আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১০৫

সংখ্যা: ২১১তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

‘মুহইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গে

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জিন্দাকৃত বা পূণঃ প্রচলন কতিপয় সুন্নতের বিবরণ:

পথ চলার সুন্নত

উল্লেখ্য যে, পথ চলার প্রকারভেদ দশটি- ১. هون ‘হাউন’ ২. تحادت (তাহাদাত): নির্জীব ও শীর্ণ শুকনো কাঠিসদৃশ লোকের ধীরগতিসম্পন্ন হাঁটা। ৩. ازعاج (ইযআজ) তথা রাগের বশবর্তী হয়ে দ্রুতগতিতে বিরক্তিকর ও পেরেশানীর হাঁটা। এ দু’ধরণের হাঁটাই নিন্দনীয় যা মৃত অন্তর বিশিষ্ট হওয়ার আলামত। ৪. سعى (সায়ী) দৌড়ের ন্যায় দ্রুত গতিতে চলা। ৫. رمل (রমল) তাড়াতাড়ি পা উঠিয়ে স্কন্ধ হেলিয়ে দুলিয়ে বীরের ন্যায় চলা ৬. نسلان (নুসলান) খুব জোড়ে দৌড়ে চলা। ইহা সায়ী-এর চেয়েও বেশি গতিসম্পন্ন। ৭. خوزلى (খাওঝালী) হাতের পাঞ্জায় ভর করে চলা। ৮. قهقرى (ক্বাহক্বরী) পিছনের দিকে উল্টোভাবে হাঁটা। যেমন কা’বা শরীফ, রওজা শরীফ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম উনাদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে পিছনে দিকে চলা। ৯. جمرى (জামরী) লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা। লাফিয়ে লাফিয়ে চলে বলে উটকে জাম্মারা বলা হয়। ১০. تبختر (তাবাখতার) ধীরে ধীরে মনোহর ভঙ্গিতে টলায়মান অবস্থায় অহঙ্কারের সাথে হাঁটা। উক্ত দশ প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে পুণ্য ও উত্তম হাঁটা হচ্ছে ‘হাউন’। আল্লাহ পাক উক্ত হাঁটার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন-

وعباد الرحمن الذين يمشون على الارض هونا

অর্থাৎ, “পরম করুনাময় আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা, যারা বিনয়-ন¤্রতার সাথে যমীনে চলাচল করেন। (সূরা ফুরক্বান) (সিফরুস সায়াদা-২৪৬, মাদারিজুন নুবুওয়াত-১/৫৭)

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসরণে সেই ‘হাউন’ প্রকারেই পথ চলেন।

হযরত আবু ইনাবা খাওলানী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন-

كان النبى صلى الله عليه وسلم اذا مشى اقلع

অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হাঁটতেন তখন মাটি থেকে সবলে পা মুবারক তুলে তুলে হাঁটতেন। (আখলাকুন নবী-১৬২, শামায়িলে তিরমিযী- ১৪৪)

কাজেই পা ছেচড়ে হাঁটা দুর্বলতার পরিচায়ক যা সুন্নতের খিলাফ।

হযরত হিন্দ ইবনে আবী হালাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হাঁটতেন তখন সজোরে পা মুবারক উঠাতেন এবং সামনের দিকে কিছুটা ঝুকে চলতেন। মাটিতে পা মুবারক আস্তে ফেলতেন। তিনি দ্রুত চলতেন, মনে হতো তিনি যেন উঁচু ভূমি হতে নি¤œ ভূমিতে অবতরণ করছেন। (শমায়িলে তিরমিযী-৩৭)

রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-

ان النبى صلى الله عليه وسلم كان اذا مشى مشى مشيا مجتمعا ليس فيه كسل

অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হাঁটতেন তখন পা মুবারক তুলে বীরদর্পে হাঁটতেন। উনার হাঁটার মধ্যে কোনরূপ আলস্য বা দুর্বলতা ছিলনা।” (আখলাকুন নবী- ১৬৪)

কাজেই অলসদের মত ধীরে ধীরে পথ চলা সুন্নতের খিলাফ যার কারণে আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি একদিন একজন যুবককে এভাবে হাঁটতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে যুবক! তুমি কি অসুস্থ? তোমার শারীরিক কোন দুর্বলতা রয়েছে কি? সে জাওয়াব দিল, না, আমি অসুস্থও নই, শারীরিক কোন দুর্বলতাও আমার নেই।” তার এ জাওয়াব শুনে তিনি তাকে চামড়ার বেত দ্বারা কঠিনভাবে প্রহার করলেন। বললেন, তোমার যদি কোন ওযরই না থাকে তাহলে এভাবে হাঁটছ কেন?  (অসমাপ্ত)

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৬

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৭

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৮

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৮৯

আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- উনার নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯০