রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের এই দেশে, প্রকাশ্যে ইসলামের চরম অবমাননা, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ….. বাচ্চা বলার পরও গোটা সরকারের প্রতিক্রিয়াহীনতা খুবই দুঃখজনক ও রহস্যজনক। যা দেশবাসী মুসলমান কোনমতেই মেনে নিতে পারে না। কাজেই দেশবাসী মুসলমানরা, প্রত্যেক থানাতেই এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে অগ্রণী সেনা পাঠান, সংবিধানের ২(ক) ধারা মতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে অবমাননা করার দায়ে হাইকোর্টে রিট করুন অথবা প্রতি থানায় ১৫৩(ক)/২৯২/২৯৪/২৯৫(ক)/২৯৮/৫০৪/৩৪ দণ্ডবিধি আইনী ধারায় মামলা করুন। কমপক্ষে থানায় জিডি করুন।

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

না- সরকার প্রধান, সেনাবাহিনী প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদ, ধর্ম উপদেষ্টা, সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কারো তরফ থেকেই রাবিতে মুরতাদ নাট্যগোষ্ঠী উদীচী কর্তৃক অনুষ্ঠিত ‘মান্দার’ নাটকে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক নিয়ে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করার কোনো প্রতিক্রিয়ামূলক বক্তব্য দেখা যায়নি।

ইসলামের দৃষ্টিতে বড় আফসুস্ ও দুঃখের পাশাপাশি প্রশ্ন ঘনিভূত হয়,

তারা কী মুসলমান নয়?

তারা কী মরবে না?

তারা কী কবরে যাবে না?

তাদের কী পরকাল নেই?

নেই হাশর-নশর?

তাদের কী প্রয়োজন নেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শাফায়াত?

অথচ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শাফায়াত ব্যতীত কারো পক্ষেই নাজাত পাওয়া সম্ভব নয়; তা ছাড়া জাহান্নাম অবধারিত।

এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। এদেশের পুলিশ, বিডিআর, আর্মি, নেভী, এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি, ডিবি, সিআইডি তথা গোটা প্রশাসনের প্রায় ৯৯ ভাগ লোকই মুসলমান।

সুতরাং উপরোক্ত প্রশ্নের মুখোমুখি তো সবাই। বলা যেতে পারে, বর্তমানে মোট থানার সিংহভাগ ওসিই মুসলমান। এসব ওসির রাষ্ট্রীয় সংবিধান এবং ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওইসব কথিত মুরতাদ নাট্যগোষ্ঠী ও নাট্যদলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অবকাশ রয়ে গেছে।

এদিকে গত ১১/১০/২০০৮ তারিখে মুরতাদ নাট্যগোষ্ঠী  উদীচী এবং তার সমগোত্রীয়রা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিহত করার, তাদেরকে বাধাগ্রস্ত করার তথা তাদেরকে মারার হুমকি দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর নামে তারা মিথ্যা জিডি করেছে এবং ‘দৈনিক আল ইহসান’ সমর্থক, পাঠকদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।

এতদ্বপ্রেক্ষিতে ‘দৈনিক আল ইহসান’-এর প্রেসনোট থেকে সারাদেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি খোলা সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করা হলো-

প্রতি

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি থানা।

বিষয়: “গত ৩রা নভেম্বর/২০০৮, রাজশাহীতে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ বলে মান্দার নাটকে অভিনয়কারী উদীচী সংগঠন কর্তৃক আজ থেকে আগামী যে কোন তারিখে বাংলদেশের যে কোন স্থানে মুরতাদ উদীচী এবং তাদের সহযোগী নাট্যগোষ্ঠী কর্তৃক আহ্বানকৃত তথাকথিত প্রতিবাদি সমাবেশ নিষিদ্ধকরণ এবং তৎপ্রতি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে স্মরকলিপি প্রদান এবং সাধারন জায়েরী গ্রহণ প্রসঙ্গে।

জনাব,

যথাবিহিত সম্মান জ্ঞাপন পূর্বক বলছি যে, আপনি অবগত আছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ২(ক) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’।

এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘বিসমিল্লার্হি রহমানির রহীম’। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবনায় লিখিত হয়েছে, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’।

এছাড়া বাংলাদেশ সংবিধান প্রস্তাবনায় আরো লিখিত হয়েছে, ‘আমরা অঙ্গীকার করছি যে, ‘যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুব্ধ করেছিলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’।

সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

আপনি জানেন যে, একজন মুসলমানের কাছে সবচেয়ে বড় হলো, আল্লাহ পাক-এর রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কাজেই আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোনো অবমাননা হলে পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ অনুযায়ী কেউ যদি তার জীবন দিয়ে হলেও তার প্রতিবাদ না করে তাহলে সে মুসলমান থাকতে পারে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র পাকিস্তানে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে যাতে এর জন্য শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

গত ৩রা নভেম্বর/২০০৮ রাজশাহীতে ‘মান্দার’ নাটকে প্রকাশ্যে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ (নাউযূবিল্লাহ) বলার পরও আজ পর্যন্ত কোনো দুঃখ প্রকাশ বা তওবা তো করেইনি বরং তারা এটাকে শুধুমাত্র রাজাকার জামাতীদের বিষয় ব্যক্ত করে উল্টো তার পক্ষে আরো সমাবেশের আয়োজন করেছে।

সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

গত ১৩/১১/২০০৮ তারিখে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত তাদের তথাকথিত প্রতিবাদী সমাবেশ এটাই প্রমাণ করে যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ’ বলে অবমাননা করার পর তারা মোটেও অনুতপ্ত তো নয়ই বটে বরং উল্টো তাদের মুরতাদী কাজের পক্ষে তারা আরো অগ্রসর।

সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

কথিত ‘মান্দার’ নাটক তাদের ভাষ্যমতেই একটা পরিবেশবাদী নাটক, কিন্তু এটাকে তারা মঞ্চস্থ করেছে ‘লালন ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে’। উল্লেখ্য, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আমি এসেছি মূর্তি ধ্বংস করার জন্য।’ কথিত লালন ভাস্কর্যের পক্ষে উদীচী- আল্লাহ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননা করার জন্য দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংলাপ সম্বলিত নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। (নাউযূবিল্লাহ)

সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

কাজেই আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননাকারী উদীচী দেশের পনের কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত দিয়েছে যা দণ্ডবিধির ২৯৫(ক), ২৯৮ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

কাজেই এতদ্বপ্রেক্ষিতে দেশের যে কোন স্থানে মুরতাদ নাট্যগোষ্ঠী উদীচীর এবং তাদের সহযোগী গোষ্ঠীর তথাকথিত প্রতিবাদ সমাবেশ হলে তা হবে আগুনে ঘি ঢালার শামিল।

ইসলামের দৃষ্টিতে দেশের পনের কোটি মুসলমান তা জীবন থাকতে বরদাশত করতে পারে না। এরকম একটা অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে বিধায় সঙ্গতকারণেই উক্ত বেআইনি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সম্পন্ন প্রতিবাদ সভা বন্ধের জন্য আবেদন ও অনুরোধ করা হচ্ছে।

পাশাপাশি উদীচী এবং তাদের সহযোগী মুরতাদ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী কর্তৃক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ রসূল’ বলা এবং উল্টো তার পক্ষে সমাবেশ করা এবং এর প্রতিবাদকারী মুসলমান, দৈনিক আল ইহসান-এর পাঠক-সমর্থকদের প্রতিহত করার বিষয়টি আপনার থানায় সাধারণ ডায়েরী করার জন্য আবেদন করছি।

নিবেদক-

আপনার থানার

ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট খোলা চিঠি

দেশবাসী মুসলমানের দম বন্ধ হয়ে আছে, মুসলমান আজ খেতে পারছে না, পান করতে পারছে না, বাঁচতে পারছে না, মুসলমান আজ কলেমা শরীফ উচ্চারণ করতে পারছে না।

অবিলম্বে রাজশাহীর মুরতাদদের ইসলামী শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ বাস্তবায়ন করে স্বতঃস্বফূর্তভাবে কলেমা শরীফ উচ্চারণের সুযোগ করে দিন

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা দম ফেলতে পারছি না। বুক বন্ধ হয়ে আছে। খেতে পারছি না। পান করতে পারছি না। চলতে পারছি না। জীবন ধারণ করতে পারছি না।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা নামায পড়তে পারছি না। নামায কবুল হবে বলে আশা করতে পারছি না। মসজিদে যেতে পারছি না। মসজিদ আমাদের উপহাস করছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা কুরআন শরীফ পড়তে পারছি না। কুরআন শরীফ আমাদের বিদ্রুপ করছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা কলেমা শরীফ পড়তে পারছি না। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ করতে পারছি না। মুহম্মাদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ আমাদের মুখে মানাচ্ছে না।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

গত ৩রা নভেম্বর/২০০৮ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক ব্যঙ্গ চরিত্রে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যবহার করে নাটক প্রদর্শন করেছে।  তাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে দেশবাসী মুসলমান। জানা গেছে, গত সোমবার জেল হত্যা দিবস ও বিমান বন্দরের সামনে গেইট থেকে লালন ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধূমকেতু নাট্য সংসদের পরিচালনায় উদীচীর শিল্পীরা ‘মান্দার’ নাটক মঞ্চস্থ করে। এ নাটকে মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। তারা এ নাটক প্রদর্শন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট থেকে কোন রকম অনুমতিও নেয়নি বলে প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে।

‘মান্দার’ নামক এ নাটকে একটি ব্যঙ্গ চরিত্রের নাম রাখা হয় ‘মোহাম্মদ রাসূল।’ নাটকের মধ্যে মোহাম্মাদ রাসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চরিত্রকে ব্যঙ্গ করে অধিকাংশ দৃশ্যে ‘এই কুত্তার বাচ্চা মোহাম্মদ’ (নাঊযুবিল্লাহ) বলে গালি দিয়ে তার চরিত্রটিকে চামচা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যা দ্বারা মূলতঃ ইসলাম ধর্মের প্রাণপুরুষ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ করেই আমরা মুসলমান হয়েছি। তাঁর উছীলায় আমরা সৃষ্টি হয়েছি। তাঁকে স্বয়ং আল্লাহ পাক- তাঁর হাবীব ও আখিরী রসূল বলে আল্লাহ পাক-এর পরেই তাঁর মর্যাদা-মর্তবা ঘোষণা করেছেন। এবং ইরশাদ করেছেন, “কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হতে পারবে না; যতক্ষণ সে মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ঈমান না আনবে।”

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, আখিরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ঈমান এনেছিলেন। যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক নিয়ে অবমাননা করত সে কাব ইবনে আশরাফ ও আবু রফে গংকে সোজা জাহান্নামে পাঠিয়েদিয়েছিলেন। ঈমানের হক্ব তারা আদায় করেছিলেন। অকৃত্রিমভাবে তারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ করতে পেরেছিলেন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

দেশের পনের কোটি মুসলমান আজ কলেমা শরীফ পড়তে বড়ই বিব্রত বোধ করছেন। কলেমা শরীফ পড়ার হক্বদার হিসেবে নিজেদের ভিতরে যোগ্যতার অভাব অনুভব করছেন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

এক মালউন লিখিত নাটক প্রদর্শনের সময়, লেখার চেয়েও অনেক বেশি করে (… বাচ্চা মুহম্মাদ রসূল) বলবে; সে এখনও জীবিত থাকবে, বহাল তবিয়তে থাকবে-

* সেক্ষেত্রে কি কলেমা শরীফ আমাদের মানায়?

* কলেমা শরীফ-এর উচ্চারণে কি আমরা অকৃত্রিম প্রমাণিত হই?

* মুহম্মর্দু রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণে কি আমরা বিশ্বাসী প্রমাণিত হই?

মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্মানে কি আমরা জীবন দিতে ব্রতী প্রমাণিত হই?

মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণের হক্ব কি আমাদের থাকে?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমাদের সত্যিকার ভাবে কলেমা শরীফ উচ্চারণের স্বতঃস্ফূর্ত যোগ্যতাধারী হওয়ার ব্যবস্থা করুন।

মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননাকারী মুরতাদদের প্রকাশ্যে কতল করার সুযোগ দিয়ে আমাদের বদ্ধ বুকের দম ছাড়ার সুযোগ দিন।

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলার হক্ব ফিরিয়ে দিন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা আপনি বা আপনার সরকারও যদি সরকারী ব্যবস্থাপনায় ঐ মুরতাদদের প্রকাশ্যে কতল করে তবে আপনার সম্মানার্থে দেশবাসী তাদের সে সওয়াব হাসিলের সুযোগ, তাদের ঈমান রক্ষার ফায়দা আপনাকে দিতে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধিতে নিমরাজী হবে না।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলাম বিরোধী দেশ ইসরাইল অতঃপর আমেরিকা, ডেনমার্ক তথা ইউরোপ। কিন্তু আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্ষমতাধর রাষ্ট্র বা সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিরোধী ব্যক্তিত্বরাও- আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক নিয়ে এরকম প্রকাশ্য অশ্লীল গালী বার বার দেয়ার, দেখানোর সাহস পায়নি।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

অথচ আপনার আমলে তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে তা ঘটলো। (নাঊযুবিল্লাহ)

কিন্তু আশ্চর্য! তারপরেও নির্বিকার আপনি। (নাঊযুবিল্লাহ)

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনি কি চান দেশবাসী মুসলমান, পনের কোটি মুসলমান তারা চারপায় জন্তু শিয়ালের চেয়েও অধম হোক।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

গত ০৭/১১/২০০৮ ইং তারিখে ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় খবর হয়: “শিয়ালের প্রতিশোধ’।

অভয়নগরে শিয়ালের বেপরোয়া কর্মকা-ে পথে বসেছেন এক পোলট্রি ব্যবসায়ী। ২ লাখ টাকার ক্ষতি সহ্য করতে না পেরে  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন পোলট্রি মালিক রতন কর্মকার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিরাজকাঠি গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, রতন কর্মকার পোলট্রি খামারে শিয়ালের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখেন বৃহস্পতিবার রাতে। বিষ মেশানো খাবার খেয়ে ওই রাতে চারটি শিয়াল মারা যায়। এ ঘটনার দু’দিন পর তিন শতাধিক শিয়াল জোটবদ্ধ হয়ে রতন কর্মকারের ওই পোলট্রি ফার্মে হামলা চালিয়ে ২ লাখ টাকা মূল্যের তিন শতাধিক মুরগি মেরে ফেলে। শিয়ালের হামলায় খামারটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

একটা শিয়াল যদি নিকৃষ্ট জীব হয়েও আরেক শিয়ালের প্রতি মুহব্বতে প্রতিশোধ নিতে এত হিংস্র হয়ে উঠতে পারে তবে

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আমরা যে আশরাফুল মাখলুকাত, আমরা যে উম্মতে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদের মাল-জান, সম্পদ, স্ত্রী-পুত্রের চেয়েও সবচেয়ে মুহব্বতের যিনি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মুহব্বতে গরক হয়ে, তাঁকে যারা …. বাচ্চা বলে অবমাননা করেছে তার প্রতিশোধ গ্রহণে, মুসলমান হিসেবে আমাদের কতটুকু ভয়ঙ্কর, জিহাদী হয়ে উঠা উচিত?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

জিহাদের এই ডাক কিন্তু কুরআন শরীফ-এ বার বার এসেছে। মুরতাদ ও মুনাফিকদের সোজাসুজি কতল করার কথা বার বার ঘোষণা করা  হয়েছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

‘দৈনিক আল ইহসান’-এ আপনার প্রতি বার বার নছীহত করা হয়েছে। তবে আপনার চারপাশের চাটুকার দ্বারা আপনি বার বার বিভ্রান্ত হয়েছেন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

হতে পারে এই সব চাটুকাররা আপনার কান ভারী করতে পারে। কিন্তু মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, কানভারী কিন্তু স্বাভাবিক নয়। আর যা স্বাভাবিক নয় তা খুবই খারাপ ও ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি করতে পারে।

সুতরাং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনার কাছে যারা ‘আল ইহসান’-এর নামে কান ভারী করে আপনি তাদের সোজা বলে দিতে পারেন যে,

আল ইহসান-এ সোজা কুরআন শরীফ-এর সূরা, আয়াত নম্বর দিয়ে মুরতাদদের বিরুদ্ধে লিখা হয়েছে।

নিজস্ব কোন মন্তব্য করা হয়নি।

সুতরাং আল ইহসান-এর বিরোধিতা করার অর্থ হলো- সোজা কুরআন শরীফ-এর বিরোধিতা করা। যা করলে গোটা দেশে আগুন জ্বলবে। দেশের ৯৫% মুসলমান জিহাদে নামবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

গতকাল সব পত্রিকায় একুশের প্রথম কবি মাহবুব আলমের বন্দনা করা হয়েছে। তার কবিতায় ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসীর দাবী নিয়ে এসেছি আমি’ এ চরণ উল্লেখ করা হয়েছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

মিডিয়া জানায়, মাহবুব আলমের ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসীর দাবি নিয়ে এসেছি’ এ চরণ পড়ে আপনিও অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

মাতৃভাষার মুহব্বত ঈমানের অঙ্গ। মাতৃভূমির মুহব্বত ঈমানের অঙ্গ। সে অঙ্গের জন্যই যদি ফাঁসীর দাবি নিয়ে হাজির হতে পারে, সে অংশত ঈমান মাতৃভূমির জন্যই যদি ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হতে পারে; তবে-

মাননীয় প্রধান প্রধান উপদেষ্টা,

ঈমানের পূর্ণাঙ্গ রূপ- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য তাঁর উম্মত, পনের কোটি মুসলমান কী-না করতে পারে?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

যে লক্ষ্যে দেশের ৯৫% অধিবাসী মুসলমান নিজেরাই ঈমানদীপ্ত হয়ে মুরতাদের শাস্তি বাস্তবায়ন করে, তাদের কতল করে, তাদের ঈমানের তেজ আপনাকে দেখাতে পারে অথবা

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

যেহেতু আপনিই দেশের পনের কোটি মুসলমানের দেশের সরকার প্রধান সেহেতু আপনিই  সরকারী ব্যবস্থাপনায় ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়ন করে পনের কোটি মুসলমান দেশের সরকার প্রধান হিসেবে আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন।

পনের কোটি মুসলমানের দমবদ্ধ বুকের বাতায়ন খুলে দিতে পারেন।

সজীব শ্বাসের সাথে,

ঈমানের হক্ব আদায় করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উচ্চস্বরে সত্যিকারভাবে

বলার অবকাশ দিতে পারেন

 ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।

ইতি দেশের পনের কোটি মুসলমানদের পক্ষে-

গোলামে মুজাদ্দিদ

-মুহম্মদ তারীফুর রহমান:

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের মতই- আমেরিকার হিলারী ও ওবামা ধর্মকে হাতিয়ার করেই রাজনৈতিক ফায়দা লূটছে। ‘কে কত বেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসরাইল দরদী’- সেটা প্রমাণই ওদের ধর্মব্যবসার বড় পুঁজি। মিথ্যা, ধোঁকা, সাম্প্রদায়িকতা ও চাতুরীর সংমিশ্রনে ওদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার প্রচেষ্টা প্রমাণ করছে যে, কি বাংলাদেশ অথবা গণতন্ত্রের পাদপীঠ আমেরিকা- সবস্থানেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন মানেই মিথ্যা প্রচারণা আর অসৎ নীতি তথা নোংরা খেলার সংমিশ্রণ।

হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এর প্রতি অপবাদ লেপনে হাটহাজারীর খারেজী আহমক শফী গং এর অখ্যাত  মুখপত্রের নব্য সংযোজনের মূলোৎপাটন প্রসঙ্গে।

রাজাকারদের গডফাদার গোআযমের চুরি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তত্ত্ব ও মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতার প্রসঙ্গঃ

মন্তব্য প্রতিবেদন হাফেজ্জী শুধু যুদ্ধাপরাধীই নয় বরং সে দেওবন্দী ঘরানার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার পক্ষে সাফাই গেয়ে খতীব নুরুদ্দীন মহা কাযযাব হয়েছেও হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম-এর কঠোর অবমাননা করেছে।