আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১২৫

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

সন্তান জন্মগ্রণের পর মাতা-পিতার

দায়িত্ব কর্তব্য

মহান আল্লাহ পাক সন্তান-সন্ততিকে উত্তম স্বভাব সহকারেই দুনিয়াতে পাঠান। প্রত্যেক সন্তানই সম্মানিত দ্বীন ও ঈমানের উপর জন্ম গ্রহণ করে থাকে। কাজেই, মাতা-পিতার সর্বপ্রথম ও প্রধান দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে সন্তানের এই সৎস্বভাব বা গুণাবলীকে অক্ষুণ্ন রাখা। সম্মানিত দ্বীন ও পবিত্র ঈমান উনাকে বজায় রাখার সার্বিক ব্যবস্থা করা। সন্তান দ্বীনদার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা হয়ে বড় হওয়ার সকল ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা। কিন্তু যদি কোন মাতা-পিতা এরূপ পরিবেশ সৃষ্টি না করে, সন্তানকে সেভাবে লালন পালনের ব্যবস্থা না করে বরং খেয়াল খুশি মত লালন-পালন করে, কিংবা বল্গাহীনভাবে ছেড়ে দেয় তাহলে পিতা-মাতা সর্বপ্রথম ও প্রধান দায়িত্ব পালনে গাফলতির কারণে কঠিন গুনাহ ও প্রায়শ্চিত ভোগ করতে হবে। জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে মাতা-পিতাকে চরম মূল্য দিতে হবে। সন্তান অবাধ্য হলে, পিতা-মাতার হক (অধিকার) আদায় না করলে তার জন্য পিতা-মাতাই সর্বাংশে দায়ী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত কালে এক ব্যক্তি উনার খিদমতে আরয করলেন। আমীরুল মু’মিনীন! আমার একজন পুত্র সন্তান আছে। সে আমাদের হক্ব আদায় করে না। সে আমাদের অবাধ্য। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সেই সন্তানকে ডেকে পাঠালেন। তাকে বললেন, হে যুবক! তুমি তোমার মাতা-পিতার হক্ব আদায় কর না কেন? কেন তুমি তাদের অবাধ্য?

যুবক বললো, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! বেয়াদবি ক্ষমা চাই। পিতা-মাতার হক্বগুলো কি তা আমার জানা নেই। ইয়া আমিরাল মু’মিনীন! আমি জানতে চাই সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার কর্তব্য, সন্তানের হক্বগুলো কি?

আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, পিতার প্রথম কর্তব্য হচ্ছে তিনি একজন পরহেযগার, মুত্তাক্বী, দ্বীনদার আল্লাহওয়ালী মেয়ে বা মহিলাকে বিবাহ করবেন।

দ্বিতীয়ত: সন্তান জন্মগ্রহন করলে সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখবেন।

তৃতীয়ত: সন্তানকে সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকাম শিক্ষা দিবেন তথা দ্বীনি ইলিম শিক্ষা দিবেন।

তখন যুবক বললো, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! আমার পিতা এই তিনটি কর্তব্যের একটিও সম্পন্ন করেননি। তিনি যাকে বিবাহ করেছেন, যিনি আমার সম্মানিতা মা তিনি দ্বীনদার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী মহিলাগণের অন্তর্ভুক্ত নন। আমার পিতা আমার নাম রেখেছে জুল। যার অর্থ হচ্ছে- গোবরের পোকা। তাছাড়া আমার পিতা-মাতা আমাকে সম্মানিত দ্বীনি কোন ইলিম শিক্ষা দেননি। সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকামগুলো কি তা আমি জানি না।

যুবকের জাওয়াব শুনে আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! তুমি তো তোমার সন্তানের হক্ব আদায় করোনি। তাহলে তোমার সন্তান তোমার হক্ব কিভাবে আদায় করবে। একথা বলে তিনি সেই মামলা খারিজ করে দিলেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে এমন পিতা-মাতার সংখ্যাই বেশি। যারা সন্তান-সন্ততিগণের ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন। তারা সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকাম বা নির্দেশের প্রতি খেয়াল করেনা। বরং নিজের খেয়াল-খুশিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পরে সুন্নতি পোশাক পরিধানের পরিবর্তে ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীন, ফাসিক, ফুজ্জারদের অনুসরণে তাদের পোশাক পরিধান করিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

আর এই পোশাক পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দবোধও করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ। তারা বলে ও মনে করে বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।  কিন্তু তা না হয়ে উল্টো প্রতিক্রিয়াই হয়ে থাকে। আবার বড় হলে সম্মানিত দ্বীনি শিক্ষা বাদ দিয়ে কাফির-মুশরিকদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করায়। তাদের কৃষ্টি-কালচারের সাথে পরিচিতি হয়ে উঠে ছোট বেলা থেকে। ফলে ইহুদী-নাছারাদের বদ তাছীরে শেষ পর্যন্ত তাদের সন্তানরা ইহুদী-নাছারাদের গোলামে পরিণত হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ!

অথচ সন্তান জন্মগ্রহন করার পর থেকে সম্মানিত দ্বীন উনার নির্দেশ মত প্রতিপালন করা উচিত। প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ ইত্তিবা বা অনুসরণ করা, করানো উচিত। কোনক্রমে সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকামের খিলাফ কোন আমল না করানো কর্তব্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারকে একটি স্বর্ণের চেইন দেখতে পেয়ে সেটি খুলে ফেললেন। কেহ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বয়স মুবারক তো অল্প। (উনি তো সম্মানিত শরীয়ত উনার আওতাধীন নন।)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, বয়স্কদের জন্য যা পরিধান করা বা ব্যবহার করা নিষেধ তা অপ্রাপ্তগণের জন্যেও পরিধান করা উচিত নয়।”

কাজেই, মুসলমান পিতা-মাতার উচিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শিক্ষাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের জীবনে বাস্তবায়নের কোশেশ করা।

সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ অনুকরণ করানো। আর কথা বলতে শিখলে, কাজ করা শিখলে সুন্নত উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ করার তা’লীম বা শিক্ষা দেয়া। সম্মানিত দ্বীন উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম শিক্ষা দেয়া।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০