যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫২

সংখ্যা: ১৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মুনাফিকদেরকে ‘কায্যাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণীকা বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যেমন, যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলূলের বংশধর ও দাজ্জালে কায্যাব, খারিজীপন্থী ওহাবীদের আরেকটি মিথ্যা অপপ্রচার হচ্ছে,

(১৮)

‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ’

সম্পর্কিত মিথ্যাচারিতা

আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কায্যাবুদ্দীন তার কলঙ্কিত রেসালা “ভ্রান্ত মতবাদে” লিখেছে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত সম্পর্কে তিনি এত বাড়াবাড়ি করেছেন যে, আল বাইয়্যিনাত জুলাই ’৯৯ সংখ্যায় ১৩৪ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, “আল্লামা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মছনবী শরীফকে যেমন ফার্সী ভাষায় কুরআন শরীফ বলা হয়, তদ্রুপ আল বাইয়্যিনাতও যেন ‘বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফ।”

উক্ত বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কায্যাবুদ্দীন লিখছে “এক দিকে তিনি আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাকে কুরআন শরীফ বলে আখ্যায়িত করেছেন, আবার আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হয়ে যাওয়ার ধারণা প্রদান করেছেন। এর অর্থ হলো তিনি এই পত্রিকাকে প্রকৃত অর্থেই কুরআনের সমতুল্য আখ্যায়িত করতে চান।”

“মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জবাব”

পূর্ব প্রকাশিতের পর

শুধু তাই নয় স্বয়ং আল্লামা জালালুদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেই যে মছনবী শরীফকে প্রকৃতপক্ষে কুরআন শরীফ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এর বিরোধিতা করলে ঈমান হারা হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন, তার প্রমাণও মৌলভী আজীজুল হক অনুদিত উক্ত কিতাবের ভুমিকাতে  রয়েছে। যে ভুমিকাটি স্বয়ং আল্লামা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিজ হাতে লিখা। নিম্নে উক্ত ভুমিকাটি হুবহু উল্লেখ করা হলেÑ

بسم الله الرحمن الرحيم

هذا الكتاب المثنوى المعنوى وهو اصول اصول الدين فى كشف اسرار الوصول واليقين. وهو فقه الله الاكبر شرع الله الازهر وبرهان الله الاظهر. مثل نوره كمشكوة  فيها مصباح  يشرق اشراقا انور من الاصباح وهو جنان الجنان ذوالعيون والاعصان فيها عين تسمى عند ابناء السبيل سلسبيلا وعند اصحاب المقامات والكرامت خير مقاما واحسن مقيلا. الابرار منه يأكلون يشربون والاحرار منه يفرحون يطربون وهو كفيل مصر شراب للصابرين ودم وحسرة على ال فرعون والكافرين كما قال  يضل به كثيرا وانه شفاء الصدور وجلاء الاحزان وكشاف القران وسعة الارزاق وطيب الاخلاق بايدى سفرة كرام بررة يمنعون بان لايمسه الا المطهرون تنزيل من رب العالمين الا ياتيه الباطل من  بين يديه  ولامن خلفه والله يرصده وبرقبه وهو خير حافظا وهو ارحم الراحمين وله القاب اخر لقبه الله تعالى بها لا يسعها احاطة التحرير واقتصرنا على القليل  يدل على الكثير.

এই মহাগ্রন্থ “মছনবী-মা’নবী“ দুই দুই পঙক্তি বিশিষ্ট কাব্য আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান আলোচনায়। ইহা বাস্তব সত্য ও আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছিবার রহস্য উদঘাটনে দ্বীন ইসলামের মৌলিক ভিত্তিসমূহের আলোচনায় লিখিত। ইহা আল্লাহ প্রদত্ত বৃহৎ ও সুগভীর জ্ঞানমালা, ইহা আল্লাহ প্রদত্ত উজ্জল পথ, ইহা আল্লাহর দেয়া সর্ববিজয়ী প্রমাণ। ইহার আলো তেজময় উজ্জল প্রদীপরূপী। ইহা হইতে আলো বিচ্ছুরিত হইবে দীপ্ত প্রভাত অপেক্ষা অধিক। ইহা আধ্যাত্মিক উদ্যান-অন্তর জগতের স্বর্গ-বেহেশতী ঝরণা ও বৃক্ষ-লতায় সুসজ্জিত; যাহার মধ্যে “ছালছাবিল” নামক মনোরম প্রবাহীও রহিয়াছে। যাঁহারা আধ্যাত্মিক জগতের পদাধিকারী এবং সম্মানিত তাঁহাদের চিত্তবিনোদনের উত্তম ও সুন্দর ব্যবস্থা ও সামগ্রী রহিয়াছে ইহাতে। পবিত্র লোকগণ ইহাকে উপভোগ করিবেন এবং আনন্দ লাভ করিবেন। ইহা মিশরের নীল নদের ন্যায়; ইহা নেক লোকদের জন্য পানি এবং ফেরাউন গোষ্ঠি ও কাফিরদের জন্য রক্ত হইয়া যাইত। যেরূপ পবিত্র কুরআন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন, “অনেকের জন্য গোমরাহীর কারণ হইবে এবং অনেককে হেদায়েত দান করিবে।”

আমার এই গ্রন্থ অন্তর রোগে আরোগ্য দান করিবে, আভ্যন্তরীণ ময়লা পরিস্কার করিবে, কোরআনের সঠিক অর্থ উজ্জলরূপ প্রকাশ করিবে, রিজিকে প্রশস্ততা আনয়ন করিবে, চরিত্র নির্মল করিবে। ইহা পবিত্র হস্তে ধরিবার যোগ্য, অপবিত্র হাতের ছোঁয়াও নিষিদ্ধ। সারা জাহানের প্রভুর তরফ হইতে প্রদত্ত; অসত্য ও মিথ্যা কোন দিনই ইহাতে স্থান পায় নাই। আল্লাহ তায়ালা ইহাকে হেফাজত করিবেন; তিনি সর্বোত্তম হেফাজতকারী দয়ালু।

এই গ্রন্থের আরও অনেক গুণাবলী ও আখ্যা রহিয়াছে যাহা আল্লাহ তায়ালাই অবগত করিয়াছেন। আমি সামান্যের উপর ক্ষান্ত করিলাম যাহা অধিক্যের ইঙ্গিত বহন করে। (মেফতাহুল উলুম-শরহে মছনবী)

আল্লামা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখিত উপরোক্ত ভূমিকায় প্রদত্ত বক্তব্যের দ্বারা তিনি এটাই বুঝিয়েছেন মছনবী শরীফ প্রকৃতপক্ষেই কুরআন শরীফ। কারন কুরআন শরীফ যেরূপ আল্লাহ পাক-এর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত, মছনবী শরীফও তদ্রুপ।

تنزيل من رب العالمين.

অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। (সূরা ওয়াক্বিয়াহ-৮০)

কুরআন শরীফ যেরূপ পবিত্রতা ব্যতীত স্পর্শ করা নিষেধ। মছনবী শরীফও তদ্রুপ।

لا يمسه الا المطهرين.

অর্থাৎ পবিত্রতা ব্যতীত স্পর্শ করা নিষেধ। (সুরা ওয়াক্বিয়াহ-৭৯)

কুরআন শরীফ স্বীকার ও অনুসরণ করার কারণে যেরূপ হিদায়াত লাভ হয় এবং অস্বীকার ও বিরোধিতা করার কারণে গোমরাহ বা বেঈমান হয়, মছনবী শরীফও তদ্রুপ।

يضل به كثيرا ويهدى به كثيرا.

স্বীকার ও অনুসরণ করলে হিদায়েত পাবে আর অস্বীকার, বিরেধিতা করলে গোমরাহ ও ঈমান হারা হবে।” (সূরা বাক্বারা-২৬) (চলবে)

মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।