সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে সুপারিশ করবেন; যারা জান দিয়ে, শারীরিকভাবে বা দৈহিক শক্তি দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিবেন। সুবহানাল্লাহ!

সংখ্যা: ২৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِـىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ مَا اضْطَرُّوْا اِلَيْهِ

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা জান দিয়ে বা শারীরিক শক্তি দিয়ে আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমতের আঞ্জাম দিবে, তাদেরকে আমি সুপারিশ করবো।” সুবহানাল্লাহ!

কিতাবে বর্ণিত রয়েছে: বাগদাদ শরীফে কিছু লোক ছিলো যারা ছিনতাই, মারা-মারি, কাটা-কাটি, লুটপাট করতো, নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত ছিলো এবং মানুষ নিয়েও তারা ব্যবসা করতো। নাউযূবিল্লাহ! এখন পুরুষ যারা তারা ছিনতাই, খুন-খারাবি, মাল-সামানা আত্মসাৎ ইত্যাদি করতো। আর যারা মহিলা ছিলো তাদের দায়িত্ব ছিলো নানান মেয়েদেরকে ধেঁাকা দিয়ে এনে তাদের মাধ্যমে তারা ব্যবসার কোশেশ করতো। নাউযূবিল্লাহ!

একদিন একটা ঘটনা ঘটলো। যে এলাকায় তাদের আস্তানা ছিলো, তা ছিল রাস্তার শেষ প্রান্ত। যার পরে বাড়ি ঘর নেই, সেখানে বড় ময়দান খোলামেলা জায়গা ঝোপঝাড় জঙ্গল। তারা লোকদেরকে ধেঁাকা দিয়ে সংক্ষিপ্ত রাস্তায় নিয়ে এসে তাদের মাল-সামানা লুটপাট করতো, ছিনতাই করতো, জুলুম করতো এবং মহিলাদেরকে ধেঁাকা দিয়ে নিয়ে আসতো ব্যবসার জন্য। নাউযূবিল্লাহ! তাদের মধ্যে বৃদ্ধা মহিলারা এই বলে মেয়েদেরকে ধেঁাকা দিতো যে, যদি শহরে সংক্ষিপ্ত ভাবে যেতে হয় তাহলে এই সংকীর্ণ রাস্তা দিয়েই যেতে হবে।

এক দিন রাত্রে একটা ঘটনা ঘটলো। এক বৃদ্ধা মহিলা এই বলে একটা মেয়েকে ধোঁকা দিয়ে নিয়ে আসলো যে, যদি খুব দ্রুত শহরে যেতে হয় তাহলে এই রাস্তা দিয়ে আসুন। এখন সেই মেয়ে সহজ সরলভাবে সেই বৃদ্ধা মহিলাকে বিশ্বাস করে সেই রাস্তা দিয়ে আসলেন। এসে দেখেন যে, এখানেই রাস্তা শেষ। এখানে অনেক পুরুষ-মহিলার অবস্থান। মনে হচ্ছে সবগুলো এলোমেলো, বদচরিত্র, ছিনতাইকারী, খুনি ডাকাতদের অবস্থান। মেয়েটি এদের চাল-চলন আচার-ব্যবহার লক্ষ্য করে বিব্রত বোধ করতে লাগলেন। এখন তাদের মধ্যে কিছু লোক তারা মনে করলো তাকে নিয়ে তারা ব্যবসা করবে। নাউযূবিল্লাহ! তখন সেই মেয়েটি বললেন, দেখ তোমরা আমার মান-সম্মান, ইজ্জত, হুরমত নষ্ট করো না। কারণ আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিই আমার সম্মানিতা মাতা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই তোমরা আমার সাথে অসৎ ব্যবহার করো না। আমাকে ধেঁাকা দিয়ে এখানে এনেছো, আমি কিন্তু এখানে আসতে চাইনি। আমাকে আমার যে পথ সে পথে চলে যেতে দাও। এখন যারা দুষ্ট লোক ছিলো তারা অনেক চূ-চেরা করতে থাকলো। আর সেই মেয়েটি বারবার উক্ত বিষয়টি বলতে ছিলেন আমাকে এনেছো ধেঁাকা দিয়ে আমার ইজ্জত সম্মান নষ্ট করো না আমাকে যেতে দাও। তাদের মধ্যে একজন লোক ছিলো সে তাদের মধ্যে মোটামুটি সরদার। এই মেয়েটির কথা শুনে তার মনে একটা ফিকির আসলো যদি সত্যিই তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদই হয়ে থাকেন, যদি তিনি সাইয়্যিদাহ হয়ে থাকেন তাহলে উনার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করা ঠিক হবে না। ইহকালতো নষ্ট হবেই পরকালও নষ্ট হবে। তখন সরদার লোকটা অন্যান্যদের বললেন তোমরা উনাকে চলে যেতে দাও। তোমরাতো অনেক কিছু করে থাকো আজকের জন্য মেয়েটাকে ছেড়ে দাও। এখন যারা তার সঙ্গী সাথী ছিলো তারা মনে করলো হয়ত আমাদের সরদার সে উনাকে একাই কোন ব্যবসা করার চক্রান্তÍ করছে। নাউযূবিল্লাহ! কিন্তু তিনি হাক্বীক্বিভাবে বলতেছিলেন যেহেতু এই মেয়ে পরিচয় দিচ্ছেন তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদ, কাজেই এখানেতো অবশ্যই বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এক পর্যায় অনেক কথা কাটাকাটি হলো, হাতা-হাতি হলো। তাদের একজন ছুরি নিয়ে আসলো সরদারকে হত্যা করার জন্য। উল্টো সরদার ঐ লোকটাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে ফেললেন। যখন এদের খুনাখুনি শুরু হয়ে গেলো অন্যান্য যারা পালিয়ে গেলো। সরদার লোকটি সরাসরি তাকে হত্যা করে ফেললেন। তিনি আহত অবস্থায় সাইয়্যিদজাদী উনাকে বললেন, আপনি দয়া করে তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যান কারণ তাদের সংখ্যা অনেক। এখন হয়ত তারা পালিয়ে গেছে, তারা আরো লোকজন নিয়ে আসবে। তখন আমার পক্ষে আপনার ইজ্জত সম্মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। দয়া করে আপনি তাড়াতাড়ি চলে যান। সেই সাইয়্যিদজাদী সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে গেলেন, হিফাযতে উনার গন্তব্য স্থানে গিয়ে পেঁৗছলেন। সুবহানাল্লাহ!

এদিকে লোকটা খুন করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেক হৈ চৈ, চিৎকার শুরু হয়ে গেছে। হৈ চৈ শুনে পুলিশ উপস্থিত হলো। এখন এই অবস্থা দেখে পুলিশ সেই লোকটাকে গ্রেফতার করলো। উনার বলার কিছু ছিলো না। তিনি স্বীকার করলেন যে, সে লোকটাকে হত্যা করেছেন। অন্যান্য লোক পুরুষ-মহিলা সকলেই পালিয়ে গেছে। যে লোকটা মারা গেছে তার লাশটা পুলিশ  নিয়ে গেলো আর এই লোকটাকে ধরে হাজতে চালান দিলো। এই ঘটনা ঘটেছে রাত্রের শুরুর দিকে। রাত্র যখন গভীর হলো সেই বাগদাদ শরীফ-এর পুলিশ প্রধান স্বপ্নে দেখলো যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির হয়ে পুলিশ প্রধানকে বলতেছেন, দেখ তোমার হাজত খানায় একজন খুনি লোক এসেছে। একটা খুনি লোককে গ্রেফতার করে হাজত খানায় আনা হয়েছে, তুমি অতিসত্বর ঘুম থেকে উঠে তাকে মুক্ত করে দাও। সুবহানাল্লাহ! এখন সেই পুলিশ প্রধান ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুুয়ে তাড়াতাড়ি কার্যালয়ে এসে খেঁাজ-খবর নিলেন এবং লোকজনকে সে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন। আজকে কি কোন লোককে হাজত খানায় আনা হয়েছে? কোন খুনিকে আনা হয়েছে? তখন সেই এলাকার যে পুলিশ তারা সংবাদ দিলো যে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। লোকটি আরেকটা লোককে হত্যা করেছন। সেই হত্যাকারীকে আমরা গ্রেফতার করে হাজতে এনেছি। তখন পুলিশ প্রধান বললো, তাহলে এককাজ করো সেই হত্যাকারীকে আমার কাছে নিয়ে আসো, আমি তাকে দেখতে চাই। পুলিশ প্রধান যে স্বপ্ন দেখেছে তা কিন্তু প্রথম বলেননি, এখন পুলিশরা তাড়াতাড়ি সেই খুনি ব্যক্তিকে হাজত খানা থেকে পুলিশ প্রধানের কাছে উপস্থিত করলো। তাকে যখন আনা হলো, পুলিশ প্রধান বললো, তোমরা সকলেই কামরা থেকে বের হয়ে যাও, উনার সাথে কিছু কথা আছে। পুলিশ প্রধান ঐ ব্যক্তিকে বসালেন, আপনি কি আসলেই লোকটাকে খুন করেছেন? ঐ ব্যক্তি বললেন, হঁ্যা আসলে আমি খুন করেছি। কেন খুন করেছেন? তখন তিনি মূল ঘটনাটা বললেন, এই বাগদাদ শরীফে একটা দল রয়েছে তারা খুব খারাপ। আমি নিজেও একজন খারাপ লোক। এদের কাজই হচ্ছে মানুষের থেকে ছিনতাই করা, রাহাজানি করা, টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করা, জুলুম করা, খুন-খারাবী করা এবং মহিলাদের নিয়ে ব্যবসা করানো ইত্যাদি। তখন পুলিশ প্রধান বললো, আজকে কি হয়েছে? তিনি বললেন তাদের যে বৃদ্ধা মহিলা সেতো অনেক সময় মেয়েদেরকে ধেঁাকা দিয়ে নিয়ে আসতো ব্যবসার জন্য। আজকে একজন মেয়েকে ধেঁাকা দিয়ে নিয়ে এসেছিলো। সেই মেয়ে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি একজন সাইয়্যিদজাদী। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ। সুবহানাল্লাহ! এখন তিনি পরিচয় দেয়ার পর তার লোকজনকে তিনি বললেন, ব্যবসাতো অনেক হয়েছে জীবনে, অনেক আত্নসাৎ হয়েছে, অনেক ছিনতাই করা হয়েছে, অনেক খুন-খারাবী করা হয়েছে, এ জীবনে পাপ কম করা হয়নি? আজকে যিনি দাবি করতেছেন তিনি সাইয়্যিদজাদী, দয়া করে উনাকে তোমরা ছেড়ে দাও। কারণ বিষয়টা স্বাভাবিক নয়, কঠিন বিষয়। কারণ তিনি নিজেই পরিচয় দিয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে আর কিছুই না, অন্য কোন বিষয়ের জন্য না। এখন এই সাইয়্যিদজাদী উনার ইজ্জত সম্মান রক্ষা করার লক্ষ্যে আমি ঐ ব্যক্তিকে খুন করেছি। তারা চেয়েছিলো সেই সাইয়্যিদজাদী উনার ইজ্জত- সম্মান নষ্ট করার জন্য। আমি উনার ইজ্জত রক্ষার লক্ষ্যে তাকে হত্যা করেছি। সুবহানাল্লাহ! এটা শুনে পুলিশ প্রধান চুপ থাকলো। তখন পুলিশ প্রধান বললো, ঠিক আছে আপনি ভালো কাজ করেছেন। আপনার এই কাজে যিনি নূরে মুজাসসাম, যিনি হাবীবুল্লাহ, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং আপনার জন্য সুপারিশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আপনাকে যেন মুক্তি দেয়া হয়। এখন আপনাকে যদি মুক্তি দেয়া হয় তাহলে আপনি কি করবেন? এখন সেই লোকটা যেহেতু সাধারণ লোক, তার আমল আখলাক অত্যন্ত ক্রুটিযুক্ত। সেটা শুনে তিনি অনেক কাঁদলেন। কান্নার কারণ হচ্ছে তার মতো একজন সাধারণ লোক, এতো বাজে লোক, একটা বদ লোক, খুনি লোক, স্বভাব চরিত্র তার খারাপ, এই খারাপ লোকের জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবীইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই সুপারিশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!! সুবহানাল্লাহ!!!

তিনি অনেক কান্না-কাটি করলেন, ইস্তেগফার করলেন, সে পুলিশ প্রধানকে বললেন তিনি আর কখনও তাদের সাথে মিশবেন না। এখন থেকে ইস্তেগফার তাওবা করে খালিছ আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য কোশেশ করবেন। সত্যিই উনাকে মুক্তি দেয়া হলো। তিনি একজন কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে পরবতীর্তে ওলীআল্লাহ হলেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত করার কারণে উনার জন্য তিনি সুপারিশ করলেন। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ করাতো হবেই, যমীনেও কিন্তু সুপারিশ করা হলো। সুবহানাল্লাহ! উনার শাস্তি ছিলো মৃত্যুদন্ড কিন্তু স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুপারিশ করলেন এবং মুক্তি দিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

কাজেই জ্বীন-ইনসান বা কায়িনাতের যে কেউ হোক না কেন, যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে জান দিয়ে, শারীরিক ভাবে বা দৈহিক শক্তি দিয়ে খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে ইহকাল ও পরকালে তাদেরকে তিনি সুপারিশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

পরিশেষে বলতে হয় আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশির বিষয় হচ্ছে, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছহিবু নেয়ামত, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, কাইয়ুমুয যামান, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম  তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই আওলাদে রসূল ও আখাছছুল খাছ মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত। সুবহানাল্লাহ!

এখন উনাদের যদি আমরা হাক্বীক্বি ভাবে জান দিয়ে, শারীরিক ভাবে বা দৈহিক শক্তি দিয়ে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিতে পারি। অর্থাৎ অনন্তকালব্যাপী উনাদের গোলামী করতে পারি তবেই উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হওয়া সহজ ও সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুপারিশ মুবারক লাভ করা যাবে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে তাওফীক্ব দান করুন ও কবুল করুন। আমীন!

-সাইয়্যিদ আহমদ শাবীব

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বাজান আলাইহিস সালাস ও আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ফিতরাত যুগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ও উনারা দ্বীনে হানীফার উপর কায়িম ছিলেন।

আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সব

সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার শানে নুযূলকে কেন্দ্র করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কুফরী বক্তব্য ও তার খণ্ডনমূলক জবাব

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা বিরোধী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক