মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। তাই, বর্তমান সময়ের যিনি মহাসম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ করে সত্যিকার অর্থেই ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সেগুলোর অন্যতম “আইনী কার্যক্রম”। সুবহানাল্লাহ। যা উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক। এ তাজদীদী কার্যক্রমের সফলতা আজ দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট। ফলশ্রম্নতিতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের অনেক ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ হয়েছে, হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। ইনশাআল্লাহ!
পাঠকের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল।
(ধারাবাহিক)
দেশের আকাশে বিদেশী পতাকার অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ বিদেশী পতাকা সহ বাংলাদেশী পতাকা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ পতাকা আইন- ১৯৭২ (পরবর্তীতে পতাকা আইন) পাশ করেছে এবং জারিও করেছে। ২০১০ সালে সরকার আইন পাশ করেছে যেখানে পতাকা আইন-১৯৭২ এর যে কোন বিধান ভঙ্গের কারণে ১ (এক) বছরের জেল অথবা ৫০০০.০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
পতাকা আইনের মধ্যে অন্যান্য বিধানের সাথে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি সংযুক্ত রয়েছে। নির্দিষ্ট আকার, আকৃতি ও রঙের পতাকা ব্যবহার করতে হবে। ইহা কখনো মাটিতে স্পর্শ করবেনা এবং ইহাকে ভালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পতাকা নষ্ট হয়ে যায়, ছিড়ে যায় অথবা বিবর্ণ হয়ে যায়, তাহলে ইহাকে অবশ্যই ছুড়ে ফেলে দেওয়া যাবেনা বরং আইন অনুযায়ী সম্মানজনক ভাবে ইহাকে নষ্ট করে ফেলতে হবে। ইহাকে কখনোই আবর্জনার পাত্রে ছুড়ে ফেলা যাবেনা এবং পুরাতন কাপড় হিসাবে ব্যবহার করা যাবেনা। অন্যান্য বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোল অথবা বাঁশের স্ট্যান্ডের মধ্যে পতাকা উত্তোলনের পদ্ধতি। মাছ ধরার স্টিকের মত পোল অথবা বাঁশের স্ট্যান্ডের মাথায় পতাকা লাগাতে হবে। জাতীয় পতাকা ধারনকারী পোল সর্বদা কোন প্লাটফর্মের উপর দাড়িয়ে থাকবে, কখনোই সরাসরি কোন খননকৃত মাটি বা ভূমিতে নয়। নিয়ম অনুযায়ী সূয্যর্ ডোবার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাখা উচিত হবেনা। যখন বাংলাদেশী পতাকার সাথে অন্য কোন দেশের পতাকা উত্তোলন করা হবে তখন আগে বাংলাদেশী পতাকা এবং পরে অন্য দেশের পতাকা নীচে উত্তোলন করতে হবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম শুধু জাতীয় পতাকা, ইহার মর্যাদা এবং মাতৃভূমির প্রতি অসম্মানই নয় বরং বর্তমান আইন অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ।
রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ চলাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি পতাকার অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধে গত ২০১৮ সালের ২৮ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। রাজারবাগ শরীফ উনার পক্ষে ১৩ জন প্রতিনিধি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি নিয়ে দেশের আকাশে বিদেশি পতাকা উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। ১৯৭২ সালের পতাকা আইন লঙ্ঘন করে বিদেশি পতাকা উত্তোলন বন্ধে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারক সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিবসহ ৪ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়, গুরূত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলোতে (যেমন ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সরকার পতাকা আইন ভঙ্গের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করে থাকে। কিন্তু বিশ্ব কাপ ফুটবলের সময় বিদেশী পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে এই ধরনের কোন অভিযান দেখা যায়নি। ফলশ্রম্নতিতে জনসাধারণ বিশেষ করে যারা পতাকা আইনের ব্যাপারে অসতর্ক তারা পতাকা আইন- ১৯৭২ এর বিধান সমূহ অমান্য করে বিদেশী পতাকা উত্তোলন করে থাকে এবং অজান্তেই কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ার মত অপরাধ করে থাকে। এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষের এই ধরনের অসচেতনতা, নিস্ক্রিয়তা এবং পতাকা আইন- ১৯৭২ এর লঙ্ঘন উপেক্ষা করা জাতীয় পতাকার সম্মানকে আঘাত করছে এবং এই ধরনের নিস্ক্রিয়তা আইনে নিষিদ্ধ।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১৬)
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১৫)