শুধু কী দুই নেত্রীই পাগল! প্রধান উপদেষ্টা বা তার সরকার কী পাগলামির বাইরে? 

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১৩-০৯-০৮ তারিখে “দৈনিক সমকাল” পত্রিকায় প্রধান লিড নিউজ হয়: “দুই নেত্রী ‘পাগলামি’ না করলে পরিস্থিতি ভালোর দিকেই যাবে।”

আসলে গণতন্ত্রে এ পাগলামিটার সুযোগটা এত বেশি থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রজা সাধারণ পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই এ পাগলামির বিস্তারটাও এত বেশি থাকে যে,

গোটা গণতন্ত্রকেই আসলে পাগলদের শাসনব্যবস্থা বলা যায়। এমনকি এ পাগলামিটা খোদ উপদেষ্টা পরিষদও করতে ছাড়েননি।

“দৈনিক যুগান্তর, সংবাদ” পত্রিকার প্রধান লিড নিউজ হয়: “খালেদার সঙ্গে ৪ উপদেষ্টার বৈঠক”। এছাড়াও অন্য পত্রিকাগুলোও এ খবর গুরুত্বের সাথে ছাপানো হয়।

পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদার ফোনালাপও সব পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়।

উল্লেখ্য, কাল যাকে দুর্নীতির মামলায় জেলে দিলো, আজ তাকে মহারাজার মত সম্মান দিয়ে বের করা,

তার মুক্তির ক্ষেত্রে জরুরী অবস্থা হাওয়ায় মিশিয়ে দেয়া এবং সেই মহা দুর্নীতিবাজদের সাথে ৪ উপদেষ্টার দেড় ঘণ্টা আলাপ

প্রধান উপদেষ্টার আলাপ-

এগুলো কি পাগলামি নয়?

যে খালেদার সাথে বিশেষ কারাগারে, বিশেষ দিনে তার আত্মীয়-স্বজন, ঘনিষ্ঠজনরা দেখা করতে পারতেন না

সে খালেদার সাথে খোদ মইত্যা তথা মইজ্জা রাজাকারকে বিশেষ কারাগারে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলো-

এটা কি পাগলামি নয়?

যে তারেক জিয়াকে র‌্যাবের পোশাক পরিয়ে নাজেহাল করা হলো; সে তারেককে একই দিনে ৫ মামলায় জামিন দেয়া হলো-

এটা কি পাগলামি নয়?

এমনকি খোদ খালেদা জিয়া নিজেও যথেষ্ট পরিমাণ পাগল নয়। তার সম্পর্কে সম্প্রতি “দৈনিক নয়া দিগন্ত” রিপোর্ট করেছে: “সাবজেলে খালেদা জিয়ার দিনগুলো। শেষ রাতটিও কাটিয়েছেন নামায পড়ে”।

খবরে বলা হয়, “বিশেষ কারাগারে যেসব কারা কর্মকর্তা ও মহিলা কারারক্ষী সারাক্ষণ খালেদা জিয়ার খোঁজ খবর নিয়েছেন, রান্না করে খাইয়েছেন তাদের দোয়া নিয়েই তিনি মুক্ত জীবনে বেরিয়ে গেলেন। এর আগে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় শেষ রাতটিও তিনি নফল নামায ও দোয়া দরুদ পড়ে কাটিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ জামিনের কথা জানানোর পরই ফাঁকে ফাঁকে খালেদা জিয়া তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিজ হাতে গুছিয়ে নেন। বুধবার রাতভর কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া দরুদ পড়ে সাহরী খেয়ে, ফজরের নামায পড়ে ঘুমাতে যান তিনি।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া কারাগারেও ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে চলতেন। প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া তিনি বেশি কথা বলতেন না। রোযার মাস ছাড়াও তিনি প্রায় সময় রোযা রাখতেন, নামায পড়তেন ও কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে সময় কাটাতেন। তার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ যে খাবার বরাদ্দ রাখতেন সেই খাবারই খেতেন। কখনো নিজের পছন্দের কথা বলতেন না। সাক্ষাত করার জন্য ছেলের বউ ও নাতনীরা গেলে একটু মন খুলে কথা বলতেন।”

অন্যান্য পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে, মুক্তির খবর শুনে খালেদা প্রথমে শোকরানা নামায পড়েন।

এছাড়া বিশেষ করাগারে অনেক সময় কাটিয়েছেন তিনি ইসলামী বই পড়ে।

উল্লেখ্য যে, খালেদা জিয়া রোযা রাখেন,

কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন,

ইসলামী বই পড়েন

এত ইসলামী অনুভূতি ব্যক্ত করেন

তিনি কি তাহলে এতটুকু ইসলাম জানেন না যে, ইসলামে পর্দার কথা বলা হয়েছে।

ইসলামে নারী নেতৃত্বের কথা হারাম বলা হয়েছে।

খালেদা জিয়া নফল রোযা করে নফল ছওয়াব কামান কিন্তু তিনি যে কোটি কোটি লোকের সামনে বেপর্দা-বেহায়া হয়ে কোটি কোটি কবীরা গুনাহ্র সিলসিলা জারি করেন সে বিষয়ে হিসাব না করা কি তার নিরেট পাগলামি নয়?

খালেদা জিয়া ইসলামী বই পড়েন। কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন তাহলে তো তিনি নিশ্চয়ই অবগত যে, “ইসলামে নারী নেতৃত্ব নেই।”

নারী হয়েও তিনি দেশ চালাবেন আর মুখে ইসলামের কথা বলবেন-

এটা কি তার পাগলামি নয়?

তিনি দেশকে সমৃদ্ধির বাণী শোনাবেন আর নিজে দেশ চালাবেন-

এটা কি নেহায়েত পাগলামি নয়?

কারণ, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে জাতির শাসক হয় নারী; সে জাতির প্রতি অভিশাপ।” (নাঊযুবিল্লাহ)

মূলতঃ পাগল না হলেও খালেদা জিয়া বুঝতেন তিনি নিজেই এক বড় অভিশাপ।

আর তাকে নিয়ে মুক্তির কথা প্রচার করে অভিশপ্ত রাজাকাররা, কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ীরা।

মূলতঃ এ সবগুলোই সম্মিলিত পাগলামি।

-মুহম্মদ আব্দুর রহমান

 

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।