আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১১৮

সংখ্যা: ২২৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

-হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

পবিত্র মসজিদ উনার সুন্নত মুবারক জিন্দাকরণ প্রসঙ্গে

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

কিছুদিন পরের কথা। একদিন কুতুবুয যামান, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আ’যম, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরত মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি মুবারক আদেশ করলেন যে, “আপনি আপনার সুযোগ্য সন্তান ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে মসজিদের জন্য জায়গা দিয়ে দিন এবং পবিত্র মসজিদ নির্মাণের সার্বিক সহযোগিতা করুন।”

আর তার পরের দিনই তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, আল্লামাতুদ দাহর, শাহ ছূফী হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজিহুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহিব ক্বিবলা হিসেবে মশহুর। সেই মহান ওলী তিনি যাত্রাবাড়ী থেকে রাজারবাগ শরীফ- উনার মধ্যে এসে উনার প্রধান খলীফা, আমাদের মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র দরবার শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ আনেন। তিনি আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। আলহামদুলিল্লাহ!

সেই মুহূর্তে আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারকও হয়ে যায়। মহান আল্লাহ পাক উনার দুই মহান ওলী একজন সম্মানিত পিতা অপরজন ক্বিবলায়ে কুলুব হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা। উনার দুজনেরই মাঝে অনেক মূল্যবান আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাদের হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন যে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে মুবারক আদেশ করেছেন যে, আমি যেন আপনাকে বলি যে, আপনার ছেলেকে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য জায়গা দিয়ে দেন।” এ কথা শুনে কুতুবুয যামান হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি খুবই খুশি হলেন এবং হাসতে লাগলেন। এবার তিনি বললেন, “মাওলানা ছাহেব! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গতকাল আমাকে সরাসরি এই আদেশ মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ মুবারক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় সুন্নতী জামে মসজিদ উনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যায়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অক্লান্ত ও অবর্ণনীয় ত্যাগ ও পরিশ্রমে নির্মাণ সামগ্রী যোগাড় করা হয়। যথাক্রমে যশোর, ফরিদপুর এবং ঢাকার জিঞ্জিরার কালীগঞ্জ থেকে খেজুর গাছ, খেজুর গাছের পাতা ও ডাল আনা হয়।

উল্লেখ যে, আমাদের দেশের অধিকাংশ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। ফলে খেজুর গাছ কাটা হয়। আর ওই কাটা খেজুর গাছ দিয়ে স্তম্ভ বা খুঁটি বানানো, কাঠ, রুয়া ইত্যাদি তৈরি করা সম্ভব হয়না। এসবের জন্য পূর্ণাঙ্গ বা ভালো গাছের দরকার। কাজেই, অনেক সময়, শ্রম, অর্থ ব্যয় করে দূর-দূরান্ত থেকে ট্রাকযোগে সেই খেজুর গাছ আনা হয়েছিল। চালা বাঁধার জন্য বেত আনা হয়েছিল সিলেট থেকে। দেয়াল নির্মাণে লালমাটি সংগ্রহ করতে হয়েছে ঢাকা কদমতলা রাজারবাগ থেকে। পাথর আনা হয়েছে নূরানীগঞ্জ থেকে। অভিজ্ঞ মিস্ত্রি যোগাড় করে ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ১৪০৬ হিজরী মুতাবিক ১৯৮৬ ঈসায়ী সনে পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ তৈরি শুরু হয়।

সুন্নতী মসজিদ উনার বারান্দা, হুজরা শরীফ ও সুফফাখানাসহ দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট এবং প্রস্থ হচ্ছে ৩০ ফুট। মূল মসজিদ হচ্ছে দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট এবং প্রস্থ ২০ ফুট। মসজিদ উনার চালা বা ছাদ ছিল ৯ ইঞ্চি পুরো খেজুর পাতার ছাউনি। চালের ফ্রেম ছিল ২/২ ইঞ্চি রুয়া। স্তম্ভ বা খুঁটি ছিল ৬ খানা খেজুর গাছ। দেয়াল নির্মাণে লালমাটির সাথে মিশানো হয়েছে খেজুর গাছের পাতা, ধানের তুষ ও পাথর। মেঝেতে বালু বিছিয়ে তার উপর কঙ্কর ( ছোট পাথর) বিছিয়ে দেয়া হয়। মসজিদের ভিতরে মাটির চেরাগদানী ব্যবহার করা হয়েছে। যা সংগ্রহ করা হয়েছে ঢাকা ঠাঠারী বাজার ও টঙ্গী থেকে। উক্ত চেরাগদানীতে বাতি জ্বালানোর জন্য সরিষার তেল ও জয়তুন তেল ব্যবহার করা হয়েছে।

সুন্নতী মসজিদ উনার মেঝেতে বিছানো ছিল খেজুর পাতার চাটাই। জায়নামাযও ছিল খেজুর পাতার তৈরি। মিম্বর শরীফ তৈরি করা হয়েছে ঝাউ গাছের দ্বারা; যা সংগ্রহ করা হয়েছে চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে। সেই মিম্বর শরীফ ছিল তিন তাক বিশিষ্ট। যার উচ্চতা ছিল দেড় হাত অর্থাৎ ৩x৯=২৭ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য ছিল দুই হাত তথা ১২x৩=৩৬ ইঞ্চি। আর প্রস্থ হচ্ছে ১ হাত তথা ১৮ ইঞ্চি।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০