আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার  মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৫৪

সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

          চামড়ার দস্তরখানে খাবার খাওয়া সুন্নত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দস্তরখান মুবারক ছিল খয়েরী রং বিশিষ্ট:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চামড়ার দস্তরখানে খাবার খেতেন। আর সেই চামড়ার দস্তরখান মুবারক ছিল খয়েরী রং বিশিষ্ট। সাধারণত চামড়ার দস্তরখান ছাড়া তিনি আহার গ্রহণ করতেন না। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে। একদিন হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন-

هل تدرى ماكان النطاقان انما كان  نطاقى شققته نصفين فاوكيت قربة رسول الله صلى الله عليه وسلم باحدهما وجعلت فى سفرت اخر.

অর্থ: “হে বৎস! আপনি কি জানেন নিতাকান (দুটি কোমরবন্ধ) কি? আসলে তা ছিল আমারই কোমরবন্ধ মুবারক। যা দুভাগ করে আমি একভাগ দিয়ে (সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার সময়) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাবারের থলির মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আর অপর ভাগকে দস্তরখান মুবারক বানিয়ে দিয়েছিলাম। (বুখারী শরীফ)

উনারা চামড়ার দস্তরখানের কত গুরুত্ব দিয়েছেন। তা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায়।

তাছাড়া বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে-

ماكانوا يأكلون؟ قال على السفرة

অর্থ: “উনারা কিসের উপর আহার করতেন? তিনি বললেন, চামড়ার দস্তরখানের উপর।” (বুখারী শরীফ)

বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আল ‘আশিরাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবতে আযীমা শরীফ সংঘটিত হলো। উনার ওলিমা মুবারকের জন্য আমি মুসলমানগণকে দাওয়াত করলাম।

امر بالانطاع فبسطت فالقى عليها التمر و الاقط والسمن ثم صنع حيسا فى نطع

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে চামড়ার দস্তরখান বিছানো হলো। তারপর তার উপর খেজুর, পনির ও ঘি ঢালা হলো। আর চামড়ার দস্তরখানে হায়স প্রস্তুত করা হলো।” (বুখারী শরীফ)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-

عن الحسن بن مهران الكرمانى رضى الله تعالى عنه سمعت فرقدا صاحب النبى صلى الله عليه وسلم يقول رايت النبى صلى الله عليه وسلم واكلت على مائدته

অর্থ: “হযরত হাসান ইবনে মিহরান আল কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ফারকাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছি। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারক করেছি এবং উনার চামড়ার দস্তরখান মুবারকে একত্রে আহার করেছি।” (আখলাকুন নবী-৩০১)

অথচ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আব্দুল মালেকসহ কতিপয় মিথ্যাবাদী দাজ্জাল পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী তারা সম্মিলিতভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই সুন্নত মুবারককে চিরতরে বিলীন করে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তারা অত্যন্ত কুটকৌশলে আওয়ামুন নাসকে (সাধারণ মানুষ) ধোঁকা দিয়ে সুন্নতবিমুখ করছে। আমরা তাদের কুটকৌশল ও দুরভিসন্ধিগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো। সাথে সাথে ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য দলিল-আদিল্লাহর মাধ্যমে তা খ-ন করতঃ সেই মৃতপ্রায় সুন্নতগুলোকে যিন্দা তথা পুনঃপ্রচলন করার কোশেশ করবো ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল বিষয়ে মদদ দানকারী।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০