খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত যিকির মুবারক তথা মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতটুকু বুলন্দ করেছেন, এটা জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী কারো জানা নেই। সুবহানাল্লাহ! তবে যাহিরীভাবে বুঝার জন্য দৃষ্টান্ত হচ্ছেন-মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ। এখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ তিনি নিজে উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেই উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। নতুন করে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ করার কিছুই নেই। সুবহানাল্লাহ! বরং যে ব্যক্তি উনার সাথে যে কোনোভাবে নিসবত মুবারক রাখবে, উনার ছানা-ছিফত মুবারক করবে, সে নিজেই বুলন্দ মর্যাদার অধিকারী হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এই বিষয়ে কতিপয় সম্মানিত বিশেষ দৃষ্টান্ত মুবারক তুলে ধরা হলো-
শুধুমাত্র একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক-এ বুছা দিয়ে সবচেয়ে বড় নাফরমান সর্বোচ্চ জান্নাতী:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
اِنَّ رَجُلًا عَصَى اللهَ مِائَتَـىْ سَنَةٍ يَّتَمَرَّدُ وَيَـجْتَـرِئُ عَلَيْهِ فِيْهَا كُلَّهَا فَلَمَّا مَاتَ اَخَذَ بَنُوْ اِسْرَائِيْلَ بِرِجْلِهٖ وَاَلْقَوْهُ عَلـٰى مَزْبَلَةٍ فَاَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَنْ غَسَّلَهٗ وَكَفَّنَهٗ وَصَلّٰى عَلَيْهِ فِـىْ جَـمْعِ بَنِـىْ اِسْرَائِيْلَ فَفَعَلَ مَا اَمَرَهُ اللهُ تَعَالـٰى بِهٖ فَتَعَجَّبَ بَنُوْ اِسْرَائِيْلَ مِنْ ذٰلِكَ فَاَخْبَرُوْهُ اَنَّهٗ لَـمْ يَكُنْ فِـىْ بَنِـىْ اِسْرَائِيْلَ اَعْتٰـى مِنْهُ وَلَا اَكْثَرَ مَعَاصِىْ مِنْهُ فَقَالَ قَدْ عَلِمْتُ وَلٰكِنَّ اللهَ اَمَرَنِـىْ بِذٰلِكَ فَقَالُوْا سَلْ رَبَّكَ فَسَاَلَ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ رَبَّهٗ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ يَارَبِّ قَدْ عَلِمْتَ مَا قَالُوْا فَاَوْحَى اللهُ اِلَيْهِ اَنْ صَدَقُوْا مَا قَالُوْا اِنَّهٗ عَصَانِـىْ مِائَتَـىْ سَنَةٍ اِلَّا اَنَّ يَوْمًا مِّنَ الْاَيَّامِ فَتَحَ التَّوْرَاةَ فَنَظَرَ اِلـٰى اِسْمِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْتُوْبًا فَقَبَّلَهٗ وَوَضَعَهٗ بَيْـنَ عَيْنَيْهِ وَفِـىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى وَصَلّٰى عَلَيْهِ فَشَكَرْتُ لَهٗ ذٰلِكَ فَغَفَرْتُ لَهٗ ذُنُوْبَ مِائَتَـىْ سَنَةٍ وَّزَوَّجْتُهٗ سَبْعِيْـنَ حَوْرَاءَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই (বনী ইসরাঈলে) এক ব্যক্তি (সে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) সে দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। সে তার সম্পূর্ণ হায়াতে মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অবাধ্য ও নাফরমানীতে মশগূল ছিলো, বেপরওয়া ছিলো। (যার কারণে কেউ তাকে পছন্দ করতো না এবং সকলে চরম ঘৃণা করতো। ফলে) সে যখন ইন্তেকাল করে, তখন বনী ইসরাঈলরা তার পায়ে ধরে তাকে টেনে-হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করে। তারপর যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন বণী ইসরাঈলের সমস্ত লোকজন নিয়ে ঐ ব্যক্তির গোসল, দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেন এবং তার জানাযার নামায পড়েন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নির্দেশ মুবারক করলেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তাই করলেন। এই কারণে বনী ইসরাঈলরা আশ্চর্য হলো। তারা বললো, সে এমন ব্যক্তি- যার মতো অত্যধিক সীমালঙ্গনকারী, চরম অবাধ্য, অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের অধিকারী, চরম বেপরওয়া, কর্কশভাষী, বড় যালিম, চরম বেআদব, সেরকাশী (অবাধ্য) এবং অত্যধিক পাপীষ্ঠ, গুণাহগার আর কেউ ছিলো না। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি তা জানি। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এরূপ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন তারা সবাই বললো, (দয়া করে) আপনি আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) সুওয়াল করুন (যে এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুওয়াল করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমানী করেছে। তবে সে (সারা জীবনে মাত্র) একদিন সম্মানিত তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সম্মানিত তাওরাত শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক লেখা। তখন সে মুহব্বতের সাথে খুশি প্রকাশ করে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে একবার মাত্র বুছা দিয়েছিলো এবং মুহব্বতের সাথে খুশি প্রকাশ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক তার দুই চোখে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছে, এবং উনার প্রতি সে সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহখতা গুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জন্য তার গোসল, দাফন-কাফন করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছূর ৩/৫৭৯, শরহু বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক মাত্র একবার বুছা দিলে, চোখে স্পর্শ মুবারক করালে অথবা উনার প্রতি একবার সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করলে যদি দুইশত বছরের গুনাহ্-খতা মাফ করে দেওয়া হয়, ঐ ব্যক্তি উনার দুই শত বছরের সমস্ত গুনাহ্-খতা ক্ষমা করে দিয়ে, জহান্নাম হারাম করে দিয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দেওয়া হয়, ৭০ জন হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হয় এবং ঐ ব্যক্তি উনার গোসল, কাফন, জানাযার ব্যবস্থা করা জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপর ফরয করে দেওয়া হয়, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতটুকু বুলন্দ করেছেন, এটা জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! তবে এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক অনুযায়ী নাম রাখবেন এবং যাঁদের নাম রাখা হবে, উনারা প্রত্যেকেই বীনা হিসেবে জান্নাতী
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ نَبِيْطِ بْنِ شَرِيْطٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَتَانِـىْ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلامُ فَقَالَ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقْرَاُ عَلَيْكَ السَّلامَ وَيَقُوْلُ وَعِزَّتِـىْ وَجَلالِـىْ لَا اُعَذِّبُ اَحَدًا سُـمِّىَ بِـاِسْـمِكَ بِالنَّارِ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “হযরত নাবীত্ব ইবনে শারীত্ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একবার হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার মহাসম্মানিত খেদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপানাকে সম্মানিত সালাম মুবারক জানিয়েছেন এবং ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘আমার সম্মানিত ইয্যত ও জালালিয়াত মুবারক উনাদের ক্বসম! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক অনুযায়ী যাঁদের নাম রাখা হবে উনাদের কাউকেই আমি দোযখে শাস্তি প্রদান করবো না’।” সুবহানাল্লাহ! (নুস্খাতু নাবীত্ব ইবনে শারীত্ব ১১৯ পৃ.)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادٰى مُنَادٍ يَا مُـحَمَّدُ قُمْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ فَيَقُوْمُ كُلُّ مَنِ اسْـمُهٗ مُـحَمَّدٌ وَيَتَوَهَّمُ اَنَّ النِّدَاءَ لَهٗ فَلِكَرَامَةِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُـمْنَعُوْنَ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন- ‘হে মুহম্মদ’! উঠো অতঃপর বীনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ করো। তখন যাঁদের নাম ‘মুহম্মদ’ উনারা প্রত্যেকেই দাড়াবেন এই ধারণা করে যে, নিশ্চয়ই তাঁকেই সম্ভোধন করা হয়েছে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে তাদের কউকেই (সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে বিনা হিসাবে যেতে) বাধা দেওয়া হবে না অর্থাৎ উনারা সকলেই বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন ।” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
كَانَ الشَّيْخُ اَبُو الْـمَوَاهِبِ الشَّاذَلِـىُّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَقُوْلُ بَلَغْنَا اَنَّهٗ يُؤْتٰى بِـمَنِ اسْـمُهٗ مُـحَمَّدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُوْلُ اللهُ لَهٗ اَمَا اِسْتَحَيْتَ عَصَيْتَنِـىْ وَاَنْتَ سَـمِىُّ حَبِيْبِـىْ لٰكِنْ اَنَا اَسْتَحِىْ اَنْ اُعَذِّبَكَ وَاَنْتَ سَـمِـىُّ حَبِيْبِـىْ اِذْهَبْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ.
অর্থ: “শাযালী ত্বরীক্বার ইমাম হযরত শায়েখ আবুল মাওয়াহিব আশ শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের নিকট (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ) পৌঁছেছেন যে, নিশ্চয়ই যাঁদের নাম ‘মুহম্মদ’ হবে, ক্বিয়ামতের দিন এমন ব্যক্তি উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট নিয়ে আসা হবে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কি আমার নাফরমানী করতে লাজ্জা বোধ করো নি? অথচ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক অনুযায়ী তোমার নাম রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি তোমাকে শাস্তি দিতে লজ্জা বোধ করছি- কারণ তোমার নাম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক অনুযায়ী রাখা হয়েছে। কাজেই তুমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করো।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বলুছ ছলাওয়াত ‘আলা সাইয়্যিদিস সাদাত, আত ত্ববাক্বাতুল কুব্রা লিশ শা’রানী ৩৮৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ اُمَامَةَ الْبَاهِلِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ وُّلِدَ لَهٗ مَوْلُوْدٌ فَسَمَّاهُ مُـحَمَّدًا حُبًّا لِّـىْ وَتَبَرُّكًا بِـاِسْـمِىْ كَانَ هُوَ وَمَوْلُوْدُهٗ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আবূ উমামা আল বাহিলী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তির ছেলে সন্তান হয় অতঃপর সে ব্যক্তি যদি আমার মুহব্বতে এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক উনার বরকত লাভের জন্য তার ছেলে সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ রাখে, তাহলে সে ব্যক্তি এবং তার ছেলে উভয়েই সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ যাবে।” সুবহানাল্লাহ!
যে ব্যক্তি আযানের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক শুনে তার উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি দুচোখের উপর রাখবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে ক্বিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করবেন এবং তাকে সম্মানিত জান্নাত
মুবারক-এ প্রবেশ করাবেন:
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَـمِعَ اِسْـمِىْ فِـى الْاَذَانِ وَهُوَ وَضَعَ اِبْـهَامَيْهِ عَلـٰى عَيْنَيْهِ فَاَنَا طَالِبُهٗ فِـىْ صُفُوْفِ الْقِيَامَةِ وَقَائِدُهٗ اِلَـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আযানের সময় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইস্ম বা নাম মুবারক শুনলো এবং তার উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি দুচোখের উপর রাখলো, আমি তাকে ক্বিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করবো এবং তাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করাবো।” সুবহানাল্লাহ্! (ছলাতে নখশী, কানযুল ‘ইবাদ, কিতাবুল ফিরদাউস, ফতওয়ায়ে ছূফিয়্যাহ্)
যাঁরা মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠ করবেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করবেন, উনাদের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে, উনাদের সমস্ত গুনাহ্-খতা ক্ষমা করে দিয়ে মা’ছূম তথা নিষ্পাপ করে দেওয়া হবে এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে নাজাত দেয়া হবে:
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلـٰى بَيْتِ حَضْرَتْ عَامِرِ ۣ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ.
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমের আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মহাসম্মানিত ঘটনা মুবারকসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। এই ছানা-ছিফত মুবারক শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজা মুবারকসমূহ আপনার জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবেন, তিনিও আপনার মত নাজাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানউইর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালাম ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়াম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا اَنَّهٗ كَانَ يُـحَدِّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِـىْ بَيْتِهٖ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ فَيَسْتَبْشِرُوْنَ وَيُـحَمِّدُوْنَ اللهَ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِـىْ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি উনার বাড়িতে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মহাসম্মানিত ঘটনা মুবারকসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারী উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন, আপনাদের জন্য আমার সম্মানিত শাফা‘আত মুবারক ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানউইর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালাম ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়াম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে সফর শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি গতকাল জুমু‘আহ্-এর ওয়ায শরীফ-এ যখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দুখানা আলোচনা করছিলাম, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, কোনো গুনাহ্গার আমার ছানা-ছিফত করুক, এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আলোচনাকারীকে আমার আলোচনা শুরু করার আগেই মা’ছূম করে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বললেন, আমার আলোচনা যে করে, আলোচনা শুরু করার আগেই তার গুনাহ্-খতাগুলো মাফ করা হয়, তারপর তার দ্বারা আমার আলোচনা করানো হয়।’ কোনো গুনাহ্গার আমার আলোচনা করতে পারবে না। আলোচনা করার আগে তার গুনাহ্গুলি মাফ করে দেই। সুহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সে মা’ছূম অবস্থায় আমার আলোচনা করে। পরে সে গুনাহ্ করলে তারটা তার উপর। সে যখন আমার আলোচনা করে, তখন সে মা’ছূম অবস্থায় আমার আলোচনা করে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! গুনাহ্গার, নাপাক লোক আমার আলোচনা করতে পারে না।
আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা গুনাহ্ থেকে মা’ছূম। আমার আলোচনা যখন কেউ করে, তখন সে মা’ছূম হয়ে আলোচনা করে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, এটা জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যতো শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করে শুকুরগুজারীর সাথে খুশি প্রকাশ করে অনন্তকালব্যাপী হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুফতী মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন