আউওয়ালু শাফিয়িন, আউওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আউওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাহ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

لا تجعلوا دعاء الرسول بينكم كدعاء بعضكم بعضا.

অর্থ : “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাক, সেভাবে তোমাদের যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন কর না।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষ যেন উনার পেয়ারা হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেভাবে না ডাকে যেভাবে মানুষ একে অপরকে ডেকে থাকে। স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমগ্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে কোথাও উনার পবিত্র নাম মুবারক ধরে ডাকেননি। এটা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আফযালিয়াত বা শ্রেষ্ঠত্ব উনার বহিঃপ্রকাশ।

অথচ বর্তমানে দেখা যায়, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের যেসব লেখক আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবন চরিত মুবারক রচনা করেছে, সঙ্কলন করেছে তাদের অনেকেই আরবী ভাষা ও সাহিত্যে অনভিজ্ঞ। যার ফলে তারা বাংলা সাহিত্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রকৃত আফযালিয়াত মুবারক তুলে ধরার পরিবর্তে উনাকে মানবীয় বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করেছে। নাঊযুবিল্লাহ! যার ফলে দেখা গেছে বাংলা সাহিত্যে রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মনগড়াভাবে নিছক একজন ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’ নামকরণে চিত্রিত করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ আমরা গভীরভাবে ফিকির করলে বুঝতে পারব যে, এটা মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আফযালিয়াত তথা শান মুবারক উনার সম্পূর্ণ খিলাফ।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত রসূল ও হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وما محمد الا رسول

অর্থ : “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রসূল ব্যতীত অন্য কিছু নন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انا حبيب الله، انا سيد الـمرسلين، انا خاتم النبين

অর্থ : “আমি ‘হাবীবুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, অর্থাৎ রসূলগণ উনাদের সাইয়্যিদ, খাতামুন নাবিইয়ীন অর্থাৎ সর্বশেষ নবী।” (পবিত্র মিশকাত শরীফ)

অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لست كاحدكم

অর্থ : “আমি তোমাদের কারো মতো নই।”

বস্তুত আমাদের স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, ‘বিশ্বনেতা’ বলতে সাধারণত বিশ্বের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় নেতা বা সমকালীন কোন বড় নেতাকে বুঝানো হয়। অপরদিকে ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’ শব্দদ্বয় মুসলমান, অমুসলমান সবার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মূলত এক বা একাধিক বিষয়ে কোন ব্যক্তি বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করলে তাকেই ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’ বলে অভিহিত করা হয়। সে মুসলমানও হতে পারে আবার ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, মুশরিক, নাস্তিকও হতে পারে। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন- রহমতুল্লিল আলামীন। তিনি মানুষের মাঝে আগমন করলেও তিনি আমাদের  মতো মানুষ নন। উনার প্রতি ওহী মুবারক নাযিল হয়। তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল খলায়িক্বে ওয়াল বাশার, তিনি হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, তিনি হাবীবুল্লাহ, তিনি নূরে মুজাসসাম। অথচ যারা বিশ্বনেতা, মহামানব, মহাপুরুষ খেতাবে ভূষিত তারা কেউই আলোচ্য কোন একটি গুণের লেশমাত্রেরও অধিকারী নয়।

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কাফির-মুশরিক, নাস্তিকদের মতো মানহানিকর লক্ববে ডাকা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ পরিচয় জানার এবং তা জেনে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম, সম্মান ও মুহব্বত করার তৌফিক দিন। আমীন

-মুসাম্মত জান্নাত আক্তার, চাঁদপুর

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম