যারা ইসলামের প্রথম জিহাদ ‘বদরের জিহাদে’ অংশগ্রহণ করেছিলেন কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক- উনাদের অনেক ফযীলত, মর্যাদা, মর্তবা বর্ণনা করেছেন।
বদরের জিহাদে মহান আল্লাহ পাক সরাসরি ফেরেশতা পাঠিয়ে সাহায্য করেছেন, সে বিষয়ে আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। এমনকি ‘বদরের জিহাদে’ যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন উনারা আলাদাভাবে ‘বদরী ছাহাবী’ বলে স্বীকৃতি পেয়েছেন। উনাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন, “উনারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।” (সুবহানাল্লাহ)
উল্লেখ্য, বদর জিহাদ ছাড়াও পরবর্তিতে ইসলামের ইতিহাসে অনেক জিহাদ হয়েছে। ওহুদ থেকে খন্দক, তাবুক ইত্যাদি অনেক বড় বড় এবং বিশেষ কষ্টসাধ্য জিহাদও হয়েছে। তাতে অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম স্মরণীয়ভাবে মাল-জান দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তারা বদরের জিহাদে অংশগ্রহণকারীদের মত মর্যাদা হাছিল করতে পারেননি এবং এটা পারা কস্মিনকালেও আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, বদরের জিহাদ ছিলো ইসলামের প্রথম জিহাদ। সে জিহাদ ছিলো- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের জন্য প্রথম জিহাদ।
উনারা যদি সেই জিহাদে অংশগ্রহণ না করতেন তাহলে আজকে আমরা ইসলাম পেতাম না।
মূলতঃ সারা বিশ্বে ইসলাম প্রচার-প্রসারে টিকে থাকার প্রক্রিয়ায় মূল অবদান হচ্ছে যারা বদরের জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন উনাদেরই।
স্বাধীনতা উত্তর দেশে- অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধ, শতভাগ স্বাক্ষরতার যুদ্ধ, দেশ গড়ার যুদ্ধ ইত্যাদি- অনেক যুদ্ধই শুরু হয়েছে। তাতে অনেক লড়াকু সৈনিক এবং অনেক সেনাপতিও শহীদ হয়েছেন।
কিন্তু সে সেনাপতিদের তেমন কিছুই কৃতিত্ব নেই যতটা রয়েছে ১৯৭১-এর রনাঙ্গনের একটা সামান্য মুক্তিযোদ্ধার।
মুক্তিযুদ্ধ এই দেশে একবারই হয়েছে। ১৯৭১-এ হয়েছে।
কাজেই সে মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেনি বরং তার বিরোধিতা করেছে- এরপরে তারা যতই স্বাধীনতা রক্ষা করব বলে গলা ফাটাক
অথবা সত্যিকার অর্থেই এখন স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করুক
তাতে তারা ‘রাজাকার’ নাম ঘোচাতে পারবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের খাতায় নাম লেখাতে পারবে না।
তবে তারা যদি প্রকাশ্যে তওবা করে, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে তারা তওবাকারী রাজাকার বলে গণ্য হতে পারে।
সেক্ষেত্রে তারা মুক্তিযোদ্ধা তো নয়ই এমনকি রাজাকার শব্দ সংযুক্তিহীন থাকতে পারবে না।
তাদেরকে বড় জোর তওবাকারী রাজাকার বলা যেতে পারে।
কিন্তু রাজাকার নাম থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হতে পারবে না।
তওবা করলে আল্লাহ পাক কবুল করেন। তবে প্রকাশ্য পাপের প্রকাশ্য তওবা। আর গোপন পাপের গোপন তওবা।
১৯৭১-এর ঘাতক, ধর্ষক, লুটেরা জামাতীদের তওবা করলে, যে হবে না তা নয়।
তবে সেক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিতে তাদেরকে দুটো পন্থা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমতঃ প্রকাশ্যে তওবা করা।
দ্বিতীয়তঃ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে তারা যদি ক্ষমা করে তবেই তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে।
আর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি যদি তাদেরকে ক্ষমা না করে তবে তারা কখনও মাফ পাবে না।
আর ক্ষমাপ্রাপ্ত হলেও তারা চিহ্নিত হবে তওবাকারী ‘রাজাকার’ হিসেবে; সেক্ষেত্রে রাজাকার শব্দটি তাদের সাথে যুক্ত থাকবেই থাকবে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
“জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।”
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, সংবিধানে বর্ণিত উপরোক্ত বিধানের সুবাদে জামাতীরা আজকে যেখানে-সেখানে, যত্র-তত্র, নামে-বেনামে,
নানা ছুতো নাতায় প্রতিদিনই অনেক সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে।
কিন্তু স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সে সুবিধা-সমাবেশ করার অধিকার পাওয়ার কথা,
সেটা তো স্বাধীনতা বিরোধী জামাতীরা পেতে পারে না।
উল্লেখ্য, সংবিধানে বর্ণিত ৩৭ নং অনুচ্ছেদে সমাবেশ করার ক্ষেত্রে ‘যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ’-এর কথা বলা হয়েছে।
বলাবাহুল্য, জনশৃঙ্খলা এবং আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ জামাতীদের প্রতি পুরোটাই আরোপিত হয়।
কাজেই জামাতীদের সমাবেশের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ গভীরভাবে বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ করতে হবে।
-০-
বর্তমান দিন বদলের সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তথা রাজাকারদের বিচার।
অথচ আজকে যুদ্ধাপরাধী জামাতীরা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে জাতির সাথে নির্মম প্রতারণা, বেঈমানী এবং মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপহাস করে চলছে।
আজকে জামাতীরা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন করছে।
জামাতীরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানসহ
‘মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ’ শব্দদ্বয়কে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে।
এসব অনুষ্ঠান ভাল। কিন্তু তা সেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার জামাতীদের করার অধিকার নেই আদৌ।
কারণ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করতে হলে আগে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করতে হবে।
সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে তাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে। এবং তার জন্য প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে।
তার পরে ক্ষমাপ্রাপ্তরাই কেবল মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা শব্দদ্বয় সম্পৃক্ত অনুষ্ঠান করার অধিকার পাবে।
‘মুক্তিযুদ্ধ স্বীকার করবে না-’ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা দরদী সেজে যাবে;
‘কাক হয়ে ময়ুর সাজার সে প্রতারণাপূর্ণ দৃশ্য জেনেশুনে এ জাতি বরদাশত করতে পারে না।
সরকার এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
করলে তাতে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের উপহাস করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২১.০৫.০৯ তারিখে ‘দৈনিক আল ইহসান’-এ একটি মন্তব্য কলামের হেডিং হয়েছিলো, “ ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।
টিপাইমুখী বাঁধের নামে গত ২০ মে’র জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ভাড়া করা গুন্ডা-বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।
‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর আরশ কাঁপাচ্ছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।
দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্য-সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।
কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের উপর তথ্য-সন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং
আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরজ-ওয়াজিব।”
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, রাজাকার জামাতীরা এখনো এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়।
বাংলাদেশ বিরোধী আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
তাদের হাতে রয়েছে প্রচুর অর্থ। আর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু তারা ফেরেশতা নয় এবং সে দাবীও তারা করে না।
কাজেই প্রচুর অর্থ ঢেলে জামাতীরা ২/১টা সেক্টর কমান্ডার বা ২/১ হাজার মুক্তিযোদ্ধা কিনতে পারবে না- তা বলা যায় না।
বরং রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী জামাতীরা এখন কেবল মুক্তিযোদ্ধাই নয়
এমনকি এখন তাদের শো-ডাউনের সমাবেশে লোক জড়ো করতে ও লোক ভাড়া করতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২১.০৫.০৯ তারিখের দৈনিক সমকালে ক্যাপশন দেয়া হয়:
“জামাতের জনসভায় এভাবেই টাকা বিলি করা হয়।”
খবরের হেডিং হয়: “জামাতের জনসভার পাশেই।”
খবরে বলা হয়:”
“গত ২০.০৫.০৯ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা। পল্টন ময়দানে জামাতের সমাবেশ মঞ্চে নেতাদের বক্তৃতা চলছে। মাঠের পশ্চিম দিকে স্টেডিয়ামের সামনে ২০/২৫ জন গোল হয়ে বসে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১২-১৫ বছর। তাদের মধ্যে একজন একটু বয়স্ক। জটলার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ইশারা করতেই কাছে এলো শিশু বয়সী দু’জন। একজন নিজেকে সোহেল ও অন্যজন মিজান বলে পরিচয় দিলো। সোহেলের বক্তব্য, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় রডমিস্ত্রির কাজ করে সে। মিজান পেশায় রিকশা চালক। জামাত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কীনা জানতে চাইলে বললো, না- এলাকার বড় ভাই বলেছে এজন্য আসা।
রডমিস্ত্রির কাজ করে দিনে ১৭০ টাকা করে পাই। এখানে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত থাকলে ১শ’ টাকা পাওয়ার কথা।
কে নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে সোহেল জানায়, তাকে চিনি, নাম জানি না। বয়স্ক সেই লোকটির নাম জয়নাল। জামাত বা শিবিরের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে বললেন, না এরকম কিছু না। এলাকার বড় ভাইয়ের কথাতেই সমাবেশে আসা। কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে, হেসে দিয়ে জবাব দিলেন সবাইকে যা দিবে তাই পাব।
গত ২০.০৫.০৯ বুধবার বিকেলে জামাতের পল্টন সমাবেশের পাশে ছিলো একটি খ- চিত্র। শ্রমজীবী কিংবা হতদরিদ্র এ রকম অনেক শিশু বা কিশোরের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই টাকা বণ্টনের চিত্রও চোখে পড়লো। এর আগে মুক্তাঙ্গনে কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক শাহীন মিয়ার সঙ্গে।
সে জানায়, তুরাগ থেকে এলাকার বড় ভাই আব্দুর রহিমের সঙ্গে সমাবেশে এসেছে। এ জন্য সে পাবে ২শ’ টাকা। এছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে প্রত্যেককে খাবারের প্যাকেট ও একটি করে কোমল পানীয়ের বোতল দেয়া হয়। জামাতের সমাবেশে আসা অনেকের হাতেই হোটেলের খাবারের প্যাকেট দেখা গেছে।
বলাবাহুল্য, শুধু সমাবেশের লোক জড়ো করতেই লোক ভাড়ার জন্য যদি জামাতীরা এভাবে প্রকাশ্যে টাকা ছড়াতে পারে তবে তাদের জন্য যেটাকে তারা ট্র্যাম্প কার্ড মনে করে থাকে সে মুক্তিযোদ্ধা ক্রয়েও তারা মুড়ির মত কত টাকা ছড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাতে হামিদুল্লাহ খান এর মত ২/১ জন সেক্টর কমান্ডারের অথবা কাট্টা রাজাকার হাফেজ্জীকে মুক্তিযোদ্ধা বলার মত বঙ্গবীর সিদ্দিকির মতিভ্রম হবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
-০-
তবে অস্বাভাবিক হচ্ছে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের এসব ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকা। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা।
কারণ, এক্ষেত্রে জামাতী রাজাকারদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াকে স্বীকার করা হয়। পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়।
‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী’ ‘রাজাকার’ জামাতীরা, মুক্তিযোদ্ধাদের শিক্ষা বৃত্তি, সাহায্যভাতা অথবা কোনরূপ পুরুস্কার প্রদানের ক্ষমতা রাখে না।
এবং সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের থেকে কোনো পুরুস্কার নিতে পারে না।
যেমন, বাংলাদেশী কোন নাগরিক সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশের কোনো খেতাব গ্রহণ করতে পারে না।
বলাবাহুল্য, সঙ্গতকারণেই বিষয়টি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।
জামাতীরা যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোন প্রলোভনের সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য সরকারের শক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দরকার।
কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের মতিভ্রম হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টির প্রতি যদি সরকার গুরুত্বারোপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়
তথা জামাতীদের এ ধরনের অনুষ্ঠান করার অনুমতি না দেয় তাহলে
জামাতীরা প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচ্যুতি ঘটাতে পারবে না। সমাজে তা প্রদর্শন করতে পারবে না। এক্ষেত্রে সরকারকে জামাতের এই দুষ্টু দিক বিশ্লেষণকারী ও ইসলামের ব্যাখ্যা বর্ণনাকারী মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসান-এর ভূমিকা ও অবদানকে যথাযথ মূল্যায়ণ করতে হবে। কারণ, আল বাইয়্যিনাত এবং দৈনিক আল ইহসানই এ গণসচেতনতা তৈরিতে সক্ষম যে, মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার দ্বারা প্রলুদ্ধ হতে পারে, রাজাকারের দলে ভিড়তে পারে
কিন্তু লক্ষ-কোটিবার স্বাধীনতা রক্ষায় জীবন দিব চিৎকারকারী রাজাকার জামাতীরা কখনও ‘মুক্তিযোদ্ধায়’ পরিণত হতে পারবে না।
কারণ, ১৯৭১-এ তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আর কখনও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। সম্ভব নয় জামাতীদের রাজাকার পরিচয় মুছে ফেলা। বেঈমানী, মুনাফিকী ও বিশ্বাস ঘাতকতার সে গন্ধ মুছে ফেলা। (নাউযুবিল্লাহ)
– মুহম্মদ এম আলম
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৬
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৬
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৪৭