আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৬১ আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

সংখ্যা: ২৬৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুন্নতবিরোধী ও বিদয়াত

প্রচলনকারীদের বক্তব্য খণ্ডন (৫)

মিথ্যাবাদী দাজ্জাল, সুন্নত বিরোধী ও বিদয়াতের প্রচলনকারী ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ও তার সমমনাদের বক্তব্য হচ্ছে- সুলতানুল হিন্দ, কুতবুল মাশায়িখ, কুতুবুল বাররি ওয়াল বাহার, মুজাদ্দিদে যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দস্তরখানা সম্পর্কে ‘আনীসুল আরওয়াহ’ কিতাবের ৩০-৩১ পৃষ্ঠায় যা উল্লেখ করেছেন তা আজগুবি, উদ্ভট ও বানোয়াট কাহিনী।” নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত, সমাদৃত, সর্বজনমান্য ‘আনীসুল আরওয়াহ’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাঞ্চার মধ্যে খাবার রেখে খুব কম সময়েই আহার করতেন।  (তিনি সবসময় দস্তরখানায় আহার মুবারক করতেন)। আর যদি মেহমান আসতেন এবং মেহমানদারী করা হতো তাহলে খয়েরী রংয়ের দস্তরখানা ব্যবহার করা হতো। সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দস্তরখানা মুবারকও খয়েরী রংয়ের ছিল। আর সেটা আসমান হতে অবতীর্ণ হয়েছিলা। যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় আহার করবে সে ব্যক্তি প্রতি লোকমায় একশত ছাওয়াব বা প্রতিদান পাবে। আর সম্মানিত জান্নাত উনার একশত দরজা তার জন্য নির্ধারিত হবে। সুবহানাল্লাহ! সে ব্যক্তি জান্নাতের মধ্যে সবসময়ই সাইয়্যিদুনা হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালামসহ অন্যান্য সম্মানিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের হাজার হাজার সালাম ও দোয়া লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় কোন গরীব দুঃখীকে আহার করাবে তার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিদান তার আমলনামায় লিখা হবে। খাওয়া শেষ হওয়া মাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত গোনাহ-খতা ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন: খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় খাবার খাওয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনারাও সুন্নত মুবারক। আর এই সুন্নত মুবারক অন্যান্য হযরত আম্বিয়ায়ে আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও ছিল। সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দস্তরখানা মুবারকে খানা না রেখে কখনো খেতেন না।

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কসম করে বলেন, সেই মহান সত্তা উনার কসম! যার কুদরতী হাত মুবারকে আমার জীবন মুবারক। যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় রুটি রেখে খাবে সে ব্যক্তি ওমরা (হজ্জের) ছাওয়াব পাবে। এক হাজার ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে পেট ভরে আহার করানোর ফযীলত লাভ করবে। এমনকি সে ব্যক্তি এতো অধিক ছাওয়াবের অধিকারী হবেন। যেনো আমার উম্মতের মধ্যে হাজার বান্দীকে মুক্ত করলেন। যে ব্যক্তি সবসময় খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় আহার করবে সে ব্যক্তির জন্য ক্বিয়ামতের দিন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি জান্নাতী পোষাক ও বোরাক নিয়ে আসবেন। আর সেই বোরাকে আরোহণ করিয়ে জান্নাতী পোষাক পরিধান করিয়ে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!

যে ব্যক্তি মেহমানকে খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় খানা খাওয়াবে সে ব্যক্তি প্রতিটি দানার বিনিময়ে হাজার নেকি লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার শায়েখ কুতুবুল আলম সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উসমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র যবান মুবারকে শুনেছি, তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার সম্মানিত শায়েখ হযরত খাজা হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি খয়েরী রংয়ের দস্তরখানায় খানা খাবে এবং অন্যকে খানা খাওয়াবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে রহমতের নজরে দেখেন। জান্নাতের এক হাজার বালাখানা (প্রকোষ্ঠ) তাকে দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (আনীসুল আরওয়াহ-৩০-৩১)

সম্মানিত পাঠক! আপনারা ইতোমধ্যেই অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, যারা সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি কুতুবুল আলম, শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা খাজা উসমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যীনাতুল আরিফীন, শায়খুল ইসলাম, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মত সর্বজন মান্য আলিমে দ্বীন, বিখ্যাত ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক শানে চরম ধৃষ্টতা ও বেয়াদবিমূলক বক্তব্য দেয় তারা কত বড় দাজ্জালে কাযযাব তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে মহান ব্যক্তিত্বের বর্ণিত হাদীছ শরীফ উনাকে ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। আর সে ঢালাওভাবে উনার বর্ণিত রেওয়াতকে বানোয়াট, উদ্ভট বলে কুফরীর অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে।

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯১

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯২

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯৩