১৫ই শা’বান বা পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান উনার দিনে রোযা রাখার বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ

সংখ্যা: ২৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমানে সালাফী ওহাবীরা বলে, পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা লাইলাতুল বরাতে রোযা রাখার কোন দলীল নেই, এ দিন নির্দিষ্ট করে রোযা রাখা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অথচ ছিহাহ সিত্তার অন্যতম ছহীহ কিতাব “মুসলিম শরীফে” এই দিনে রোযা রাখার স্পষ্ট দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لآخَرَ ‏”‏ أَصُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ

অর্থ: হযরত ইমরান ইবনু হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে অথবা অপর কাউকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্যভাগে (লাইলাতুল বরাতে) রোযা পালন করেছিলেন? তিনি বললেন, না। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনি রোযা পালন করেননি, তখন আপনি দুই দিন রোযা পালন করে নিবেন। (মুসলিম শরীফ: কিতাবুস ছাওম- বাবু ছাওমি শাহরী শাবান- হাদীস শরীফ নং ২৬২২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ শরীফ নং ৩৫৮৮,  ফতহুল বারী ৪/২৩০, উমদাতুল ক্বারী ১৭/৯৯, শরহে মুসলিম লি নববী ৪/১৮১)

শুধু তাই নয়, এই রোযার গুরুত্ব এতই বেশি যে, এই দিনে রোযা না রাখলে, কাফফারাস্বরূপ পবিত্র রমাদ্বান মাসের পর দুই দিন রোযা রেখে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ رحمة الله عليه، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ رحمة الله عليه، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ رحمة الله عليه، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ رحمة الله عليه عَنْ مُطَرِّفٍ رحمة الله عليه، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ ‏”‏هَلْ صُمْتَ مِنْ سُرَرِ هَذَا الشَّهْرِ شَيْئًا”‏‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏فَإِذَا أَفْطَرْتَ مِنْ رَمَضَانَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ مَكَانَهُ ‏”‏

অর্থ: হযরত ইমরান ইবনু হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক ছাহাবী (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এ মাসের (শা’বান মাসের ১৫ তারিখ) মধ্যভাগে রোযা পালন করেছিলেন? তিনি বললেন, না। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি তার বদলে রমাদ্বান মাস উনার রোযা শেষ করে দুই দিন রোযা পালন করবেন। (মুসলিম শরীফ: কিতাবুস ছাওম- বাবু ছাওমি শাহরী শা’বান- হাদীস শরীফ নং ২৬২৩)

কাজেই, ‘মুসলিম শরীফ’ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব দ্বারাই প্রমাণিত হলো, পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান উনার রোযা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই দিনে রোযা অস্বীকার করে তারা ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী। এরাই মানুষরূপী ইবলীস শয়তান। তারা চায় না মুসলমান উনারা বিশেষ দিনসমূহের আমল করে রহমত বরকত নিয়ামত হাছিল করুন। নাঊযুবিল্লাহ!

-খাজা মুহম্মদ নূর

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।