সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১৬)

সংখ্যা: ২৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। তাই, বর্তমান সময়ের যিনি মহাসম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ করে সত্যিকার অর্থেই ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সেগুলোর অন্যতম “আইনী কার্যক্রম”। সুবহানাল্লাহ। যা উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক। এ তাজদীদী কার্যক্রমের সফলতা আজ দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট। ফলশ্রম্নতিতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী কাফির ও মুনাফিকদের অনেক ষড়যন্ত্র ও কূট কৌশল নস্যাৎ হয়েছে, হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। ইনশাআল্লাহ!

পাঠকের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল।

(ধারাবাহিক)

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ বিষয়ে বিশেষ কার্যক্রম

 

সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ নামক একটা নতুন আইন পাশ করেছে। আইনটির  খসড়া প্রস্তুত করে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল এ আইন সম্পর্কে কারো কোন মতামত থাকলে জানাতে। এজন্য তারা একটা মেইল আইডি দিয়েছিল এবং বলেছিল সেখানে সবাইকে মতামত জানাতে।

এমনই প্রেক্ষাপটে রাজারবাগ শরীফ উনার পক্ষ হতে বহুমুখী কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। রাজারবাগ শরীফ হতে নির্দেশনাপ্রাপ্ত হয়ে আশিকীন-মুহিব্বীনগণ বহু সংখ্যক ই-মেইল করেন। একই সাথে রাজারবাগ শরীফ উনার পক্ষ হতে সরকারের দায়িত্বশীল কয়েকজনের নিকট ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ বিষয়ে শরঈ ফায়সালা জ্ঞাতার্থে চিঠি প্রেরণ করা হয়। তারা হলো- (১) মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (২) মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৩) মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৪) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (৫) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (৬) উপসচিব (আইন অধিশাখা), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

প্রেরিত চিঠিসমূহে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়, তা নিম্মরুপ-

১. অনলাইনে দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাত বা ২৮ ধারার সাজা কিছুতেই হ্রাস করা যাবে না।  প্রয়োজনে আরো বৃদ্ধি করতে হবে।  কারণ ২০১৩ সালের সাইবার ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার পূর্বে অনলাইনে দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাত রোধে কার্যকরী শক্ত কোনো আইন ছিলো না, ফলে এ অপরাধ রোধ হচ্ছিলো না।  যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে ভয়ংকর অস্থিতিশীলতা তৈরী হয় এবং শাপলা চত্বরের মত ঘটনা ঘটে।  ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।  কিন্তু এই সাজা যদি হ্রাস বা দূর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় দ্বীনী অনূভুতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে।  যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হবে।  এমনকি শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তিও ঘটতে পারে।

২. প্রস্তাবিত আইনের ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বা জাতীয় পতাকার সাথে রাষ্ট্রদ্বীন ও রাষ্ট্রভাষা সংযুক্ত করতে হবে।  অর্থাৎ, কেউ যদি রাষ্ট্রদ্বীন ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র কা’বা শরীফ ইত্যাদি নিয়ে কটূক্তি করে অথবা রাষ্ট্রভাষার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার চালায় তাকে ২১ ধারায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

৩. প্রস্তাবিত আইনে ২৯ ধারায় মানহানীর সাজা শুধুমাত্র জরিমানা করা হলে অনেক সময় মানুষ ন্যায়বিচার বঞ্চিত হবে।  কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানহানীর ক্ষতি অপূরণীয় হয়।  যেমন: কষ্টে গড়া ক্যারিয়ার ধ্বংস, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিষ্ঠান দেওলিয়া হওয়া, হার্ট এ্যাটাক বা গুরুতর অসুস্থতার হওয়ার ঘটনা ঘটে, এমনকি মানহানী সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যাও করে।  তাই শুধুমাত্র জরিমানা দিয়ে এ অপরাধের সাজা নির্ধারণ করা করা ন্যায়সঙ্গত হবে না।  তাই প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ২৯ ধারার কারাদণ্ড বাতিল করা যাবে না।

মূলকথা হলো, রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ের অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আইন পাস করতে সরকারকে আহ্বান করা হয়।

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১৫)

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১৪)

ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সুলত্বানুন নাছীর, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইয়ুমুয্যামান, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুরশিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (৯)

ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১০)

ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইয়ুমুয্যামান, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুরশিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐতিহাসিক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম (১১)