সরকারি অদক্ষতা, অদূরদর্শিতার পাশাপাশি দেশের সংবিধান থেকে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ তুলে দেয়া তথা ইসলামী সংহতির পরিচয় তুলে দেয়াই মালয়েশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বে শ্রম বাজার হারানোর প্রধান কারণ। এ থেকে উত্তোরণে ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ তুলে ধরার বিকল্প নেই।

সংখ্যা: ২৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ১২ মার্চ ২০১৬ ঈসায়ী ইয়াওমুস সাবত বা শনিবার বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা। শ্রম চুক্তি বাতিলের বিষয়টিকে সরকারের ‘অদক্ষতা, ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশের অভিজ্ঞ মহল।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের মার্চ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মালয়েশিয়ায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র প্লানটেশন খাতে জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়ায় জি-টু-জি’র মাধ্যমে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে কর্মী যাওয়া শুরু হয়। কিন্তু ‘প্ল্যান্টেশন’ খাতে কাজ করতে আগ্রহীর সংখ্যা কম হওয়ায় ওই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। পরে মালয়েশিয়ার জনশক্তির জন্য বাংলাদেশ ‘সোর্স কান্ট্রির’ তালিকায় এলে সেবা, উৎপাদন, নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশী কর্মী নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

সর্বশেষ ‘জি-টু-জি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি (২০১৬ ঈসায়ী) ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তার পরদিনই মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী বিদেশী কর্মী নেয়া বন্ধের কথা জানায়। পাশাপাশি এই দিন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো রিচার্ড রায়ত জায়েম সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার খবর বা চুক্তি সঠিক নয়। প্রতিভাত হচ্ছে- মালয়েশিয়া তার ওয়াদা রক্ষা করেনি। অথবা প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রতারণা করেছে। যা একটি মুসলিম দেশের জন্য কখনোই কাম্য নয়।

অপরদিকে, শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, সরকারি অদক্ষতা, অদূরদর্শিতা, সঠিক নীতি না থাকা এবং  প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে মুসলিম বিশ্বের শ্রমবাজারও সংকুচিত হয়ে এসেছে। ইতঃপূর্বে মুসলিম বিশ্বের প্রধান জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলোতে রফতানীকারক হিসেবে বাংলাদেশই ছিলো প্রথম সারির দেশ।  অথচ এসব দেশগুলোতে এখন বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানী নামমাত্র পর্যায়ে নেমে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরব ও আরব আমিরাতে জনশক্তি রফতানী একেবারেই কমে গেছে। যুদ্ধবিগ্রহসহ নানা কারণে ইরাক, লিবিয়া, কুয়েত, ইয়েমেন, প্রভৃতি দেশের শ্রমবাজার এমনিতেই কয়েক বছর ধরে বন্ধ বলা চলে। মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়লেও পর্যাপ্ত শ্রমিক রফতানী করছে ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের স্থান দখল করে নিয়েছে এসব দেশের শ্রমিক।

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, মুসলিম বিশ্বের শ্রমবাজার একের পর এক হাতছাড়া হওয়ার মূলে রয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে ‘মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করা, ইসলামী সংহতির পরিচয় তুলে দেয়া, মুসলিম বিশ্বের পরিবর্তে অমুসলিম বিশ্বের প্রতি ঝুঁকে যাওয়া, ওআইসি’তে কার্যকর ভূমিকা না রাখা, সর্বপোরি মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ তুলে না ধরা।

পাশাপাশি উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছে- মন্ত্রণালয়সহ স্বার্থান্বেষী গ্রুপগুলোর নিজেদের মধ্যকার ভাগাভাগির বিরোধ ও অতি লোভের কারণে সর্বশেষ মালয়েশিয়া শ্রমিক নেয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে। শ্রমিক নেয়ার এই চুক্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, রেষারেষি এবং অনৈতিক কার্যকলাপের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালয়েশিয়াতেও। এর আগে ২০০৯ সালে মন্ত্রণালয়ের কমিশন বাণিজ্য, অসহযোগিতাসহ অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া।

আমরা মনে করি, সরকারি কমিশন বাণিজ্য, দুর্নীতি, অদক্ষতা, অব্যস্থাপনা দূর করার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বে ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ তুলে ধরার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, চেষ্টা, লবিং এবং ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারলে মালয়েশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বে জনশক্তি রফতানীর শীর্ষস্থান দখল করা সম্ভব।

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল্লাহ

 

 

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।