আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ২০১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি হলেন সৃষ্টির মূল। উনার জন্যই আল্লাহ পাক কুল-কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। উনি সৃষ্টি না হলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না। উনি সবার নবী এবং রসূল, সর্বযুগে, সর্বকালে, সর্বত্র সবার জন্য উনি সর্বোত্তম আদর্শ। উনার মুহব্বত এবং অনুসরণ-অনুকরণ ব্যতীত বান্দা, উম্মত কস্মিনকালেও হাক্বীক্বী মুসলমান হতে পারবে না। কাজেই, প্রত্যেক বান্দা ও উম্মতের উচিত প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিক্ষণ উনার ধ্যানে-খিয়ালে, মুহব্বতে ও আলোচনায়, ছানা-ছিফতে মশগুল থাকা। উনার ইশকে গরক থাকা। উনাকে নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা ফিকির করা, গবেষণা করা, প্রত্যেক মুসলমান দাবিদারের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, সুলত্বানুন নাছীর, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বিশেষ আলোচনা মজলিসে এসব কথা বলেন।

হযরত মুজাদ্দিদ আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অত্যন্ত আফসোস ও দুঃখজনক কথা হলো, সম্প্রতি বাংলাদেশের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী কথিত বিশ্বকবি, মালঊন, ম্লেচ্ছ, যবন, কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী, কাট্টা হিন্দু রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মদিনে বলেছে, “তিনি (রবি ঠাকুর) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রেরণার উৎস। নাঊযুবিল্লাহ!
আল্লাহ পাক যেখানে ইরশাদ করলেন, “নিশ্চয়ই মুশরিকরা (হিন্দুরা) হচ্ছে নাপাক।” একটা নাপাক লোক, শিরককারী, কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী, বদ চরিত্র লোক কী করে ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনের প্রেরণার উৎস হতে পারে? অথচ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমাদের জন্য তোমাদের রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার মধ্যেই সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।” তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কথা কী কুফরী হলো না?
সে আরো বলেছে, ‘রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় …… এ কবির জন্মবার্ষিকী পালনে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।’

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উপরোক্ত কথার প্রেক্ষিতে বলেন, দুই শতাংশ হিন্দুকে খুশি করতে ৯৭ শতাংশ মুসলমানকে অপমানিত করে কী করে এ সরকার এ ধরণের ধৃষ্টতাপূর্ণ বিবৃতি দিতে পারলো? ৯৭ শতাংশ মুসলমানের টাকায় কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী, চির অভিশপ্ত, মালঊন, ম্লেচ্ছ, যবন, কাট্টা কাফিরের জন্মদিনে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের অধিকার সরকারকে কে দিল? পাশাপাশি এ সরকার আরো বলেছে, ‘… উচ্চতর শিক্ষা ও রবীন্দ্রনাথের উপর গবেষণার জন্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ বড়ই স্পর্ধা এ সরকারের; ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে, মুসলমানের অর্থে কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী কাফিরের উপর উচ্চতর শিক্ষা আর গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আর একাডেমী প্রতিষ্ঠার অধিকার এ সরকারের আছে কী? এখনো সময় রয়েছে খালিছ তওবা করে এসব উদ্ভট চিন্তা বাদ দিয়ে মুসলমানদের নবী ও রসূল উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ তথা সর্বযুগের, সর্বকালের, সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মাসব্যাপী মীলাদ শরীফ ও আলোচনা মাহফিলের আয়োজন করা এবং এজন্য সর্বাধিক সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেয়া। এ সরকারসহ তাবৎ বিশ্বের সব সরকারের জন্যই এ মহান কাজ করা ফরয-ওয়াজিব।

সেই সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ওপর সর্বাধিক উচ্চতর শিক্ষা ও চূড়ান্ত গবেষণার জন্য দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সর্ববৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা এ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব। সেই সাথে সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এ মহান দিন উপলক্ষে ইহুদীদের কথিত পবিত্র দিন শনিবারের সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি বাতিল করে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ-এর আগে ও পরে একমাস সকল সরকারী-বেসরকারি অফিস-আদালতসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা সরকারের একান্ত ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। পাশাপাশি এ মহান দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী আয়োজনে মুসলমানগণ যেন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ, সর্ববৃহৎ ঈদ পালন করতে পারে এজন্য সরকারের উচিত বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দেয়া। সরকারের উচিত এ মহান দিন ও মাসের খাছ খায়ের, বরকত, রহমত, সাকীনা নিজেও লাভ করা এবং দেশবাসীকে তা লাভে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।

আনজুমান আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ