হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর প্রতি অপবাদ লেপনে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং এর অখ্যাত  মুখপত্রের নব্য সংযোজনের মূলোৎপাটন প্রসঙ্গে।

সংখ্যা: ১৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

হাদীছ শরীফ-এর বিশুদ্ধ কিতাব মুসনাদে আহমদ-এ বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন ‘যখন তোমরা কোন পাহাড় সম্পর্কে শুনবে যে, পাহাড়টি স্থানচ্যূত হয়েছে, তখন তোমরা তা বিশ্বাস করবে কিন্তু যখন শুনবে কোন ব্যাক্তির আদত-স্বভাব পরিবর্তন হয়ে গেছে তখন তোমরা তা বিশ্বাস করবে না। কারণ সে চলবে সেই ছাঁচে যার উপর তাকে তৈরি করা হয়েছে।’

 উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এর বাস্তব মেছদাক হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং। কারচুপি, মিথ্যারোপ, তোহমত, অপবাদ লেপনের ক্ষেত্রে উক্ত খারেজী হাটহাজারী মাদরাসাওয়ালাদের স্বভাবজাত ইতিহাস নতুন নয়। কিতাবের ইবারত কারচুপি করে কুরআন-সুন্নাহ্্র মনগড়া ব্যাখ্যা করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহান ফাযায়িল-ফযীলত, মযার্দা-মর্তবার বিরোধীতা করতে করতে হাটহাজারীর খারেজীওয়ালাদের উপর স্থায়ী লা’নত পড়ে গেছে। যার ফলে অনবরত হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ যামানার মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর শান-মান, ইজ্জত-সম্মানের মানহানী করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও তাজদীদি মুখপত্র বাতিলের আতঙ্ক ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’-এ একাধিকবার হাটহাজারীর খারেজী আহ্্মক শফী গংদের মুখোশ উন্মোচন করে দাতভাঙ্গা জবাব প্রদান করা হয়েছে। প্রতি উত্তরে তারা সাময়িকভাবে বোবার ন্যায় চুপসে গেলেও স্বভাবজাত আদত বশতঃ পুনঃ পুনঃ ফন্দিফিকির করতে থাকে কিভাবে হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মানহানী করা যায়।(নাঊযুবিল্লাহ) কিন্তু তারা আদৌ পারছে না আর পারবে না কারণ হাদীস শরীফ-এ স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন ‘আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হক্বের উপর, সত্যের উপর বিজয়ী হয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধবাদী মুখালিফরা তাদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।’(সুবহানাল্লাহ) সুনানে তিরমিযী, আবুদাউদ শরীফ-এ বর্ণিত এ হাদীছ শরীফ-এর ঘোষিত হক্বপন্থী দলের ইমাম তথা রাহ্্বারই হচ্ছেন হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। হাদীছ শরীফ-এর ঘোষণানুযায়ী বাতীলপন্থীরা হক্বপন্থীদের কোন ক্ষতি করতে না পারলেও সাধারণ আম জনতাকে সাময়িকভাবে হলেও বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।

হাটহাজারীর খারেজী আহ্্মক শফী গংদের এমনি একটি সর্বশেষ অপচেষ্টা পত্রস্থ হয়েছে তাদের অখ্যাত মুখপাত্রের মে-সংখ্যায়। এতে আম জনতাকে ধোঁকা দেয়ার জন্য যে চতুরতাপূর্ণ মিথ্যা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে তাতে তাদেরকে উম্মতে মুসলিমার অন্তভুর্ক্ত বলে আর মানা যায় না। কারণ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে যেÑ ‘যে ধেঁাকা দেয় সে আমার উম্মত নয়।’ উক্ত খারেজী মুখপত্রে ১ম ধেঁাকা প্রতারণার যে আশ্রয় তারা নিয়েছে তা হল ‘পাঠকের পাতা কলামে’। অর্থ্যাৎ কখনো যদি প্রতারনা ফাঁস হয়ে যায় তাহলে যেন বলতে পারে- এটাতো আমাদের কথা নয় পাঠকের কথা। কিন্তু এমন কথা বলার আর অবকাশ কোথায়; কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারণার জালে আটকা পড়ে গেছে। কেননা উক্ত পাঠকের পাতা কলামে তারা ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এবং ‘অপরাধ প্রবণতা দমনে’ শিরোনাম দিয়ে দুটি লেখা পত্রস্থ করে লেখার শেষে নীচে পাঠকের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করতে পারলেও হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রসঙ্গে মিথ্যা তোহমত পূর্ণ লেখাটি কোথাকার কোন্্ পাঠক অথবা কোন্্ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তার কিছুই উল্লেখ করতে পারেনি। বুঝা গেল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েই হাটহাজারীর খারেজী গং নিজেরাই লেখাটি পত্রস্থ করেছে। এই লেখাটি পড়ে যতজন লোক হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর প্রতি কু-ধারণা বিদ্বেষভাব পোষণ করবে তাদের প্রত্যেকের গুণাহর দায়ভার খারেজী মুখপত্রের সম্পাদক হিসেবে মৌলভী আহমক শফীর উপরই বর্তাবে। তাদের ২য় ধোঁকা হচ্ছে, তারা যে বিকৃত ঘটনাটি উল্লেখ করেছে তা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের। কিন্তু তারা প্রায় আড়াই মাস পর অর্থাৎ তাদের খারিজী মুখপত্রের মে-সংখ্যায় তা ছাপিয়েছে। এতে আমজনতা বিভ্রান্ত হলেও প্রশ্ন তুলেছেÑ এত বড় ঘটনা খারেজী আহমক শফী গংদের জানতে আড়াই মাস সময় লেগে গেল। ঘটনার আড়াই মাস পর এমন মিথ্যা সংবাদ পত্রস্থ করার কি হাক্বীকত জানতে গিয়ে বেরিয়ে এল আসল ঘটনা। ইদানিং নাকি হাটহাজারীসহ তাবৎ খারেজী গংদের মধ্যে ভীষণ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মাদরাসার অনেক হক্ব তালাশী ছাত্রদের মধ্যে তাদের খারিজী মুরুব্বী উস্তাদদের বদ আক্বীদা, বদ আমলের কারণে হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সোহবতমূখী হবার প্রবণতা বেড়ে চলছে, ঈমান-আমল পরিশুদ্ধ করছে, সুন্নতের আমলে নিজেদের রঞ্জিত করছে। এ অবস্থা থেকে নিজেদের অপরাপর অনুসারী ছাত্রদের সাময়িকভাবে হলেও ফিরিয়ে রাখতে তারা এমন মিথ্যা ধোঁকাপূর্ণ সাজানো ঘটনা লেখার আশ্রয় নিয়েছে। ঈমানদার আমজনতাকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করতে তারা ৩য় যে ধেঁাকার আশ্রয় নিয়েছে তা হলো, “হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বরাতে মিথ্যা ফতোয়া উল্লেখ করা যে, তিনি নাকি ফতওয়া দিয়েছেন, একবার হজ্জ্ব করলে এক কোটি ষাট লাখ কবীরা গুনাহ হয়। (নাঊযুবিল্লাহ)

এটা এমন এক মিথ্যা কথা, উদ্ভট ফতওয়া যা কোন ইসলামের নামে বাতিল ফিরক্বাতো দূরের কথা কোন ইহুদী-নাছারা-মুশরিকরা পর্যন্ত এমন কথা বলার সাহস করবে না। কারণ এটা সবাই জানে ইসলামের পাঁচটি প্রধান ভিত্তির একটি হলো ‘হজ্জ সম্পাদন করা’। এরপরও কি করে হাটহাজারী খারেজী আহমক শফী গং হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর বরাতে এমন বিভ্রান্তিমূলক ফতওয়ার তোহমত দিল। তারা কি এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারবে যে হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কিংবা তাঁর কোন আদনা অনুসারী এমন কথা কোথাও কখনও বলেছেন! কস্মিনকালেও তারা তা পারবেনা। তাহলে কোথায় কার কাছ থেকে শুনেছে তারা এমন উদ্ভট কথা। হাদীছ শরীফ-এতো ইরশাদ হয়েছে- ‘মানুষের মিথ্যাবাদী হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, সে যা শুনে তাহক্বীক না কারে তাই বলে বেড়ায়।’ আসলে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং তারই সমগোত্রীয় কারো দ্বারা প্রতারিত হয়ে এমনটি লিখেছে এবং সাথে সাথে নিজেদেরকে মহা কায্্যাব বলে প্রতিপন্ন করেছে। তাদের ধেঁাকাপূর্ণ মিথ্যার ৪র্থটি হলো, হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী নাকি ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নাটোর শহরে তাশরীফ নেন। এটাও ডাহা মিথ্যাকথা। মূলতঃ আন্দাজ করে বানিয়ে লিখলে এমনটিই হয়। অথচ শুক্রবার হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজশাহীতে অবস্থান করেন। সেখানেই জুমুয়ার নামায পড়ান এবং বাদ ঈশা বুলনপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে বিশাল মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। হাটহাজারী থেকে খারেজী আহমক শফীগং কি কল্পিত স্বপ্নে দেখেছে যে, শুক্রবার হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁর অনুসারী দেরকে নিয়ে নাটোর শহরে অবস্থান নেন? এজন্যই আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে বলেন- ‘মানুষের অধিকাংশ ধারনাই ভুল (তথা মিথ্যা)’। হাটহাজারীর খারেজী গং ৫ম ধেঁাকাতে লিখেছেÑ জনতা, মুসুল্লী, পীর অনুসারী বলে। নাদান আহমক শফী এ ভাবে তিনভাগ করে বুঝাতে চাইলো, যারা হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর অনুসারী তাঁরা না মুসুল্লী না জনতার অন্তর্ভুক্ত।(নাউযুবিল্লাহ) এতে একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে; মূলতঃ যারা ফিৎনাবাজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তারাই ছিল তাদের উল্লেখিত জনতা-মুসুল্লী রূপী খারেজী গং। উল্লেখ্য খারেজী আহমক শফী গং তাদের বাপ-মাকে যেমনটি ভাল করে চিনে জানে তার চেয়েও ভাল করেই জানে হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারক কি? এরপরও তারা শয়তানী করে বিকৃতভাবে উল্লেখ করেছে ‘জিল্লুর রহমান’ নামে। এ ইতিহাসও তাদের পুরোনা এর পূর্বেও তারা নাম মুবারকের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। আম জনতার প্রতি ছিল এটা তাদের ৬ষ্ঠ ধোঁকা। এরপর তারা ৭ম যে ধোঁকা দিয়েছে তাতে আমি নিজেতো সাক্ষী বরং পুরো নাটোরবাসীও ভালভাবে জানেন যে কোনদিন কোন ওয়াক্তে নামাযের জন্য কিংবা অন্য কোন কারনেও হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এক সেকেন্ডের জন্যও উল্লেখিত দিয়ারভিটা জামে মসজিদে প্রবেশ করেন নাই।  অথচ খারেজী আহমক শফী গং লিখেছেÑ ইশার নামাজের সময় নাকি হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মসজিদের খারেজী ইমামের  গলায় ঝুলানো হাজী রুমাল টানা হ্যঁাচড়া করে বলেন- হাজী রুমাল পরা হারাম; বাংলাদেশের কোন ইমামের পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ হবেনা ইত্যাদি।(নাঊযুবিল্লাহ) কতবড় ডাহা মিথ্যা অপবাদ যা দেখে ইবলিশও বোধহয় প্রকম্পিত হবে এই ভেবে ইবলিশের চেয়ে বড় ইবলিশ বুঝি নাযিল হয়েছে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফীর ঘাঁড়ে। কোন মসজিদে গিয়ে কোন ইমাম বা কোন মুসুল্লীর রুমাল-কাপড় টানা-হ্যাচঁড়া করে ফতওয়া দেয়ার মত দৃষ্টিকটু অশোভনীয় আমল যদি হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর জন্য শোভা পেত তাহলে কবেই তো তিনি তাঁর অপরিসীম বেলায়েত-কামালতের গুণে তাবৎ বাতিলপন্থী খারেজীগংদেরকে এমনকি আহমক শফীগং এর চৌদ্দগোষ্ঠি খারিজী পূর্ব পুরুষদেরকে কবর থেকে টেনে হিঁচড়ে উঠিয়ে দোররা মেরে পিটিয়ে শায়েস্তা করতেন দ্বীন ইসলামে ফিৎনা সৃষ্টির অপচেষ্টার জন্য। মূলতঃ প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে গিয়ে হযরত মুজাদ্দিদে আযম মু্দ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রতি অপবাদ লেপন করতে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং এতগুলো মিথ্যা ধেঁাকা প্রতারনাপূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অথচ আল্লাহ পাক কালাম পাকে ইরশাদ ফরমান- ‘প্রত্যেক মিথ্যাবাদী তথা মিথ্যারোপকারীর প্রতি আল্লাহ পাক-এর পক্ষ হতে লানত’। (নাঊযুবিল্লাহ) মহাকায্্যাব হাটহাজারীর উল্লেখিত অপবাদমূলক মিথ্যা ঘটনা লিখার বিপরীতে আসলে প্রকৃত ঘটনা যে কি তা হক্ব তালাশী পাঠক তথা হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং কর্তৃক বিভ্রান্ত আম জনতার জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করছি। যাতে হাটহাজারীর খারেজীওয়ালাদের বিভ্রান্তিমূলক ধেঁাকা থেকে মুক্তি পেতে সহজ হয়।

উল্লেখ্য দাওয়াতের নামে জীবননাশের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়া খাছ সুন্নত। আর সেই সুন্নতটিই যেন কুদরতীভাবে পালিত হলো মুজাদ্দিদে আযম, গাউছুল আযম, হাবীবে আযম, আওলাদে রসূল মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর দ্বারা। জানা যায়, নাটোরের দিয়ারভিটা জামে মসজিদ কমিটি রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আগমন উপলক্ষে এক মীলাদ মাহফিলের আগ্রহ প্রকাশ করে। এমনকি মসজিদের ইমাম-খতীব জানায় যে, সে মীলাদ ক্বিয়াম সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর কাছে ফায়সালা জানবে।

তাদের সে আগ্রহ ও দাওয়াত মোতাবেক মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর লোকজন উক্ত মসজিদে মাগরিবের সময় উপস্থিত হন। কিন্তু নামাযের পর পরই ইমাম জানায় যে, মসজিদে মীলাদ শরীফ পড়া যাবে না। এদিকে মীলাদ শরীফের পক্ষে যেহেতু বেশ দাওয়াত দেয়া হয়েছে, প্রচার করা হয়েছে সেহেতু তাৎক্ষণিক মীলাদের ব্যবস্থা করা হয় মসজিদ সংলগ্ন খন্দকার শাফিউল ইসলামের বাসভবনে। যথারীতি মীলাদ মাহফিল শেষ হয়। দোয়া-মুনাজাতও হয়। অতঃপর মিষ্টি বিতরনের শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে দিয়ারভিটা জামে মসজিদের ইমাম-খতীবের ভাড়াটিয়া বাহিনী। হঠাৎ করে তারা বের করে বিশাল বিশাল লাঠির বোঝা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর অনুসারীরা তা দেখে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে মসজিদের ছাদ থেকে তারা বর্ষণ করতে থাকে ইট বৃষ্টি। মসজিদের কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য হাজার হাজার ইট রক্ষিত ছিলো। সেগুলোকেই তারা বৃষ্টির মত নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় উক্ত জঙ্গি-খারেজী ইমাম-খতীব মাইকে ঘোষণা করতে থাকে, ‘কাদিয়ানীরা আসছে, চোর-ডাকাত আসছে, গ্রামবাসীরা যে যা পার সব নিয়ে বের হও।’

কিন্তু গ্রামবাসীরা তার মিথ্যা কথায় কর্ণপাত না করলেও আগে থেকে তাদের জড় করে আনা ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী পুরো বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। সমানে তারা ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পুরো বাড়িটি তখন টিকে থাকে মূলতঃ মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর কারামতে।

এরপরে তারা বাড়ির পিছনে আগুন ধরিয়ে দেয়।  এমনকি বাড়ীর সামনে রক্ষিত হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর গাড়ী ভাংচুর করে পেট্রোল ঢেলে দেয়। অতঃপর ফায়ার সার্ভিসের কমীর্রা এসে সে আগুন নেভায়। অর্থাৎ তারা দাওয়াত দিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে শহীদ করার অপচেষ্টাই করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

মূলতঃ এর দ্বারা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর হত্যার ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ার সুন্নতটিই পালিত হলো। যেহেতু তিনি সর্বদাই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সুন্নতের অনুসরণ-অনুকরণ করতে চান। কিন্তু কথা হলো, বণী রি’ল, যাকওয়ান ও উছাইয়াহ গোত্রের সেসব ইহুদীদের কৃত হত্যার ষড়যন্ত্রের সুন্নত পালিত হবে কি করে? সেটাই যেন পালিত হলো ধোঁকাবাজ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, মুনাফিক হাটহাজারীর আহমক শফীগং এর শিক্ষা-দীক্ষায় লালিত-পালিত নাটোরের কাট্টা উলামায়ে ‘ছূ’ দিয়ারভিটা জামে মসজিদের দুষ্ট ইমাম-খতীব ও তার সাঙ্গপাঙ্গ দ্বারা।

মুহম্মদ জুনায়েদুর রহমান চিশতী, ঢাকা

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের মতই- আমেরিকার হিলারী ও ওবামা ধর্মকে হাতিয়ার করেই রাজনৈতিক ফায়দা লূটছে। ‘কে কত বেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসরাইল দরদী’- সেটা প্রমাণই ওদের ধর্মব্যবসার বড় পুঁজি। মিথ্যা, ধোঁকা, সাম্প্রদায়িকতা ও চাতুরীর সংমিশ্রনে ওদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার প্রচেষ্টা প্রমাণ করছে যে, কি বাংলাদেশ অথবা গণতন্ত্রের পাদপীঠ আমেরিকা- সবস্থানেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন মানেই মিথ্যা প্রচারণা আর অসৎ নীতি তথা নোংরা খেলার সংমিশ্রণ।

রাজাকারদের গডফাদার গোআযমের চুরি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব ও মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতার প্রসঙ্গঃ

মন্তব্য প্রতিবেদন হাফেজ্জী শুধু যুদ্ধাপরাধীই নয় বরং সে দেওবন্দী ঘরানার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার পক্ষে সাফাই গেয়ে খতীব নুরুদ্দীন মহা কাযযাব হয়েছেও হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম-এর কঠোর অবমাননা করেছে।

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের এই দেশে, প্রকাশ্যে ইসলামের চরম অবমাননা, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ….. বাচ্চা বলার পরও গোটা সরকারের প্রতিক্রিয়াহীনতা খুবই দুঃখজনক ও রহস্যজনক। যা দেশবাসী মুসলমান কোনমতেই মেনে নিতে পারে না। কাজেই দেশবাসী মুসলমানরা, প্রত্যেক থানাতেই এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে অগ্রণী সেনা পাঠান, সংবিধানের ২(ক) ধারা মতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে অবমাননা করার দায়ে হাইকোর্টে রিট করুন অথবা প্রতি থানায় ১৫৩(ক)/২৯২/২৯৪/২৯৫(ক)/২৯৮/৫০৪/৩৪ দণ্ডবিধি আইনী ধারায় মামলা করুন। কমপক্ষে থানায় জিডি করুন।