যেমন, প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস, উমর ইবনে আব্দুর রসূল রহমতুল্লাহি আলাইহি, হানাফী মুসাল্লার ইমাম শায়খ মুস্তফা মিরদাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা শামসুদ্দীন শাতা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা শামসুদ্দীন শাতা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আহমদ পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মায়খ হামযা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শায়খ আহমদ বিন ইদরীস রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুহম্মদ আলী হিন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শাফেয়ী মুসাল্লার ইমাম হযরত শায়খ সালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ। এখানেই হযরত শায়খ হাসান আফেন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সহযোগীতায় তাছাউফ ও সুলূকের প্রসিদ্ধ “সিরাতে মুস্তাকিম” কিতাবটি হযরত মাওলানা আব্দুল হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি আরবীতে অনুবাদ করেন।
এরপর ইয়াওমুর রুইয়া অর্থাৎ ১২৩৭ হিজরীর ৮ই যিলহজ্জ তিনি হজ্জ করার জন্য রওয়ানা হন। প্রত্যেকটি মাশায়েরে বহুক্ষণ যাবৎ তওবা-ইস্তিগফার, দোয়া-দরূদ পাঠ করেন। সকল সাথীদের চোখ থেকে পানি ঝরতে লাগলো। মিনায় মসজিদে খায়েফের নিকট শিবির স্থাপন করা হয়। বাইয়াতে আকাবায় বরকত লাভের জন্য আবার সকলে বাইয়াত গ্রহণ করেন। আরাফাতে অবস্থান কালে জাবালে রহমতের পাদদেশে পুনরায় দীঘক্ষণ যাবৎ দোয়া করা হয়। সূর্যাস্তের পর মুযদালিফায় গমন করেন। রাতে মুযদালিফায় থেকে ফযরের নামাযের পর মিনার দিকে রওয়ানা হন। তিনদিন তিনি মিনায় অবস্থান করেন।
কংকর নিক্ষেপ করার পর কুরবানী করে মাথার চুল মুবারক মুণ্ডল করেন। হযরত আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজে স্বয়ং এক শতাধিক বকরী খরীদ করে কুরবানী করেন।
পবিত্র রমাদ্বান মাস থেকে ৫ই সফর পযন্ত প্রায় ৫ মাস তিনি পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ-এ অতিবাহিত করেন। পবিত্র মক্কা শরীফ হতে পবিত্র মদীনা শরীফ (তৎকালীন জামানানুযায়ী) বেশ দূর। পথে বিভিন্ন স্থানে চোর-ডাকাত ও বেদুঈনের উপদ্রবের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিলো। সেজন্য কাফেলার লোকদের মধ্যে এই আলোচনা চলছিলো যে, ছফরে প্রত্যেকের সাথে হাতিয়ার থাকবে কি থাকবে না। আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমরা এতো লম্বা দীর্ঘ ছফরের কষ্ট ক্লেশ ভোগ করছি এই পবিত্র হারামাইন শরীফ (দ্বয়) জিয়ারতের জন্য।
এখানকার খাছ আম সকলেরই তাযীম করা আমাদের জন্য ওয়াজিব। তিনি বলেন, “এখানকার কারো সাথে মোকাবিলা করা আমাদের জন্য ঠিক হবে না” এই বলে তিনি উনার কোমর থেকে চাকু ও ছুরি পর্যন্ত যমীনে ফেলে রাখলেন এবং বললেন, “যদি কউ আমাদের উপর পথে হামলা চালায় তাহলে আমরা আমাদের সমস্ত মাল-সামান তার সামনে সোপর্দ করবো। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন দেনেওয়ালা। তিনি আমাদের পূনরায় তা দান করবেন।” ঐ সাথীরা এই বাক্য শ্রবণ করার পর সকলেই হাতিয়ার ছুড়ে ফেলে দিলেন। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ছফরে তিনি এই মনজিলগুলো অতিক্রম করেন- ওয়াদিয়ে ফাতিমা (এখানে উম্মুল মু’মিনীন হযরত মায়মুনা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মাযার শরীফ অবস্থিত।) ২. খালীস, ৩. পানিবিহীনি একটি স্থান, ৪. শোয়ার নদীর তীর, ৫. ওয়াদিয়ে ফয়েয, ৬. যুল হুলায়ফা প্রভৃতি মনজিল সমূহ।
-মুফতী মুহম্মদ সামছুল আলম, ঢাকা।
প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার