আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত তথা উনার হাক্বীক্বত উপলব্ধি করতে পারলেই আল্লাহ পাক-এর রবুবিয়ত-এর হাক্বীক্বত তথা মুহব্বত, মা‘রিফত হাছীল করা সম্ভব হবে। আর এসব হাক্বীক্বত উপলব্ধির পূর্বশর্ত- উলিল আমর তথা নায়িবে নবী, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়াগণের ছোহবত, মা’রিফত ও মুহব্বত অর্জন করা।

পবিত্র রমযান মাস ক্বুরআন শরীফ নাযিলের মাস। পবিত্র ক্বুরআন শরীফ-এর হাক্বীক্বত উপলব্ধি করতে হলে প্রথমে হাদীস শরীফ-এর হাক্বীক্বত উপলব্ধি করতে হবে।

ইমামে আ‘যম, মুযাদ্দিদে আ‘যম, হাবীবে আ‘যম, কুতুবুল আ‘লম, সুলতানুন নাছীর, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর বিশেষ মজলিসে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন।

মুযাদ্দিদে আ‘যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মূলত: আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে রূহানীয়ত,খূলূছিয়ত অর্জন ব্যতীত কোন ইবাদতেরই হাক্বীক্বতে পৌঁছা সম্ভব নয়। আর তা হক্কানী-রব্বানী ওলী আল্লাহ্র নিকট বাইয়াত হয়ে, ছোহবত এখতিয়ার ও যিকির-আযকার, মোরাকাবা-মোশাহাদার মাধ্যমে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছীলের দ্বারা অর্জন করতে হয়।

মূলত: রূহানীয়ত বা ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ না থাকার কারণেই রমযান শরীফ-এর মত পবিত্র মাসেও উলামায়ে ছূ‘দের আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া ইত্যাদি হাছীল হয় না। যে কারণে দেখা যায়, উলামায়ে ছূ‘রা এ মাসে আরো বেশী পাপে লিপ্ত হয়। টিভি চ্যানেলে তাদের কথিত ইসলামী প্রোগ্রাম বাড়িয়ে দেয়। রমযানের পবিত্রতা রক্ষার নামে হারাম গণতান্ত্রিক পন্থায় মিছিল-মিটিং করে, ছবি তোলে, আরো বেশী বেপর্দা হয়।

মুযাদ্দিদে আ‘যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, রমযান শরীফ-এর পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার্থে সকল দেশের সরকার প্রধানের উচিত, সকল স্তরের চাকুরী জীবিদের ডিউটি কমিয়ে দেয়া এবং সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা; যাতে প্রত্যেকেই যথাযথভাবে রমযান শরীফের  রোযা পালন ও তারাবীহর নামায আদায় করতে পারে।

মুযাদ্দিদে আয‘ম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, রমযানের রাতে বিশ রাকায়াত তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। সময়-স্থান নির্ধারণের শর্তে তারাবীহর নামায পড়িয়ে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ জায়িজ। এছাড়া রোযা রেখে ইনজেকশন, ইনহেলার, ইনসুলিন ইত্যাদি গ্রহণে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়।

মুযাদ্দিদে আ‘যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন,পবিত্র রমযান শরীফ এলেই ইহুদী মদদপুষ্ট এক শ্রেণীর ধূরন্ধর ব্যবসায়ী যাকাত নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। যাকাতের কাপড়ের নামে এক ধরনের ন্যাকড়া জাতীয় পাতলা কাপড় বিক্রি করে থাকে; যা দ্বারা কস্মিন কালেও যাকাত আদায় হবে না।

মুযাদ্দিদে আ‘যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মোসাদ ও সিআইএ পরিবেশিত ‘সোয়াইন ফ্লু’ আতঙ্ক ছড়িয়ে ইহুদী মদদপুষ্ট সৌদী ওহাবী সরকার এ বছর হজ্ব বন্ধ করার নয়া কৌশল অবলম্বন করে ১২ বছরের নীচে ও ৬৫ বছরের উর্ধ্ব বয়সীদের হজ্ব নিষিদ্ধ করেছে; যা মূলত: ইহুদী-খ্রীস্ট চক্রের হজ্ব বন্ধ করার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র।

উল্লেখ্য, এ বছরও শা‘বান মাসকে এগিয়ে এনে প্রায় ২ কোটি হাজী ছাহেবের হজ্ব নষ্ট করার চক্রান্ত শূরু করেছে সৌদী ওহাবী সরকার। বিশ্বের দু‘শ পঞ্চাশ কোটির অধিক মুসলমানের উচিত এ বিষয়ে প্রতিবাদ করা এবং সৌদী ওহাবী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

মুযাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের জনৈক মালউন যুবরাজ দত্ত, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কল্পিত ছবি সম্বলিত বই ছাপিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। মুসলিম বিশ্বের উচিত এ বিষয়ে ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বই বাজেয়াপ্তসহ মালউন দত্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়ন করা।

মুযাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশ্বের মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, চীন মুসলিম নির্যাতনের ফলে কঠিন খোদায়ী গজবে নিপতিত হয়েছে। বিশ্বের যে কোন স্থানে যারাই মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করবে তারা প্রত্যেকেই কঠিন খোদায়ী গজবে পতিত হবে; এ থেকে  খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত কাউকেই রেহাই দেয়া হবেনা। মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি ইসরাঈলের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, অতি শিঘ্রই ইসরাঈল মুসলিম নির্যাতনের কঠিন পরিণতি ভোগ করবে। খুব শিগ্গিরই তারা ফকীর হবে এবং ডাস্টবিন থেকে খাদ্য খেতে শুরু করবে।

মুযাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, দেশে সরকারের স্থায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধসহ বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির উৎপাদন বাড়ানোসহ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ, গত ২রা শা‘বান ১৪৩০ হি:,২৫ জুলাই,০৯ ঈসায়ী, রোজ শনিবার, চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত -এর প্রথম সম্মিলনী মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়।

১৪ই শা’বান,বৃহ:বার দিবাগত রাত তথা  ১৫ই শা’বান, শুক্রবার রাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে যামানার সুমহান মুযাদ্দিদে আ’যম-এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত পালিত হয়। এতে দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত ভক্ত-বৃন্দ, আশিকীন, জাকিরীন, মুহিব্বীন, মুরিদান উপস্থিত হয়ে মুযাদ্দিদে আ’যম-এর মক্ববুল দোয়া ও মুনাজাতে শরীক হয়ে নিজেদের সৌভাগ্য অর্জনে ধন্য করেন।

এতে মুযাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দু’দফায় দুয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। ভক্ত-আশিকানদের মুহুর্মুহু ‘আমিন‘ ‘আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রমযান শরীফে রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ পুরুষ ও মহিলাদের খাছ পর্দার সাথে পবিত্র ক্বুরআন শরীফ বিশুদ্ধভাবে শিক্ষাদানসহ  দ্বীনি তা’লিম-তালক্বীন-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সকলকে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ