সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সারওয়ারে কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম।
এখনও আক্রমণ চলছেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি হ্যাকার গ্রুপগুলোর দখলে রয়েছে প্রায় ত্রিশ হাজারের মতো ভারতীয় ওয়েবসাইট।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস’ (বিবিএইচএইচ) প্রথমে ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত দেশের বৃহত্তর প্রায় ১০টি হ্যাকার গ্রুপ একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করে যাচ্ছে।
শত শত ইন্ডিয়ান সাইট এখন বাংলাদেশি হ্যাকারদের হাতে এবং সে সাইটগুলোতে ঝুলছে ফেলানির লাশের ছবি। এ ছাড়া প্রায় হাজারখানেক ফেসবুক একাউন্ট ও প্রায় ৫০০ ইন্ডিয়ান টুইটার একাউন্ট এখন বাংলাদেশিদের হাতে। এগুলো থেকে অনবরত সীমান্তে অযাচিতভাবে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদ করে যাওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে ভারতীয়রা প্রায় ৫০টি বাংলাদেশি সরকারি সাইটসহ ১৫০টির বেশি বাংলাদেশি সাইট তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, এ ছাড়া ‘ইন্ডীশেল’ নামে এক ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপের নেতৃত্বে প্রায় ৫০টি ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশের সাইবার আকাশ ধ্বংস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। কিন্তু এ সাইবার যুদ্ধে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে।
এদিকে, বর্তমান বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস বাংলানিউজকে তাদের অবস্থান ও কর্মকা-ের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে। তারা বলেছে-
“আমরা বাংলাদেশ ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার। ভারতে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমরা সম্প্রতি ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেছি। আমাদের খারাপ কোনো উদ্দেশ্য নেই, আমরা সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে মরতে চাই না। চাই মানুষের মতো বাঁচতে, বিএসএফ-এর কাছে কুত্তার মতো গুলি খেয়ে মরতে চাই না। সীমান্তে যাতে নিরীহ মানুষকে আর মরতে না হয় সে দাবিতে আমরা সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছি।
হ্যালো বাংলাদেশের নাগরিকরা, আমরা বাংলাদেশ ব্লাকহ্যাট হ্যাকারস। এখন সময় আমাদের চোখ খুলবার। বিএসএফ ১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে, তাদের গুলিতে আহত হয়েছে আরও ৯৮৭ বাংলাদেশি। অপহৃত হয়েছে হাজারো মানুষ। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তারা অবিচার করছে। সংকটময় এ মুহূর্তে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে, আমরা চাই ভারত সরকার নিরপরাধ বাংলাদেশিদের হত্যা করা বন্ধ করুক। নতুবা আমরা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ শুরু করবো। এটি চলতেই থাকবে।”
বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি’, ‘বিডি ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকারস’, ‘এক্সপায়ার সাইবার আর্মি’ এই তিনটি হ্যাকার দল এই সাইবার-যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশি হ্যাকারদের সমর্থন দিয়েছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার দল ‘অ্যানোনিমাস’। এ ছাড়া পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের শক্তিশালী হ্যাকাররা বাংলাদেশি হ্যাকারদের সমর্থন দিয়ে থেকে ভারতীয় সাইটে আক্রমণ করছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে আরো যোগ দিয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, লিবিয়া এবং থাইল্যান্ডের হ্যাকাররাও।
উল্লেখ্য, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে ভারতের চুক্তি থেকেই যেন প্রতিরোধ এবং আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত: সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশী হ্যাকারদের এরকম তীব্র আক্রমণ এবং বিপুল বিজয় কয়েকটি বিষয় প্রতিভাত করে।
প্রথমত: বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সীমান্ত হত্যাসহ টিপাইমুখ বাঁধ তথা ট্রানজিট কোনোটাই বাংলাদেশের জনগণ ভালভাবে নেয়নি। নিতে পারেনা। কিন্তু জনগণের সেই ক্ষোভ যখন সরকার প্রতিফলিত করতে পারেনি তখন জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে এবং বর্তমান সাইবার যুদ্ধে ভীষণ আক্রমণ দ্বারাই জনগণ ভারতের প্রতি তাদের চরম আক্রমণাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশীদের অন্তরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রত্যয় আজন্ম। সেক্ষেত্রে কী পাকিস্তান অথবা কী বিশাল বপু ভারত সবই তুচ্ছ। সবই নগণ্য। বরং খরকুটোর মতো ভেসে যাওয়ার উপযুক্ত। (সুবহানাল্লাহ)
প্রমাণিত হচ্ছে বাংলাদেশ আয়তনে ছোট অথবা প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকলেও প্রজ্ঞায় এবং পরিচালনায় ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে। কারণ ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের উপর রয়েছে খাছ খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ!)
অপরদিকে ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশের প্রতি মুসলিম সমর্থনও স্বভাবজাত এবং ঐতিহাসিক সত্য। বর্তমান সাইবার যুদ্ধেও বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সউদী আরব, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ আফ্রিকার অনেক মুসলিম দেশ।
এই ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে ভারতের শিক্ষা নেয়া দরকার যে, সে যেন বাংলাদেশকে কখনই ক্ষুদ্র জ্ঞান না করে। অপরদিকে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশিদেরও চেতনাদীপ্ত হওয়া দরকার। যে ঈমানী বলে বলীয়ান হলে বাংলাদেশ টিপাইমুখী বাঁধ, সীমান্ত হত্যাসহ সব ভারতীয় আগ্রাসনেরই দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পারবে। বরং ভারতকে নাস্তানুবাদ করে দিতে পারবে। (সুবহানাল্লাহ!)
মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)
–মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ
‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ