রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব (৯৩)

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন: আয়াত শরীফ-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হল মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

(ধারাবাহিক)

 

ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী কর্তৃক প্রকাশিত মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ লিফলেটসমূহের দলীলভিত্তিক খণ্ডণমূলক জাওয়াব

 বাতিলপন্থী ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, জামাতী তথা মুনাফিক গোষ্ঠী রাজারবাগ শরীফ-এর প্রতি মিথ্যা প্রচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে যে সকল লিফলেট প্রচার করেছে সেগুলোর জবাবে আমরা যে সকল লিফলেট প্রকাশ ও প্রচার করেছি তন্মধ্য হতে কয়েকটি লিফলেট নিম্নে হুবহু উল্লেখ করা হলো-

কিতাবুল আলক্বাব প্রসঙ্গ

  বাতিলপন্থী ওহাবীদের বক্তব্য হলো, ‘ছিহাহ সিত্তাহ’ ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।” নাউযুবিল্লাহ!

এ বক্তব্য দ্বারা তারা অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার কিতাব ও নির্ভরযোগ্য তাফসীর ও ফিক্বাহ, ফতওয়ার কিতাব উনাকে অস্বীকার করেছে। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া আমরা যদি তাদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করি যে, ‘ছিহাহ সিত্তাহ’ মানতে হবে অথবা ‘ছিহাহ সিত্তাহ’ ইসলাম বা শরীয়ত উনার দলীল একথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোথায় আছে। তারা কি তা প্রমাণ করতে পারবে যে, পবিত্র কুরআন শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোথাও ‘ছিহাহ সিত্তাহকে’ মানতে বলা হয়েছে। মূলতঃ আমভাবে কোন কিতাবই ইসলামী শরীয়ত উনার দলীল নয়। বরং দলীল হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ। কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াসসম্মত কথা যে কিতাবেই থাকুক আর যেই ব্যক্তিই লিখুক না কেন উক্ত কিতাব অবশ্যই ইসলাম বা শরীয়ত উনার দলীল। উক্ত কিতাবকে অস্বীকার বা অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরী। পক্ষান্তরে যত বড় কিতাবই হোকনা কেন এবং যতবড় নামধারী শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মুফাসসির, খতীব, আমীর, মাওলানা যেই হোকনা কেন তাদের লিখিত কিতাব যদি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস বিরোধী হয় তবে তা কখনো দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।