قران (কুরআন) শব্দের অর্থ একত্রিকরণ, মিলানো। যখন তা قرن (ক্বরনুন) শব্দ থেকে উদ্ভূত ধরা হবে। কিন্তু ইহা ‘ক্বিরাআত’ শব্দ হতে উদ্ভুত ধরা হলে অর্থ হবে পাঠ করা বা অধিক পঠিত। পরিভাষায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে প্রকাশ্য ওহী মারফত যা লাভ করেছেন এবং যা নামাযে পাঠ করার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে, উহাই কুরআন শরীফ। মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ, আশ্বাস, ভীতি এবং সূরা শরীফ ও আয়াত শরীফসমূহকে একত্র করা হয়েছে অথবা উনাকে বারবার নামাযে পাঠ করা হয় বলেই উনাকে কুরআন শরীফ নামকরণ করা হয়েছে।
اما الكتاب فالقران الـمنزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم الـمكتوب فى الـمصاحف الـمنقول عن النبى عليه السلام نقلا متواترا بلا شبهة وهو النظم والـمعنى جميعا فى قول عامة العلماء وهو الصحيح من قول ابى حنيفة عندنا.
অর্থ : পবিত্র কিতাবুল্লাহ শব্দ মুবারক দ্বারা পবিত্র কুরআন মাজীদ উহাকেই উদ্দেশ্য; যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যা কিতাব আকারে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হতে মুতাওয়াতির পদ্ধতিতে সন্দেহমুক্ত প্রক্রিয়ায় বর্ণিত হয়েছে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ শব্দ ও অর্থ উভয়ের সমষ্টিগত নাম। এটাই সকল উলামায়ে কিরাম উনাদের মত। আমাদের কাছে ইমামে আ’যম, হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ইহাই ছহীহ মত।” (উছূলুল বাযদূবী, আল মানার, আত তা’রিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ)
পবিত্র কুরআন শরীফ কিতাবুল্লাহ, কালামুল্লাহ, কুরআনুম মাজীদ, কুরআনুল কারীম, ফুরক্বান ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পবিত্র কুরআন শরীফ হচ্ছে ওহীয়ে মাতলু অর্থাৎ যা হুবহু তিলাওয়াত করতে হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষা, ভাব শব্দ অর্থ সবই মহান আল্লাহ পাক উনার। কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ মাখলূক্ব বা সৃষ্ট বস্তু নয়। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম বা কথা মুবারক, যা গইরে মাখলূক্ব।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার শুরুর অক্ষর হচ্ছে ب (বা) এবং শেষ অক্ষর হচ্ছে س (সীন)। ফার্সী ভাষায়ب এবং س মিলে بس (বাস্) অর্থ যথেষ্ট বা পরিপূর্ণ। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
كُلٌّ فِى كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থ : সবকিছু সুস্পষ্ট কিতাব উনার মধ্যে রয়েছে।” (পবিত্র সূরা হূদ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
পবিত্র কুরআন শরীফ যেহেতু খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম তাই উনার মধ্যে কোন রকম সন্দেহ নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ذٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيْهِ ۛ
অর্থ : এটি এমন এক কিতাব; যার মধ্যে কোনরূপ সন্দেহ নেই।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার প্রথম সূরা হচ্ছে সূরা ফাতিহা শরীফ এবং সর্বশেষ সূরা হচ্ছে সূরা নাস শরীফ। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সবচেয়ে বড় সূরা হচ্ছে সূরা বাক্বারা শরীফ এবং সবচেয়ে ছোট সূরা হচ্ছে সূরা কাওছার শরীফ।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার জুয বা পারা শরীফ-৩০, সূরা শরীফ-১১৪, রুকূ শরীফ-৫৪০, আয়াত শরীফ উনার সংখ্যা কূফাবাসীগণের মতে-৬, ২৩৬ বছরাবাসীগণের মতে-৬, ২১৬ শামবাসীগণের মতে-৬, ২৫০ জনৈক মদীনাবাসীর মতে- ৬, ২১৪ মক্কা বাসীগণের মতে-৬, ২১২ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু উনার মতে-৬, ২১৮ এবং হযরত উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মতে-৬, ৬৬৬। শেষোক্ত মতটিই সমধিক প্রবল ও প্রসিদ্ধ।
উল্লেখ্য, আয়াত শরীফ উনার সংখ্যা সম্পর্কে তারতম্যের কারণ হলো, কেউ বড় আয়াত শরীফকে এক আয়াত শরীফ হিসেবেই গণনা করেছেন। আবার কেউ বড় এক আয়াত শরীফকে দুই বা তিন আয়াত শরীফ-এ গণনা করেছেন। কেউ সূরা শরীফ উনার শুরুতে বিসমিল্লাহ শরীফকে আয়াত শরীফ হিসেবে গণনা করেছেন আর কেউ তা আয়াত শরীফ হিসেবে গণনা করেননি।
পবিত্র কুরআন শরীফ ৭ মনযীলে বিভক্ত। আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ৭ দিনে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন। প্রত্যেক দিবসে যে পরিমাণ পড়তেন, সেই পরিমাণকে এক এক মনযীল বলা হয়। প্রথম মনযীল সূরা ফাতিহা শরীফ হতে সূরা নিসা শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় মনযীল সূরা মায়িদা শরীফ হতে সূরা তওবা শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। তৃতীয় মনযীল সূরা ইউনুস শরীফ হতে সূরা নহল শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। চতুর্থ মনযীল সূরা বণী ইসরাঈল শরীফ হতে সূরা ফুরক্বান শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। পঞ্চম মনযীল সূরা শূরা শরীফ হতে সূরা ইয়াসীন শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। ষষ্ঠ মনযীল সূরা আছছফফাত শরীফ হতে সূরা হুজুরাত শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত। সপ্তম মনযীল সূরা ক্বাফ শরীফ হতে সূরা নাস শরীফ উনার শেষ পর্যন্ত।
স্মরণীয় যে, এই মনযীল ইয়াওমুল জুমুআ বা জুমুআবার শুরু করে ইয়াওমুল খমীস বা বৃহস্পতিবার শেষ করতে হয়। এরূপ সাত দিবসে সাত মনযীল শেষ করলে নেক বাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।
তিলাওয়াতে সিজদা। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ১৪টি আয়াত শরীফ পাঠ করলে কিংবা শ্রবণ করলে, সিজদা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এই সিজদাকে তিলাওয়াতে সিজদা বলা হয়। হানাফী মাযহাব মতে, তিলাওয়াতে সিজদাসমূহ হচ্ছে-
(১) সূরা আ’রাফ শরীফ উনার শেষ রুকূতে ان الذين عند ربك হতেوله يسجدون পর্যন্ত।
(২) সূরা রা’দ শরীফ উনার দ্বিতীয় রুকূতে ولله يسجد হতে والاصل পর্যন্ত।
(৩) সূরা নহল শরীফ উনার ষষ্ঠ রুকূতে ولله يسجد হতে مايؤمرون পর্যন্ত।
(৪) সূরা বনী ইসরাঈল শরীফ উনার শেষ রুকূতে قل امنوا به হতে خشوعا পর্যন্ত।
(৫) সূরা মারইয়াম শরীফ উনার চতুর্থ রুকূতে اولئك الذين হতে وبكيا পর্যন্ত।
(৬) সূরা হজ্জ শরীফ উনার দ্বিতীয় রুকূতে الـم تر হতে مايشاء পর্যন্ত।
(৭) সূরা ফুরক্বান শরীফ উনার পঞ্চম রুকূতে واذا قيل হতে نفورا পর্যন্ত।
(৮) সূরা নমল শরীফ উনার দ্বিতীয় রুকূতে الا يسجدوا হতে رب العرش العظيم পর্যন্ত।
(৯) সূরা সাজদাহ শরীফ উনার দ্বিতীয় রুকূতে انـما يؤمن হতে لايستكبرون পর্যন্ত।
(১০) সূরা ছদ শরীফ উনার দ্বিতীয় রুকূতে قال لقد ظلمك হতে حسن ماب পর্যন্ত।
(১১) সূরা হামীম সাজদাহ শরীফ উনার পঞ্চম রুকূতে فان استكبروا হতে لايسئمون পর্যন্ত।
(১২) সূরা নজম শরীফ উনার তৃতীয় রুকূতে فاسجدوا لله হতে واعبدوا পর্যন্ত।
(১৩) সূরা ইনশিক্বাক্ব শরীফ উনার মধ্যে واذا قرئ হতে لايسجدون পর্যন্ত।
(১৪) সূরা আলাক্ব শরীফ উনার মধ্যে كلا لاتطعه হতে واسجد واقترب পর্যন্ত।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ফযীলত
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت عثمان ذوالنورين عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خيركم من تعلم القران وعلمه.
অর্থ : হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা করে এবং তা অপরকে শিক্ষা দেয়।” (বুখারী শরীফ)
عن ام الـمؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الـماهر بالقران مع السفرة الكرام البررة والذى يقرأ القران ويتتعتع فيه وهو عليه شاق له اجران.
অর্থ : উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দক্ষ হাফিয, ক্বারী, লেখক সম্মানিত পয়গম্বর আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে বেহেশতে থাকার স্থান লাভ করবেন। যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ পাঠ করে থাকেন এবং তা (উচ্চারণ করা) তাদের পক্ষে কষ্টকর হলেও চেষ্টা করেন, সে ব্যক্তি দ্বিগুণ প্রতিদান লাভ করবেন।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
عن حضرت ابى امامة رضى الله تعالى عنه قال سـمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول اقرءوا القران فانه ياتى يوم القيامة شفيعا لاصحابه.
অর্থ : হযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, তোমরা পবিত্র কুরআন শরীফ পড়বে। কেননা, উহা ক্বিয়ামতের দিন উহার পাঠকদের জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে।” (মুসলিম শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحـمة وحفتهم الـملئكة وذكرهم الله فيمن عنده.
অর্থ : যে কোন সম্প্রদায় মহান আল্লাহ পাক উনার কোন ঘর মসজিদে একত্রিত হয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেন এবং এক অপরকে তা শিক্ষা প্রদান করেন, উনাদের প্রতি শান্তি নাযিল হয়, উনাদেরকে রহমত আচ্ছাদিত করে ফেলে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বেষ্টন করে নেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নিকটবর্তী ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে উনাদের ছানা-ছিফত বর্ণনা করেন।” (মুসলিম শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
يقال لصاحب القران اقرأ وارتق ورتل كما كنت ترتل فى الدنيا فان منزلتك عند اخر اية تقرؤها.
অর্থ : পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠকারী ও আমলকারীকে বেহেশতে বলা হবে, তুমি পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ কর, উচ্চ স্থানে আরোহন কর এবং দুনিয়ায় যেরূপ শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করতে এখানেও তদ্রুপ পাঠ করো। নিশ্চয়ই তুমি যতটি আয়াত শরীফ পাঠ করবে, সেই পরিমাণ তোমার মর্তবা হবে।” (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
من قرأ القران حرفا من كتاب الله فله به حسنة والـحسنة بعشر امثالـها لا اقول الـم حرف بل الف حرف ولام حرف وميم حرف.
অর্থ : যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি অক্ষর পড়বে, সে ব্যক্তি দশটি নেকী পাবে। আমি বলি না যে, আলিফ, লাম, মীম একটি অক্ষর। বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, ও মীম একটি অক্ষর।” (মিশকাত শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فضل كلام الله على سائر الكلام كفضل الله على خلقه
অর্থ : সমস্ত বান্দাগণের উপর যেরূপ মহান আল্লাহ পাক উনার শ্রেষ্ঠত্ব, অন্যান্য বাক্যের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম তথা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার শ্রেষ্ঠত্ব।” (তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
من قرأ القران وعمل بـما فيه البس والداه تاجا يوم القيامة ضوؤه احسن من ضوء الشمس
অর্থ : যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ পাঠ করে এবং তদানুযায়ী আমল করে, কিয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে সূর্যের অপেক্ষা সমধিক জ্যোতিমান টুপি পরিধান করানো হবে।” (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমাদ শরীফ)
من قرأ القران فاستظهره فاحل حلاله وحرم حرمه ادخله الله الـجنة و شفعه فى عشرة من اهل بيته كلهم قد وحبت له النار.
অর্থ : যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করে স্মরণ করে নিয়েছে। অতঃপর উনাতে যা হালাল করা হয়েছে তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং উনাতে যা হারাম করা হয়েছে তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন এবং তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে দশজন ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ মঞ্জুর করবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।” (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)
কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ফরয ওয়াজিব ছহীহ শুদ্ধভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা করা, অপরকে শিক্ষা দেয়া এবং উনার হুকুম-আহকাম মেনে চলা।
আল্লামা মুফতী মুখতার আহমদ