রাজাকারদের গডফাদার গোআযমের চুরি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব ও মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতার প্রসঙ্গঃ

সংখ্যা: ১৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

 (ক)

আল্লাহ পাক-এর কুদরত বোঝা দায়। ফিরআউনকে আল্লাহ পাক দিয়েছিলেন অবাধ সুযোগ। সে নিজেকে খোদা পর্যন্ত দাবি করেছিলো। ‘তার শাস্তি কি হতে পারে?’ তা আল্লাহ পাক তার নিজের দ্বারাই লিখিয়ে নিয়েছিলেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম মানুষের বেশে ফিরআউনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কাউকে যদি তার মালিক অনেক নিয়ামত দেয়; আর সে গোলাম যদি মালিকের বিরোধিতা করে তবে তার কি শাস্তি হওয়া উচিত?” জবাবে ফিরআউন বলেছিলো, “তাকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারা উচিত।” তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম বললেন, “আপনি তা লিখিতভাবে দেন।” ফিরআউন নির্বিবাদে তদ্রুপ লিখে দিলো। ফিরআউনকে তার বিবৃত শাস্তি অনুযায়ীই আল্লাহ পাক তাকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। (নাউযুবিল্লাহ)

(খ)

“৭১-এর খুন, ধর্ষণ, লুটপাটকারীদের” পালের গোদা- ‘মইত্যা রাজাকার’ আজ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। স্বাধীনতা উত্তর কোনো সরকারের আমলে জেলে যায়নি”- এ নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার জামাতী মহল বড় গর্ব করত। ঢোল-সহরত বাজাত। বেশ লম্ফ-ঝম্প দেখাত।

আল্লাহ পাক-এর কুদরত! সেই মইত্যা রাজাকার অবশেষে দুনীর্তির দায়েই গ্রেফতার হলো। তবে গ্রেফতার যেভাবে এবং যে সময়ে নিহিত হলো তার মাঝে আল্লাহ পাক-এর অপার কুদরত আরো একবার প্রতিভাত হয়েছে।

মইত্যা রাজাকার, গোআযম- যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্মদাতা, স্বাধীনতা উত্তর কোন রাজনৈতিক সরকার না পারলেও, মইত্যা রাজাকারের জন্ম দেয়া- সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই অবশেষে তাকে গ্রেফতার করলো। জেলে পুরলো। তার পরিণতির সূচনা গড়লো।

কেয়ারটেকার সরকার প্রসঙ্গে মইত্যা রাজাকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বলেছিলো:

“আপনার নিকট একটি বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছি। কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতির কারণেই আপনি ক্ষমতাসীন হওয়ার সুযোগ পেলেন। এ পদ্ধতিকে সংবিধানে শামিল করার উদ্দেশ্যে সকল বিরোধি দলের পক্ষ থেকে সংসদে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিল জমা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি সংসদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে আপনার সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আর কোন ইস্যু নেই, যা নিয়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করতে পারে।

আপনি জানেন, কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি জামাতের তৈরি ইস্যু। যদি এ ইস্যুতে আওয়ামী লীগ আন্দোলন শুরু করে তাহলে আমরা তাতে শরিক হতে বাধ্য হব।”

উল্লেখ্য, ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার জামাতীদের বড়ই জোরদার দাবি যে, তারাই কেয়ারটেকার সরকার তত্ত্বের জন্মদাতা। শুধু খালেদার আমলে নয়; স্বৈরশাসক এরশাদের আমল থেকে তাদের এই কেয়ারটেকার সরকারের আন্দোলন শুরু। এ প্রসঙ্গে জামাত মুরুব্বী গোআযম তার ‘জীবনে যা দেখলাম’ বইয়ে লিখেন:

“১৯৮৪ সালের ১০ এপ্রিল জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমীরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ডেলিগেশন জেনারেল এরশাদের সাথে সাক্ষাত করে ঐ লিখিতি দাবি পেশ করে, যা দুই জোটনেত্রীকে দেয়া হয়েছিলো।

ঐ দাবিনামাটির সারমর্ম এই: সেনাপ্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার সময় আপনি যে শাসনতন্ত্রের হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তা মুলতবি করে এবং নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার কোন বৈধ অধিকার আপনার ছিলো না।

শাসনতন্ত্র পুনর্বহাল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন। এ ব্যাপারে দুটো বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, ১. আপনি যদি নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তাহলে সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত প্রধান বিচারপতির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তার নেতৃত্বে একটি অরাজনৈতিক ও নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক। এ নির্বাচনে জনগণ আপনাকে নির্বাচিত করলে আপনি দেশ শাসনের বৈধ অধিকার পাবেন।

২. যদি আপনি ঘোষণা করেন যে, আপনি নিজে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না এবং কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকবেন না, তাহলে আপনাকেও কেয়ারটেকার সরকারপ্রধান হিসেবে গ্রহণ করতে আমরা সম্মত। নির্বাচনের পর আপনি পদত্যাগ করবেন এবং নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।”

রাজাকারদের গডফাদার গোআযম তার বইয়ে আরো লিখেন: “…. জামাত মহা বিপদে পড়লো। আওয়ামী লীগ সবদিক দিয়ে জামাতের বিরোধী। কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধীত জামাতের নিজস্ব ইস্যু। এ ইস্যুতে আওয়ামী লীগ আন্দোলন শুরু করলে রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য ঐ আন্দোলন শরিক হওয়া ছাড়া জামাতের কোন উপায় থাকবে না।

তাই বিএনপি নেত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানানো হলো, যেন তিনি কেয়ারটেকার সরকার কায়েমের দাবিটি মেনে নেন এবং আওয়ামী লীগের সাথে এ দাবিতে আন্দোলন করার জন্য আমাদেরকে ঠেলে না দেন।

জামাত নিজেদের রুচি ও ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হতে বাধ্য হলো। জাতীয় পার্টিও এ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আন্দোলনের দাবি এটাই ছিলো যে, কেয়ারটেকার সরকার কায়েম না হলে বিএনপি সরকারের পরিচালনায় কোন নির্বাচনেই আমরা অংশগ্রহণ করবো না।

১৯৮০ সালের জনুয়ারি থেকেই জামাত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি’র দাবি করে এসেছে। পত্র-পত্রিকায় এর প্রমাণ রয়েছে। যাদেরকে ১৯৮৪ সালের এপ্রিলে জেনারেল এরশাদের সাথে সংলাপের সময় এ দাবিটুকু সমর্থন করার জন্য সম্মত করা যায়নি, যাদের এ দাবি সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিতে ১৪ বছর বিলম্ব হয়েছে, তারা এর উদ্ভাবক বলে দাবি করে নিজেদেরকে চরম হাস্যস্পদই করেছেন। (সূত্র: গোলাম আযমের ‘জীবনে যা দেখালাম’ বইয়ের ৫ম খণ্ড, ২৯-৪০ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত তথ্যসূত্রে প্রতিভাত হয় যে, ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার জামাতই আজকের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্বের প্রবক্তা ও প্রচলনের দাবীদার।

(গ)

উল্লেখ্য যে, তত্ত্ববধায়ক সরকারের এই তত্ত্ব কিন্তু জামাতের মৌলিক আবিস্কারও নয়। আবার জামাতিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব- কুরআন-সুন্নাহ্র কোন দলীল বা ইসলামী কোন অনুষঙ্গ থেকেও গ্রহণ করেনি।

বরং মুখে ইসলাম দাবী করলেও ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করার সুবাদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্বও তারা সেই ব্রিটিশদের থেকেই নকল করেছে। চুরি করেছে। তাদের আদর্শ তথা নিয়মনীতি গ্রহণ করেছে। গোআযমের আত্মজীবনী ‘জীবনে যা দেখলাম’ বইয়ে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে,

“অরাজনৈতিক কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গত নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নির্বাচনের সময়ও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রীর লেবারপার্টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। টনি ব্লেয়ারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টনি ব্লেয়ার কর্তৃক পরিচালিত সরকারকে লেবার পার্টি সরকার বলা হয়নি। টনি ব্লেয়ার লেবার পার্টির নেতা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। নির্বাচনকালীন এ সরকারকে কী নামে ডাকা হয়?

পরিভাষায় সাধারণত এ সরকারকে ওহঃবৎরস এড়াঃ. বলা হয়। ঞবসঢ়ড়ৎধঁৎু এড়াঃ.ও বলা হয়। অর্থাৎ এ সরকার মধ্যবতীর্, অস্থায়ী ও সাময়িক সরকার মাত্র। নির্বাচনকালে দেশ তো সরকারবিহীন থাকতে পারে না। তাই দৈনন্দিন সরকারি কাজ পরিচালনার জন্য এ সরকার প্রয়োজন। এ সরকারের ক্ষমতা খুবই সীমিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এ জাতীয় সরকারকেই কেয়ারটেকার সরকার বলা হয়। ….. আমি ‘কেয়ারটেকার সরকার’ পরিভাষার আবিস্কারক নই। এ পরিভাষা রাষ্ট্রবিজ্ঞানেই আমি পেয়েছি। আমার প্রস্তাবে শুধু নির্দলীয় ও অরাজনৈতিক সরকারের পরিচালনার কথাটুকু নতুন সংযোজন বলা যায়।”

(ঘ)

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হারাম থেকে হারামই জন্ম হয়।” কাজেই ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার জামাতীরা ব্রিটেন থেকে, খ্রিস্টানদের থেকে ধার করে এদেশের মুসলমানদের জন্য যে কেয়ারটেকার সরকার তত্ত্ব প্রচলন করেছে, তা এদেশবাসীর জন্য আদৌ সুফল বয়ে আনেনি বা বয়ে আনতে পারে না।

বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্বের ফলে কত ধরনের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন, শোষণ যে বের হচ্ছে তা আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্বের জন্মদাতাদের মুখ থেকেই বের হচ্ছে।

যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্ব জাহিরের জন্য মইত্যা রাজাকার ছিল সদা উন্মুখ আজকে সে মইত্যা রাজাকারই দুমুর্খে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃশাসন সম্পর্কে ফিরিস্তির পর ফিরিস্তি পেশ করছে।

এ প্রসঙ্গে গত ১৫ই মে ২০০৮ ঈসায়ী রাজাকারদের দৈনিক ‘দৈনিক সংগ্রামে’ বলা হয়- আমীরে জামাত বলে, “জনগণের উৎকণ্ঠার বিষয় যে, কেয়ারটেকার সরকারের কার্যকালের মেয়াদ ৯০ দিন হলেও বর্তমান সরকারের কার্যকালের ১৬ মাস চলছে।

সংবিধান অনুযায়ী নীতিগত কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ এ সরকারের না থাকলেও অনেক নীতিগত বিষয়ে এ সরকার সিদান্ত গ্রহণ করেছে।

ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে এবং একটি অনির্বাচিত সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ সঙ্কট, উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা, বিনিয়োগ হ্রাস, বাণিজ্যিক সমতা ধ্বংস ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে বেকারত্ব বৃদ্ধি ইত্যাদি সবকিছু মিলে বর্তমানে দেশ এক নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখীন। ….

জামাতে আমীর বলে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো একটি নিভুর্ল ভোটার তালিকা তৈরি করে যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তা-না করে নির্বাচন কমিশনও তার সাথে বাইরে বহুবিধ কাজে হাত দিয়ে মূল কাজকে বিঘ্নিত করছে।

আমীরে জামাত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, সাম্রাজ্যাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাছিল করতে চায়। জাতিকে বিভক্ত করে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির আকঙ্খা পূরণ করার ফাঁদে কোন দেশপ্রেমিক ব্যক্তি পা দিতে পারেন না। (দৈনিক সংগ্রাম, ১৫ই মে, ২০০৮)

(ঙ)

উল্লেখ্য, মইত্যা রাজাকার বিবৃত উক্ত ফাঁদ, অপশাসন, দুনীর্তি, অনাচারের জন্মদাতা মইত্যা রাজাকার নিজেই। ফ্রাংকেনষ্টাইন দানবের মতই তার সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজ তাকেই গ্রেফতার করেছে। জেলে পুরেছে।

মূলতঃ এটা তার সামান্য দুনিয়াবী শাস্তি মাত্র। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে কেউ একটা বদ কাজের সূচনা করলো, যতজন লোক তাতে জড়িত হলো তাদের সমূদয় গুনাহ তার ঘাড়ে বর্তাবে।”

কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের খোলসে আজ যত অন্যায়-অনৈসলামী কাজ হয়েছে ও হচ্ছে, ছবি তোলার নির্যাতন, দ্রব্যমূল্যের নির্যাতন, জামিন না পাওয়ার জুলুমসহ সব ধরনের পাপ ও কষ্টের সমষ্টি যা হক্কুল ইবাদ নষ্টের ভয়াবহ রূপ- তা ইসলামের দৃষ্টিতে ঐ মইত্যা রাজাকার তথা রাজাকারদের গডফাদার গোআযম গং-এর ঘাড়েই বর্তাবে।

মূলতঃ তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব জাহির করে তারা যেন দুনিয়াতেই তাদের স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নিয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের মতই- আমেরিকার হিলারী ও ওবামা ধর্মকে হাতিয়ার করেই রাজনৈতিক ফায়দা লূটছে। ‘কে কত বেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসরাইল দরদী’- সেটা প্রমাণই ওদের ধর্মব্যবসার বড় পুঁজি। মিথ্যা, ধোঁকা, সাম্প্রদায়িকতা ও চাতুরীর সংমিশ্রনে ওদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার প্রচেষ্টা প্রমাণ করছে যে, কি বাংলাদেশ অথবা গণতন্ত্রের পাদপীঠ আমেরিকা- সবস্থানেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন মানেই মিথ্যা প্রচারণা আর অসৎ নীতি তথা নোংরা খেলার সংমিশ্রণ।

হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর প্রতি অপবাদ লেপনে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং এর অখ্যাত  মুখপত্রের নব্য সংযোজনের মূলোৎপাটন প্রসঙ্গে।

মন্তব্য প্রতিবেদন হাফেজ্জী শুধু যুদ্ধাপরাধীই নয় বরং সে দেওবন্দী ঘরানার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার পক্ষে সাফাই গেয়ে খতীব নুরুদ্দীন মহা কাযযাব হয়েছেও হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম-এর কঠোর অবমাননা করেছে।

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের এই দেশে, প্রকাশ্যে ইসলামের চরম অবমাননা, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ….. বাচ্চা বলার পরও গোটা সরকারের প্রতিক্রিয়াহীনতা খুবই দুঃখজনক ও রহস্যজনক। যা দেশবাসী মুসলমান কোনমতেই মেনে নিতে পারে না। কাজেই দেশবাসী মুসলমানরা, প্রত্যেক থানাতেই এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে অগ্রণী সেনা পাঠান, সংবিধানের ২(ক) ধারা মতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে অবমাননা করার দায়ে হাইকোর্টে রিট করুন অথবা প্রতি থানায় ১৫৩(ক)/২৯২/২৯৪/২৯৫(ক)/২৯৮/৫০৪/৩৪ দণ্ডবিধি আইনী ধারায় মামলা করুন। কমপক্ষে থানায় জিডি করুন।