রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম,
দেন শান্তি সাম্য শিষ্টতা এনে সাবলিল আঞ্জাম।
পুরো দেশ জুড়ে, সাফল্য ধরে, রইছে জ্যোতিষ্মান,
আটানব্বই ভাগ মুসলমানের চমকিছে শান মান।
নামায কালাম যিকির আযকারে মুখোর বাংলাদেশ,
দেন যে, তা’লীম হক্কানী আলিম তাক্বওয়ার উন্মেষ।
আযানের ওই মুবারক ধ্বনি সুললিত হয়ে ডাকে,
খোদায়ী হুকুম পালনের তরে স্মরণিছে গণলোকে।
দেখি মুসলমানের পর্বগুলোতে খুশির জাঁকজমক,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বরাত ক্বদরে জোশ বহে স্বার্থক।
জননী ভগ্নী কন্যা ও মা শালীন পর্দা করে,
বোরকা চাদরে মুড়ি দিয়ে সবে আপন কার্য সারে।
শিশু ও বালক তরুণ যুবক পৌঢ় বৃদ্ধ মিলে,
আদর স্নেহ শ্রদ্ধার মোহে গুজরাই মঙ্গলে।
জান্নাতী নূরে অন্তর ভরে, বাংলার মুসলিম,
ন্যায় ইনসাফ রহে আশরাফ নেই কোনো হিমশিম।
নববী নাবিক আউলিয়া অধিক এদেশেই বিচরণ,
উনারা সুন্নাহী নাজ, রাখেন বিরাজ, তরীক্বা অনুক্ষণ।
এতে তামাম আওয়াম লভিছে ইনাম নূরানী বন্দেগীতে,
নেই ভেদাভেদ নেই বিচ্ছেদ নেইরে হঠকারিতে।
বেশ ভ্রাতৃ বাঁধনে মুসলমানেরা সোনার বাংলাদেশে,
আপন নীড়কে মজবুত করে ইলাহী স্বচ্ছ জোশে।
মাহে সিয়ামের ইফতারিতে পড়ে যায় মহাধুম,
ঈদুল ফিতরী আনন্দ হতেই রহেনা যে মাহরূম।
ঈদুল আদ্বহায় কুরবানী দিতে চৌদিকে উত্তাল,
গরিবের বাড়ি গোশত বিলাতে কভু নহে বেশামাল।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদে আ’যম ঈদে মীলাদে হাবীবী,
দেশময় জুড়ে হচ্ছে পালন পূরণ হচ্ছে দাবি।
দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলা জন্মভূমি,
চির সবুজের গালিচায় মোরা উর্বরে মহাদামি।
অধুনা ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবে মিলে,
মুসলিম দেশ বাংলাকে তারা ক্ষতি করতে চাচ্ছে ছলেবলে।
সেই তরে তারা ছলচাতুরীর কঠিন অক্টোপাসে,
কামড়ায় ধরে রাখছে গো হায় দেশটা সর্বনাশে।
একে একে তারা করতে চাচ্ছে কাবু মুসলিমী ইজ্জত,
ঈমান আমল বিকলে রাখতে ছুটে আসে বদবখত।
দেশটাকে তারা সিকিম বানাতে ফাঁদ পাতে মজবুত,
উলামায়ে ‘সূ’ আর মুনাফিক দিয়ে শিকার করছে যুত।
সহজ সরল মুসলিমদের দিয়ে ধোঁকা অহরহ,
তাগুতি পক্ষ করছেই ভারি নেই আর সন্দেহ।
হায় মুসলিমদের ঐক্য ভাঙ্গতে দল উপদল গড়ে,
দুর্বল করে মারছে শাবল, ঈমানদারের ঘাড়ে।
আহা তাগুতী দাবি পূরণ করতে কতনা ফন্দি আঁটে,
রাষ্ট্রধর্ম রাখবে না তারা মামলা করেছে কোর্টে।
বিসমিল্লাহ হায় দিয়েছে মিটায় সংবিধানের শিরে,
ইসলামী রেওয়াজ বন্ধ করতে ‘রিট’ করে চুপিসারে।
আযান, যিকির, নামায, ফিকির ইসলামী তরীক্বা,
বাংলাদেশকে রাখতে চাহে ইহা হতে হায় ফাঁকা।
সবার উপরে দেশ ও ভাষা ধর্ম যে যার যার,
এই শ্লোগানে হিন্দু বৌদ্ধ করতেছে চিৎকার।
ওই করছে বয়ান ইহুদী খ্রিস্টান আমরাও নেই পিছে,
তোমাদের সাথে রহিই গেঁথে কহিনা একটু মিছে।
ওরে ওই ইবলিসী দাস তাগুত পূজারী শোন,
পারবি না আর পালাতেই তোরা বন্ধ যে সব কোণ।
তোদের ছলনা জল্পনা সব করে দিয়ে বানচাল,
রহি, মর্দে মুজাহিদ আমরা মু’মিন জাগ্রত চিরকাল।
দেশ ও বিশ্বের সকল তাগুত, নে শুনে নে বেঈমান,
মোরা সহজেই করি নিঃশেষ তোর ধূর্তমী উত্থান।
মোদের মহাসম্মানিত মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামে মুসলিমীন,
তিনি বাংলাদেশেই অবস্থানেন বীর বেশে অমলীন।
উনার মুবারক নির্দেশে রহি হরদম হুঁশিয়ার,
রহি আমরা মু’মিন কায়িনাতের উনারই তাঁবেদার।
বিলকুল মোরা বিকলে রাখতে তাগুতবাদীরে ধরে,
নরকাগ্নিতে জ্বালাইয়া দেই আস্ত পূজারী পুড়ে।
ওই হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান তোরা আদালতে কর রিট,
ঝাটাপিটা করে ‘রিট’ ধ্বংসিবো শুনরে নরকী কীট।
আমরা মু’মিন নহি বলহীন যাররা দিবো না ছাড়,
শুনে রাখ মোরা মুসলিম জাতি ধারি নাকো কারো ধার।
মোদের মুনিব ফারূক্বে আ’যম আমীরুল মু’মিনীন,
খলীফায়ে আস সাফফাহ যে তিনি উচ্চেই চিরদিন।
ওরে বাংলার সরকার তুমি, দাবি করো মুসলিম,
তবে আটানব্বই ভাগ মুসলমানরে কেন করো নিজঝিম।
কুরআন সুন্নাহ পরিপন্থী আইন করবে না কোনো,
কি করে হিন্দু মাথাচাড়া দেয় ফিকির করবে যেন।
মোদের দেশের মানচিত্রটা মিটিয়ে দিতেই তারা,
অপকৌশলে মশগুল রোহে মিথ্যা কহিনা থোরা।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯