আল বাইয়্যিনাত—এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে—৭২

সংখ্যা: ১৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

খলিফাতুল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে মুসলিমিন

তিনি মুর্শিদ রাজারবাগেই রহেন তাশরিফীন।

তাঁর ওসীলায় সূর্য উদয় চন্দ্র অস্ত যায়,

তারকারাজী করে ঝিক মিক পুলকিত ইশারায়।

রহমত আর বরকত হয়ে তাঁহার সুভাগমন,

পৃথিবী গ্রহই শোকর গুজারে তাবাচ্ছুমে সারাক্ষণ।

মিতৃ আতশ বায়ু ও বারি যত আছে মাখলূক,

ঐ মুজাদ্দিদের তাসবীহ জপিতে নহে নহে উম্মুখ।

পবিত্র দ্বীন সাবলীল ধারা ফিরে পেয়ে নন্দিত,

সেই নবী আদর্শ সুন্নতী শান চমকিছে অবিরত।

ফের ছাহাবাগণের আবাবিল হেরি পেখম মেলিয়া উড়ে,

রৌনকে রাখে ঈমানী জজ্বা সত্য যে গ্রহিবারে।

শিষ্টতা আজ মাথা উচুঁ করে দেখা দেয় বিশ্বকে,

অশালিন সব নিস্ত হতে চায় পৃথিবীর ঘর থেকে।

ঐ নূরী মানবের ছোহবতে সব ধৃষ্ঠ জাহিলিয়াত,

বিদায় লইছে একেবারে আর নিয়ে এল তাহারাত।

হিংসা আর বিদ্বেষ খানি হয়ে পরে দূর্বল,

হল, লোভ লালসা ও অহংকারের বড়াই যে মুর্ছল।

ঐ মানব—দানব কিৎ পশু পাখি মুক্ত বিহঙ্গনে,

খোদার খোদায়ী প্রকাশ করছে তাজদীদী রুপায়নে।

ঐ রসূলে পাক—এর পাক পাকিজা উথলে পূনর্বার,

মুসলমানের মুসলিমী শান হয় হল উদ্ধার।

পারবেনা আর তাগুত তাহার ক্ষমতাকে টিকাবার,

মুসলমানের চেতনার ত্যাজে তাগুতেরা ছারখার।

হন মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামে আযম হযরত রাহগীর,

আখিরী যুগের তিনি কান্ডারী তিনি ইহসানী মীর।

তিনি সৃষ্টির সওগাত হন্ মহামতি নিয়ামত,

হন, তিনি মুজরিমী ছন্ছারকারী মানবীয় শরাফত।

যতই তাগুত তুরূপ জপুক ঘঁুচেনা তাহার ত্রাস,

মুজাদ্দিদের মাহতাব হেরে খারাবিটা হল ফাঁস।

ঐ ইনছান তার সম্মানখানি ফিরে পায় দ্বিনীয়াতে,

তিনি মুজাদ্দিদ মজবুতে রন দ্বিনদারী জিম্মাতে।

তাই কবি আমি বার বার ডাকি ইনছানী ক্বওমিরে,

গাফিল টুটায়ে আয় ফিরে আয় মুজাদ্দিদের দ্বারে।

পনের শতক হিজরীর তিনি কুয়্যতী শামসুন,

তিন মুজাদ্দিদ এই হিজরীতে ইতায়াতী শাহ্রুন।

তিনি আল বারাকার বাহ্বা বাশার রসূলের আওলাদ,

তিনি আল আরাফার শাহানশাহ্ আম্বিয়া আহলাদ।

তিনি শানিদান দ্বীনি আরকান মেহমানে রহমান,

তিনি আউলিয়ায়ে আওলা বুরুজ অনন্ত মহিয়ান।

তিনি যে শাকির আবিরে খবির ছাকিনায়ে আকবর

তিনি যে হলেন আযিমীনাদিম মাদানীয়ে আসকর।

তিনি ব্যথিতের শিফায়ী সেবন আশিকের তাহিরুন,

তিনি সাম্যের মাহছুছ হন সুন্নতি ছাবিরুন।

চেয়ে দেখ ঐ মুসলিম আজ মুজাদ্দিদের কাজ,

কেন যে তিনি খ্যাতির শিখরে হয়ে রন মহারাজ।

কেন যে তাঁহার নাম শুনে ঐ তাগুতেরা পেরেশান,

চেয়ে দেখ তাঁর রোবের আঘাতে বিদাতিরা নিস্তান।

ঐ কাট্টা কাফির ইহুদী নাছারা মুজুছি ও মুশরিক,

ফের ওহাবী খারিজী কাদীয়ানি শিয়া মওদুদী নাস্তিক।

দুনিয়া লোভী সুধি ও শুশিল ডান বাম পন্থিরা,

মুজাদ্দিদের তাজদীদি অনলে রহে রহে দিশেহারা।

ঐ উলামায়ে ছূ’ ভন্ডরা আজ কোন ঠাসা তাজদিদে,

আজকে মুমিন ঈমানী পরশে থাকে নাকো আর নিদে।

ঐ মুজাদ্দিদ আযম গাউছে পাকের ক্বদমে সকলে এসে,

তালিম লভিছে জীন্দিগী ভর সুন্নতি পরিতোশে।

তামাম মুমিন চাহিয়া রহিছে রাজারবাগের দিকে,

ঐ মুজাদ্দিদ আযম ডাকেন কখন খিলাফতি সৌমিকে।

আজ মুসলমানের সংখ্যা ধরায় আড়াইশ কোটির মত,

হেরি সহসা সকলে মুজাদ্দিদের তাজদিদে অনুগত।

ঐ মুজাদ্দিদের তীব্র ফায়িজে জালিমেরা জ্বলে মরে,

আমিরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে আজ পুড়ে।

অভাবি আযাব গ্রাস করে দেখি মুল্লুকে কাফিরান

টর্নেডো আর প্লাবন প্রবাহে বিনাশে গণস্তান।

ঐ খোদার গযব এখনও সরব মানবজাতিরে কহি,

নমরুদ আর ফিরাউন ন্যায় এখনও রহিছে দহি।

ওরে সাবধান হও মানবজাতি নিতীর কাতারে আয়,

মানবীয় শান রাখ অক্ষয় রহিবেনা বেদিশায়।

ঐ নিতী শুধু ইসলামে আছে অন্য যে শয়তানি

শয়তান হয় মানব শত্রু ইহাই সত্য বানী।

ঐ মানবজাতীর শান্তি বিধান আল্লাহর কুরআন,

রসূলে পাকের হাদীছ ও তাহাই শুনে লও ইনসান।

ফের প্রতি শতকেই তাশরীফ আনেন মুজাদ্দিদ মেহমান,

ইনসানিয়াত জাগায় রাখতে তিনি হন মহাদান।

আছেন অনুরুপ মুজাদ্দিদ আযম রাজারবাগ দরবারে,

ঐ মুসলিমসহ তামাম মানব এসে পর ত্বরা করে।

বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৯

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৪