আগের ঘটনা মুবারক?
জওয়াব মুবারক: ঘটনা তো কয়েক দিন আগের।
প্রথম সূত্রপাত করেছেন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি। উনিই একদিন কোনো এক প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন যে, ‘আমার কাছে আসতে হবে না?’ আমি বলেছি, ‘আসতে হবে’। তারপর উনি বলেছেন, ‘ইলিম শিখতে হলে তো আমার থেকে শিখতে হবে।’ আমি বলেছি, ‘হ্যাঁ’। তো প্রাথমিকটা উনি দেখিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
সুওয়াল: কুদরত মুবারকটা কেমন ছিলো?
জওয়াব মুবারক: এটা গোল, একটা বলের মতো। (উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি কুদরতের মেছালী ছূরতটা) দেখিয়ে বললেন যে, কুদরতের মেছালী ছূরত হলো এটা। উনি কুদরত মুবারকের মেছালী ছূরতটা দেখিয়েছেন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে আমাকে বলা হলো যে, এটা বুঝতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনার ছমাদিয়াতটা বুঝতে হবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছমাদিয়াতটা বুঝতে হবে, উনার শানটা বুঝতে হবে। উনাকে যে মহান আল্লাহ পাক উনি সব হাদিয়া করেছেন, এটা বুঝতে হবে। আর মহান আল্লাহ পাক উনি যেমন ছলাত পাঠ করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও ছলাত পাঠ করেন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি। যাহিরীভাবে মানুষ দেখে না, বুঝে না।
এর পরবর্তী সময় মূল জিনিসটা প্রকাশ করলেন। এখন এগুলি ইলমী বিষয়, ফিক্বিরের বিষয়। যারা ফিক্বির করবে, তারা হয়তো বুঝতে পারে। সবাই তো বুঝবে না। কারণ পবিত্র কুদরত মুবারক তো পবিত্র কুদরত মুবারকই।
এখন আবার পবিত্র কুদরত মুবারক উনার মধ্যেও পার্থক্য আছে। স্বাভাবিকভাবে পবিত্র কুদরত মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার একটা জাতী ছিফত। যা সৃষ্টি নয়। আবার মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে অলৌকিক কোনো জিনিস বের হলে সেটাকেও পবিত্র কুদরত মুবারক বলা হয়। যেমন- নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে অলৌকিক বিষয়কে ‘মু’জিযা শরীফ’ বলা হয়, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অলৌকিক বিষয়কে ‘কারামত’ বলা হয়।
এখন যারা আছে তারা বুঝেছে কি না? বুঝতে হবে, ফিক্বির করতে হবে। আর ইল্মের বিষয়টা তো কঠিন। পবিত্র ইল্ম মুবারক তো মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আসে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
{اِنَّـمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللهِ {الملك: ২৬
‘নিশ্চয়ই ইল্ম মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে।’
এজন্য বলেছিলাম যে, এটা ভাষা দিয়ে মিলানো বা বুঝানো খুব কঠিন। প্রকাশ করাটাও কঠিন। আবার বুঝানোও কঠিন। এখন কেউ যদি ফিক্বির না করে, সে বুঝবে না। এটা ফিক্বির করতে হবে বুঝতে হলে। আর বিষয়গুলিতো এক সাথে ফিকির করতে হবে, তখন বুঝা যাবে। বিচ্ছিন্ন বিষয়। ইস্তাওয়াটা বুঝা গেছে সহজে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইস্তাওয়া করিয়েছেন, পার্থক্য সূচনা করেছেন। এটা তুলনামূলক সহজ বিষয় ছিলো। কিন্তু পবিত্র কুদরত মুবারক তো কঠিন বিষয়। এটা একদম বা একেবারে সরাসরি ওজুদ মুবারক উনার সাথে সংশ্লিষ্ট। এটার ব্যাখ্যা মানুষ করবে কিভাবে? আর এ বিষয়গুলো যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি না বলেন, তাহলে বুঝার তো কোনো কিছু পাওয়া যাবে না আগে বা পরে।
يَدُوْرُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى
এখন يَدُوْرُ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَـعَالـٰى এখানে يَدُوْرُ বলতে আসলে ঘুর্ণয়মান না, অবস্থান মুবারক। মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি সৃষ্টি করে অবস্থান করালেন উনার নিয়ন্ত্রণে। ওটাই
[قَدَّرَ فَـهَدٰى] [الأعلى: ৩]
[قَدَّرَهٗ تَـقْدِيْـرًا] [الفرقان: ২]
সব দিলেন।
আর এরপরে بِالْقُدْرَةِ (বিল কুদরত)। আসলে بِالْقُدْرَةِ (বিল কুদরত) অর্থ নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ এখানে অন্য কোনো বিষয় নয়, কুদরত মুবারক। এটা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে একটা নিসবত। মহান আল্লাহ পাক উনি নিয়ন্ত্রনকারী। এটা আর কারো সাথে নেই। একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে, আর কারো সাথে না। আবার ঠিক ওই ওজুদ মুবারক থেকে নূর মুবারক নিয়েই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে কারো সম্পর্ক নেই। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের নিসবত মুবারক।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব।
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত পরিচিতি মুবারক