হাবীবুল্লাহিল মান্নান, দ্বীনুহূ খইরুল আদইয়ান, কুছূরুহুল জিনান, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মরণ ব্যতীত নামায আদায় অসম্ভব

সংখ্যা: ১৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

من يطع الرسول فقد اطاع الله

অর্থ: “যে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত করলো সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক-এরই ইতায়াত করলো।” (সূরা নিসা-৮০)

নামাযে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্মরণ করা যাবেনা এমন বক্তব্য কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও নেই। বরং নামাযে আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে স্মরণ করতে হবে সে কথাই হাদীছ শরীফ-এ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে। স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন-

 صلوا كما رايتمونى اصلى

“তোমরা ঐভাবে নামায পড়; যেভাবে আমাকে নামায পড়তে দেখেছ।”

এখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব যেভাবে নামায পড়েছেন সেভাবে নামায পড়তে গেলে তো ইচ্ছায়- অনিচ্ছায় আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে স্মরণ করতেই হবে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব যেভাবে নামাযের নিয়ত করেছেন, নিয়ত বেঁধেছেন, ক্বিয়াম করেছেন, ক্বিরায়াত পাঠ করেছেন, রুকু করেছেন, সিজদা করেছেন, বসেছেন, সালাম ফিরিয়েছেন অর্থাৎ নামাযের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নামাযের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার মধ্য দিয়ে যেভাবে নামায আদায় করেছেন সেভাবে নামায আদায় করতে গেলে অবশ্যই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্মরণ আসতেই হবে। এছাড়া নামাযের ভিতরে তাশাহ্হুদ ও দুরূদ শরীফ-এর মধ্যে তো সরাসরি আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর নাম মুবারক পড়তেই হচ্ছে। তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে স্মরণ করা ব্যতীত কিভাবে নামায পড়া সম্ভব হতে পারে?

কাজেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর স্মরণ নামায ভঙ্গের কারণ কিংবা শিরক্ কোনটিই নয়। বরং আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে নামায পড়াই হচ্ছে আসল বা খাঁটি নামায।

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিছাল শরীফ-এর আগ মুহূর্তে অসুস্থতার সময়ে উনার নির্দেশে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নামাযের ইমামতি করছিলেন। একদিন তিনি যুহরের নামাযের ইমামতি করছিলেন, এদিকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অসুস্থতা কিছুটা প্রশমিত হওয়াতে তিনি দু’জন ছাহাবীর কাঁধে ভর করে মসজিদে আগমন করলেন। হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নামায পড়াকালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে পেলেন। তখন তিনি পিছনে সরে আসতে চাইলেন। কিন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশারা করে নিষেধ করলেন। ছাহাবী দু’জন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর বাম পার্শ্বে বসিয়ে দিলেন। তিনি বসে নামায পড়তেছেন। আর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দাঁড়িয়ে নামায পড়তেছেন। তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইক্তিদা করতেছিলেন এবং ছাহাবাগণ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ইক্তিদা করতেছিলেন।

প্রমাণিত হলো, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নামায পড়াচ্ছিলেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের খেয়ালও করছিলেন।

এখন বলুন, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নামাযের মধ্যেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সম্মান দেখানো কিরূপ শিরক্? শিরক্ বললে কি ঈমান থাকবে? নামায তো আল্লাহ তায়ালার ধ্যানে মগ্ন হয়ে যাওয়ার অপর নাম। কিন্তু হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এইরূপ নামাযে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেয়ালও করছেন এবং নামাযও পড়েছেন। তিনি তো প্রথমে মুছল্লীগণের স্বয়ং ইমাম হওয়ার নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধেছিলেন, কিন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আগমনের পর তিনি উনার মুক্তাদী হয়ে গেলেন। এখন উনার ইমামতি বাকি রইল কিনা? এবং উনার নামায হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেয়াল বা স্মরণে পড়া হয়েছে কি না?

উল্লিখিত অবস্থাগুলির প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সর্বদাই আল্লাহ পাককে স্মরণ করার সাথে সাথে নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ধ্যান, খেয়াল ও স্মরণ নিয়েই থাকতেন এবং সর্বাবস্থায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্মানের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন। এর নামই হলো আসল ঈমান এবং এর নামই হলো হাক্বীক্বী নামায।

-হযরত মাওলানা আবূ আহমদ সাফওয়ান

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে