শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে তথাকথিত সব জাতীয় পত্রিকা হাতে নেয়ার অযোগ্য, বাসায়-অফিসে রাখার সম্পূর্ণই অযোগ্য অবাধে অগাধে অশ্লীল ছবি ওরা ছাপাচ্ছে কি করে? দেখার যেমন কেউ নেই? চিন্তা করারও কি কেউ নেই?

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওগুলোকে বলা হত তখন ‘পিনআপ পত্রিকা’। স্টল থেকে প্রকাশ্যে সেসব পত্রিকা কেউ কিনত না। বখাটে ছেলেপুলেরা চুপিসারে কিনতো। আর পত্রিকা ধরে পাতা উল্টানোর কোন অবকাশই থাকতো না।

কারণ, প্রচ্ছদসহ তা পিন মারা থাকতো। আর পাতা উল্টালেই যাতে জনসম্মুখে অশ্লীল ছবি বেরিয়ে না পড়ে সেজন্যই তা পিন মেরে রাখা হতো।

অর্থাৎ অশ্লীল ছবির বিরুদ্ধে এই গত দুই দশক আগেও দেশে একটা মূল্যবোধ ছিলো। প্রশাসনের নজরদারি ছিলো। এমনকি তৎকালীন মিডিয়াতেও এটাকে খুব খারাপভাবে দেখা হত। মিডিয়া জগতে অশ্লীল ছবি যারা ছাপায় তারা গুণগত মানে পারছে না বলেই অশ্লীল ছবি ছাপিয়ে পাঠক ধরার হীন কৌশল অবলম্বন করছে বলে ঝাড়া মন্তব্য ঢালা হতো। সে সময় বাংলার বানী পত্রিকাটি এরকম বিকৃত পথের পথিক ছিলো বলে সমালোচনা ছিলো।

একথার অধুনালুপ্ত এক সাপ্তাহিকে এই সব পিনআপ পত্রিকা নিয়ে একটা কড়া সমালোচনার রিপোর্ট হয়। এবং তাতে উল্লেখ করা হয় যে, ঐসব পত্রিকাগুলো যে ঠিকানা থেকে বের হয় তা খুঁজে একটিকেও পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ ঐ সময়ের তৎকালীন অশ্লীলতার বিরুদ্ধেও এতটা মূল্যবোধ তথা আইনের বাস্তবায়ন ছিলো যে, তৎকালীন কোনো অশ্লীল পত্রিকা আসল ঠিকানা দিয়ে পত্রিকা প্রকাশের সাহস পেতো না।

সত্যিই পৃথিবী কত তাড়াতাড়ি বদলায়। খারাপ কত সহজে বিস্তার লাভ করে।

তৎকালে পিনআপ পত্রিকাগুলোও যেসব অশ্লীল ছবি ছাপাতে পারতো না; আজকে কথিত বিনোদন আর সিনে ম্যাগাজিন নয় আজকের তথাকথিত প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকগুলো সব প্রথম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পৃষ্ঠায় এমন সব অশ্লীল ছবি ছাপে মনে হয়, অশ্লীল শব্দটাও অশ্লীলতার ঊর্ধ্বে চলে গেছে। (নাউযুবিল্লাহ)

সঙ্গতকারণেই বাজারে চালু অন্যসব দৈনিক পত্রিকাগুলোকে ন্যুড পত্রিকা বললেও অত্যুক্তি হয়না।

কথা হচ্ছে, শতকরা ৯৫% মুসলমান অধিবাসীর এই দেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশে জাতীয় পত্রিকার নামে এইভাবে ন্যুড পত্রিকা চলতে পারে তা সত্যিই চরম অবিশ্বাস্য, চরম অকল্পনীয়।

প্রথম পৃষ্ঠা, শেষ পৃষ্ঠা তো আছেই আর ভিতরের বিনোদন পাতা, সাজ-সজ্জার পাতা, ফিচার পাতা, সাপ্লিমেন্টারী, খেলাধুলার পাতাতেও আজকের তথাকথিত জাতীয় দৈনিকগুলো যে পুরোদস্তর বিবস্ত্র ছবি ছাপিয়ে এদেশের যুবসমাজের মাথা ও চরিত্র নষ্ট করে দিচ্ছে তা এখনই নির্মূল না করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে মূল্যবোধ থেকে মুসলমান আর বিধর্মীরূপে পার্থক্য করা যাবেনা তাতে সবিশেষ সন্দেহ রয়েছে।

অশ্লীলতা নিরোধের নামে বাংলাদেশে যে আইন রয়েছে তা অবস্থার তুলনায় একদিকে যেমন যথার্থ নয়; অপরদিকে দিন দিন তার প্রয়োগও কমছে।

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে: “ঈমান লজ্জার অধিক।”

বিধর্মীদের যেহেতু ঈমান নেই সেহেতু তাদের লজ্জাও নেই। আর মূলতঃ যেহেতু তাদের লজ্জা নেই সেহেতু তাদের দৃষ্টিতে অশ্লীলতার সংজ্ঞা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। অশ্লীলতাই তাদের কাছে এখন শ্লীলতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। কথিত ‘শিল্পর” নাম দিয়ে তারা এখন অশ্লীলতাও আগ্রহ ভরে গ্রহণ করেছে।

‘লেডি চার্টালিজ লাভার’ উপন্যাস  এক সময়ে যে ইউরোপে চরম অশ্লীল উপন্যাস বলে ঘৃণিত ও বর্জিত ছিলো কালের পরিক্রমায় তা কেবল অশ্লীলতার অভিযোগ থেকেই মুক্ত হয়নি বরেণ্য উপন্যাস হিসেবে ইউরোপেই স্বীকৃতি লাভ করেনি বরং তার চেয়ে অশ্লীল উপন্যাস আমাদের সৈয়দ শামসুল হক, মিলন গংরা বাজারজাত করছে শুধু তাই নয় বরং ধুরন্ধর সম্পাদক শফিক রেহমান তার সদ্য হারানো সাপ্তাহিক যায়যায়দিন থেকে বর্তমান মৌচাকে ঢিল পত্রিকায়ও তার চেয়েও অশ্লীলতার কলুষের কুবিস্তার করে চলছে।

মূলতঃ একমাত্র বর্তমান যামানায় তাজদীদী দৈনিক, ‘দৈনিক আল ইহসান’ ব্যতীত অপর কোনো পত্রিকাই হাতে নেয়ার মত নয়।

বলার অপেক্ষা রাখেনা গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘র’ আর ‘সিআইএ’ তথা ইহুদীদের অর্থায়নে যেসব তথাকথিত জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠা হয়েছে অথবা তাদের অনুকূলে যেসব পুরনো পত্রিকা তাদের ট্র্যাক পরিবর্তন করেছে তারা।  সবাই মূলতঃ একযোগে তাদের পত্রিকায় এসব অশ্লীলতার বিস্তার করে চলছে।

সঙ্গতকারণেই এর অবসান হওয়া জরুরী। শতকরা ৯৫% মুসলমান অধিবাসীর এদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে দৈনিকগুলোর পৃষ্ঠা সজ্জা এমন বিবসনা নারী চিত্রে ভরপুর থাকতে পারে না।

এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।

প্রয়োজনে আন্দোলন  এবং  অবশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জিহাদে নামতে হবে।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।