত এরূপ কোন কিতাবই রচিত হয় নাই। সুতারাং তুমি এর মূলনীতিসমূহ মুখস্ত কর এর মাসয়ালাসমূহ অনুসরণ কর। তবেই তোমার কথা বক্রতা, অন্যায় এবং মিথ্যা থেকে নিরাপদ থাকবে।” (ফতহুল ক্বদীর ২য় জি: ১ম পৃষ্ঠা)

সুতারাং কায্যাবুদ্দীন যে লিখেছে, “মছনবী শরীফকে কেউ প্রকৃত পক্ষে কুরআন শরীফ আখ্যায়িত করেননি এবং মছনবী শরীফের বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হতে হবে একথাও কেউ কলেননি” তার এ বক্তব্য মিথ্যা ও জিহালত পূর্ণ বলে প্রমাণিত হলো। কায্যাবুদ্দীন তার উক্ত মন্তব্যে সর্বশেষ যা লিখেছে তা হলো “র্রপক অর্থে আর বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন আখ্যায়িত করা কুরআনের সাথে জঘন্য ধরনের উপহান। কেননা……..আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম সম্পর্কে এমন সন গালি-গালাজ লিখা হয় বা কোন ভদ্রতা ও শালিনতার আওতায় পড়েনা। উক্ত পত্রিকায় শাইখুল হাদীছ, মাসিক মদীনার সম্পাদক, চরমোনাইয়ের পীর ……,হাটহাজারীর মোহতামিম যেসব কুৎসিত গালি দেয়া হয়েছে। তার কয়েকটি নিম্নরূপ: উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ, মাওসেতুং ও গান্ধির ভাবশিষ্য, শয়তানের পোষ্যপুত্র, মুশরিক, মুনাফিক, ধোকাবাজ, ভ-, জাহিল, গোমরাহ, কায্যাব, কমীনী, যিনাখোর, নফসের পূজারী, মালাউন ইত্যাদি।” অর্থাৎ কায্যাবুদ্দীনের মতে যে পত্রিকায় উলামায়ে কিরাম ও নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়, সে পত্রিকায় আবার বাংলা ভাসায় কুরআন শরীফ হয় কি করে? কুরআন শরীফে কি এরূপ গালি-গালাজ উল্লেখ আছে?

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল কায্যাব্দ্দুীন তার উক্ত বক্তব্য দ্বারা আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি দু’টি মিথ্যা তোহমত দিয়েছে। (১) আল বাইয়্যিনাতে গালি-গালাজ লিখা হয়। (২) উলামায়ে কিরাম বা নায়িবে নবীগণকে গালি-গালাজ করা হয়া (নাউযুবিল্লাহ)

প্রথম মিথ্যা তোহমতের জবাবে বলতে হয় যে মূলতঃ আল বাইয়্যিনাত শরীফে কখনোই গালি-গালাজ লিখা হয়না। কায্যাবুদ্দীন যেহেতু আশাদ্দুদ দরজার জাহিল তাই গালি-গালাজ কোনটা সেটাই সে জানেনা, সে আল বাইয়্যিনাত থেকে গালি-গালাজ হিসেবে যে শব্দগুলো উল্লেখ করেছে সেগুলো গালি-গালাজ রয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) কারণ উল্লিখিত শব্দগুলোর প্রায়গুলোই কুরআন শরীফ অথবা হাদীছ শরীপে রয়েছে,

“উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ”

হাদীছ শরীফের কিতাব তিরমিযী শরীফের বাবুল ইসতিযান-এ রয়েছে,

ليس  منا  من  تشبه  بغيرنا.

অর্থাৎ “যে ব্যক্তি বিধর্মীদেরকে অনুসরণ করে সে আমার উম্মত নয়। (মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনু মাজাহ, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল)

অর্থাৎ কায্যাবুদ্দীনের কথিত নায়িবে নবীরা অনেক ক্ষেত্রেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ করেছে এবং করছে। যেমন মাওসেতুং-এর লংমার্চ, গান্ধির হরতাল, আব্রাহাম লিংকনের গানতন্ত্র, হিন্দুদের কুশপুত্তলিকাদাহ ইত্যাদি। তাই তারা উম্মতে মুহম্মদী থেকে খারিজ।

‘ধোকাবাজ’

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

من غش فليس من.

অর্থাৎ ধোকাবাজ আমার উম্মত নয়। (মুসলিম শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনু মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল)

কায্যাবুদ্দীন কথিত নাযিবরা উসলামী লেবাস পরে ইসলামের কথা বলে এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে হারামকে হালাল, হালালকে হারাম বানিয়ে মানুষদেরকে ধোকা দিচ্ছে। যেমন মাহিউদ্দীন তার পত্রিকায় প্রথমে নারী নেতৃত্বকে হারাম বলে ফতওয়া দেয়। পরে আবার হালাল বলে ফতওয়া দেয়। যেমন, নামধারী আলিম তথা আলিমে ‘ছূ’ মাসিক মদীনা সম্পাদক তার পত্রিকা মাসিক মদীনা জুন/২০০২ ঈসায়ী সংখ্যার, ১১০,১১১ পৃষ্ঠায এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছে-

মুহম্মদ আবূ জাফর সালেহ, লাকসাম, কুমিল্লা

প্রশ্নঃ কোরআন এবং হাদীসের বিধান উত্তর (১) “ইসলামের নারী নেতৃত্ব হারাম” এ ফতওয়া কে কোথায় কোন ভিত্তিতে দিলেন, তা আমাদের জানা নাই।

 (২) তা ছাড়া এমন একটা ঢালাও বক্তব্যের পিছনে দলীল কি, তাও জানবার সুযোগ আমাদের হয়নি। পরস্য সাম্রাজ্যের সিংহাসনে পরলোকগত  বা নিহত সম্রাটের এক কন্যার অভিষেক হওয়ার সংবাদ হযরত নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শোনানোর পর তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, “সে জাতির কল্যাণ হতে পারে না যে জাতির নেতৃত্ব নারীর হাতে অর্পিত হয়।

এই হাদীসখানার পরিপ্রেক্ষিতে ফেকাহবিদগণ নারী নেতৃত্ব অনুত্তম সাব্যন্ত করেছেন। হারাম সব্যন্ত করেন নাই। ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ঈমারদারম, সুস্থ মন্তিস্ক, সুবিবেচক ইত্যাদি গুণে গুণান্বিত হওয়ার শর্ত আরোপ করেছেন। সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন নয়, ফাছেক বা প্রমাণিত দুষ্কৃতকারীকে ইসলামী রাষ্ট্রের যে কোন ধরণেরই দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সুতারাং ইসলামের নামে ঢালাও ফতওয়া বা মন্তব্য করা কি ঠিক হবে?  (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।