সীমান্তে ভারতীয় ড্রোন মোতায়েন সম্পর্কে বাংলাদেশের ব্যাখ্যা চাওয়া আদৌ সন্তোষজনক নয়। ব্যাখ্যা নয়, বাংলাদেশের জনগণ চায় জোরালো এবং সক্রিয় প্রতিবাদ ও পদক্ষেপ। নচেৎ বাংলাদেশের জনগণের ক্ষোভের অনলে পুড়বে সরকার ও ড্রোন।

সংখ্যা: ২২৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যসাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ মুবারক ও সালাম মুবারক

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন নজরদারির ব্যাপারে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী তারিখ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল ঢাকা

বলাবাহুল্য, এভাবে নিস্তেজ ব্যাখ্যা চাওয়াকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর এতবড় আঘাতকে নীরবে হজমের পাঁয়তারা বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল

বর্তমানে ভারত ড্রোন বিমান নকশাল আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ব্যবহার করছেবিএসএফ বলেছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোনের ব্যবহার আরও সফল বলে প্রমাণিত হতে পারেবিএসএফের নজরদারি শক্তিশালী করতে এরই মধ্যে শত্রুপক্ষীয় অবস্থান নির্ণয় এবং সেই স্থানের নজরদারিতে দূরপাল্লার লোরোস (এলওআরআরওএস) ব্যবস্থা, যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারি রাডার (বিএফএসআর) ও রাতের অন্ধকারে দেখার উপযোগী যন্ত্র ব্যবহার করছে ভারতএসবের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের এ ব্যবস্থাভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তা নিয়ে এ নজরদারি করবে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)এ ধরনের ড্রোন নজরদারি পাকিস্তান সীমান্তেও করবে ভারত সরকার

ড্রোন সীমান্ত এলাকার ১০ থেকে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়বেআকাশসীমা ব্যবহার সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা থাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তা নেয়া হবেজানা গেছে, ভারত শুধু পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তেই এটি মোতায়েন করবে না, বাংলাদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তেও ড্রোন মোতায়েন করবেভারতীয় সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশের করার চেষ্টা করলে বা এ সংক্রান্ত কর্মকা- চালালে তার চিত্র ড্রোন থেকে ধারণ করা হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেসব তথ্য সংশ্লিষ্ট বিএসএফ ক্যাম্পে জানিয়ে দেয়া হবেজানায়, ড্রোন মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্তের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সীমান্তবর্তী মানুষ ও বিশেষজ্ঞ তথা বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনসাধারণবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে চরম হুমকির মধ্যে ফেলবেএতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা আছেযদি ড্রোন মোতায়েন করতেই হয় তবে বাংলাদেশের সাথে ভারতকে বসতে হবেআর শুরুতেই জোরালো প্রতিবাদ না হলে পরে পাত্তাই পাওয়া যাবে না

উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনেক অমীমাংসিত বিষয় থাকা সত্ত্বেও ভারত কেন আরেক নতুন বিষয়ের জন্ম দিয়ে নতুন উত্তেজনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করলো তা গভীর রহস্যজনকএ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় বিবেচ্যনিরাপত্তার দিক থেকে সম্ভাবনা এই যে, আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘিত হবে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অবৈধ ছবি তোলা হবে এবং ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী আস্তানা আছে এই অজুহাতে বাংলাদেশ ভূখ-ে ড্রোন হামলা চালানো হতে পারেঅর্থাৎ সর্বক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা আছেঅতএব, ভারতের পক্ষ থেকে এই একতরফা পদক্ষেপ প্রত্যাহারের জন্য আমরা জোরালো প্রস্তাব করছি

অপরদিকে উল্লেখ্য, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম সর্বাধিক শক্তিশালী, বিস্তৃত ও সক্রিয়ভারতীয় গোয়েন্দার মূল্যায়নে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন আসন্নআগামী দিনের সম্ভাব্য রাজনৈতিক সরকারের আমলে সীমান্তকে বিতর্কিত ও উত্তেজনাময় রাখার জন্য তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছেউদাহরণস্বরূপ, এখন থেকে ছয় মাস বা নয় মাস পরে সম্ভাব্য বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বলতে পারবে যে, আমাদের আমলে সীমান্ত স্থিতিশীল ছিলএখন গ-গোল

বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান সরকার কতটুকু জনবান্ধব, ব্যবসায়ী বান্ধব, শিল্পবান্ধব কিংবা পরিবেশবান্ধব, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সবাই নিঃসন্দেহ যে, এটা ভারতবান্ধব সরকারপ্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সরকারের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলেরা বলে থাকেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং পরীক্ষিত বন্ধুঅথচ দেশটির আচরণে প্রমাণিত হয়েছে, তারা বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নয়এই সরকারের আমলে নানাভাবে ভারততোষণ করতে গিয়ে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ হয়েছে

ভারতকে ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ এখন ১ লাখ ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের করিডোর দেয়ার পাঁয়তারা চলছেঅপরদিকে এ দেশের প্রতি ভারতের তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাব এবং অবমাননাকর আচরণ আরো বেড়েছেফেলানী হত্যা মামলায় আসামিদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছেএরই ধারাবাহিকতায় নেয়া হয়েছে সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্তপাকিস্তান আর বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যার মাঝে অনেক ব্যবধানতাই এখানে ড্রোন মোতায়েনকে স্বাভাবিক বলা যায় নাসীমান্তে কড়া নজরদারির জন্য ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রের মতো রাডার, দূরপাল্লার পর্যবেক্ষণ, লাইটভিশনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতএরপরও ড্রোনের মোতায়েন গভীর দুরভিসন্ধিমূলক

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুধু ড্রোন মোতায়েনের ব্যাখ্যা চেয়েছেভাবখানা এই যে, উপযুক্ত জবাব দিতে পারলে ভারতের ড্রোন মোতায়েন জায়িয হয়ে যাবেকিন্তু কোনো মূল্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন বরদাশতযোগ্য নয়- এ কথা উচ্চকিত কণ্ঠে, দীপ্তভাবে বলছে না কেন বর্তমান সরকার? এতে প্রমাণিত হয়, সরকারের ভূমিকা নতজানু ও দুর্বলসরকারের নিষ্ক্রিয়তা রহস্যজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতবাংলাদেশের জনগণ বর্তমান সরকারের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœকর ভারতপ্রীতি দেখতে দেখতে ভীষণ ক্ষুব্ধড্রোন মোতায়েনে সরকার সক্রিয় প্রতিবাদ না করলে জনগণের ক্ষুব্ধতার অনলে ঘি পড়বেতাতে সরকার ও ভারত উভয়েই পুড়বে

মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকেআর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকে সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত মুবারক হাছিল সম্ভবখালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।