আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মূতি সংস্কৃতি অপসারণে এবং বতমানের কুশপুত্তলিকা দাহ সংস্কৃতি

সংখ্যা: ১০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

بعثت لكسر المزامير والاصنام.

আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্ পাক আমাকে বাদ্যযন্ত্র এবং মূর্তি ধ্বংস করার জন্যে প্রেরণ করেছেন।”   ইসলামের মূল শিক্ষাই হচ্ছে তাওহীদ বা একত্ববাদ। যা শিরকের পরিপন্থী। আল্লাহ্ পাক আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেছেন মূর্তি ধ্বংস করতঃ তাওহীদ বা একত্ববাদ প্রচারের মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক-এর বিধানকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। এ ক্ষেত্রে সবচে বড় বাঁধা হচ্ছে মূর্তি সংস্কৃতি বা পৌত্তলিকতা যা পরিপূর্ণ গায়রুল্লাহ্ তথা আল্লাহ্ বিমূখতা। এ জন্যেই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূর্তি ধ্বংসের ব্যাপারে খুবই কঠোর ছিলেন।           হযরত আমর ইবনে আব্বাস আস সুলামী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে কেন প্রেরণ করা হয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে ও মূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে এবং আল্লাহ্ পাক-এর সাথে কাউকে শরীক না করে আল্লাহ্ পাক-এর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ)           বিভিন্ন দেব-দেবী, পাথর, গাছপালা, চন্দ্র-সূর্য, তারকা, পাহাড়, নদী আর মূর্তি সংস্কৃতিতে আচ্ছন্ন ছিলো গোটা আরব জাহান। মূর্তিতে সয়লাব হয়ে গিয়েছিলো গোটা আরব। অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’বা গৃহে প্রবেশ করে একের পর এক মূর্তি ধ্বংস করছিলেন আর পবিত্র কালাম পাক-এর এ আয়াত শরীফ পাঠ করছিলেন,  অর্থাৎ “সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরিভুত হয়েছে আর মিথ্যা বিদূরিত হওয়ারই যোগ্য।” (সূরা বণী ইস্রাঈল/৮১) আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’বা শরীফের তাওয়াফ সমাপ্ত করে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কা’বা গৃহের ভিতর প্রবেশ করে সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস্ সালাম-এর ছবি (প্রতিকৃতি) অঙ্কন করা দেখে বললেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! এ কাজ যারা করেছে তাদেরকে ধ্বংস করুন।” সেখানে কাঠের তৈরী একটি কবুতরও সংরক্ষিত ছিলো। তিনি তৎক্ষনাৎ দু’জন নবী আলাইহিমুস্ সালাম-এর প্রতিকৃতি ও কবুতরের কাঠের মূর্তিটি অপসারণ করলেন।” (আর রাহীকুল মাখতুম/৪০৪ পৃষ্ঠা)   আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম সর্বপ্রথম মূর্তি সংস্থাপনকারী সম্পর্কে আকসাম ইবনুল জাউন আল খুযায়ীকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে আকসাম, আমি আমর ইবনে লুহাই ইবনে কায়াআ তার নাড়ি-ভুঁড়িকে আগুনে টেনে নিয়ে বেড়াতে দেখলাম ….. কেননা, সেই সর্বপ্রথম ইসমাঈল আলাইহিস্ সালাম-এর দ্বীনকে পরিবর্তন করেছিলো এবং সর্বপ্রথম মূর্তি স্থাপন করেছিলো।” (ইবনে হিশাম, দারুত তাইয়্যিবা ১/৬৪) মদীনা শরীফে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার পর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূর্তি ধ্বংসের জন্যে বিভিন্ন এলাকায় সৈন্য পাঠান। আউস ও খাজরাজ গোত্রের পূজনীয় মূর্তি ছিলো মানাত। হযরত আবূ সূফীয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মতান্তরে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে পাঠান উক্ত মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্যে। তিনি উক্ত মূর্তিটিকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন।” (ইবনে হিশাম- ১/৭১-৭২)    দাউস, খাছআম এবং বাজালাহ্ গোত্রের সম্মানিত মূর্তি ছিলো যুলখালাছাহ্। তারা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে এ মূর্তির সম্মূখে এসে লটারীর মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ আল বাজালীকে তা ধ্বংসের জন্যে প্রেরণ করেন।” (ইবনে হিশাম- ১/৭২)         খোদ কা’বা গৃহেই ছিলো মুশরিকদের অন্যতম মূর্তি হোবল। এ ছাড়াও আরো অসংখ্য মূর্তি স্থান পেয়েছিলো কা’বা শরীফে। যেগুলো মক্কা বিজয়ের সময় ধ্বংস করা হয়।

          ইসলামের সাথে মূর্তি পূজা বা মূর্তি সংস্কৃতির কোন সম্পর্ক নেই বরং এটা ইসলামী আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে, বর্তমানে আধুনিকতার নামে এক শ্রেণীর নাম স্বর্বস্ব মুসলমান এবং স্বার্থান্বেষী তথাকথিত ইসলামী নামধারী দলের নেতা-কর্মী তথা উলামায়ে “ছূ” গোষ্ঠী আধুনিকতা ও কথিত ইসলামী আন্দোলনের নামে মূর্তি সংস্কৃতির লালন করে চলেছে। এদের ধারণা সুকেসে, ড্রয়িং রুমে, গাড়ীতে, বাড়িতে, পুতুল বা মূর্তি থাকাটা আধুনিকতা ও আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ। আর কতিথ ইসলামী আন্দোলনকারী উলামায়ে “ছূ”দের ধারণা কারো বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে কারো কুশপুত্তলিকা দাহ্ করা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কুশপুত্তলিকা দাহ্ করা ব্যতীত বুঝি জোরদার কোন আন্দোলনই হয়না! যে কারণে দেখা গেছে ৯৮ ঈসায়ী সালের ২৩ আগষ্ট কথিত ইসলামী ঐক্যজোটের কতিপয় উলামায়ে “ছূ” একটি দেশের প্রেসিডেন্টের মূর্তি তৈরী করে তা আগুনে পুড়িয়েছে।

অথচ এদের উচিৎ ছিলো মূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা; কিন্তু এদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ এর বিপরীত। আর এদের ব্যাপারে অবগত হয়েই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দু’শ্রেণীর লোক আমার পিঠ বাকা করে দিয়েছে। তার মধ্যে এক শ্রেণী হচ্ছে দুনিয়াদার আলিম তথা উলমায়ে “ছূ।” আর অপর শ্রেণী হচ্ছে জালিম শাসক।” যুগে যুগে এসব উলামায়ে ছূরাই যে ধর্মের দোহাই দিয়ে মূর্তি সংস্কৃতি চর্চার নামে ইসলামের ক্ষতি সাধন করতে পারে এ জন্যেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক আমাকে প্রেরণ করেছেন সমস্ত জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ এবং হিদায়েত স্বরূপ। আর আদেশ করেছেন বাদ্যযন্ত্র, মূর্তি, ক্রশ ও জাহিলী কাজসমূহ ধ্বংস করার জন্য।” (আবূ দাউদ, আহমদ)

আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের নামে কুশপুত্তলিকা দাহ্ এবং আধুনিকতার নামে পুতুল ও মূর্তি পূজার মত শিরকী কাজ হতে হিফাযত করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ মাছূমুর রহমান, গোড়ান, ঢাকা।

মানব ক্লোনিং- পরিণতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সিআইএ –এর চর রূপে-৬

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রিস্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পেছনে কি ইহুদী-খ্রিস্টানরাই দায়ী নয়?-৭

কথিত খ্রিস্টান রানীমাতার শেষকৃত্র অনুষ্ঠান তথাকথিত ইসলামী মন্ত্রীদের পুস্পস্তবক প্রদান এবং ইসলামী নছীহত

প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার-৩