আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেলো খুলে-৮৭

সংখ্যা: ২০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ।
ওই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদে মীলাদ আযীমায়ে জাইয়্যিদ,
উহা বান্দার তরে আল্লাহর দেয়া বেমেছাল মান্দিদ।

মীলাদুন নবীর দীপ্তিতে,
জগৎ রহিছে রৌশ্নিতে।
গগন পবনে রহিছে কাঁচন পালিদের নির্যাস,
আরশী কানন উন্মোচনেই ছড়াইছে শাহীবাস।

দিক দিগন্ত কায়িনাতের থরে থরে কারুকাজ,
সৃষ্টি সকল শৃঙ্খলে, রহে রহে খোশ রাজ।
রবীউল ওই আলাউল হয়ে চমকালো কায়িনাত,
আলোয়ান রহে সৃষ্টি হতেই পেয়েই যে সওগাত।

সারওয়ারে দোআলম রসূলে আ’যম হাবীবে শাহানশাহ,
মাহে রবীউল রবি যে করেই আসেন ধরণীগাহ।
ওই কঠিন জাহিলি লীলার বলয়ে নূর নবী হযরত,
মিষ্টি মধুর নহর বহান জাহানে যে আলবত।

কিসের হিংসা, কিসের লালসা জৈবিকী জামাদাত,
দেখি দ্বন্দ্ব দ্রাবীর প্রীতির জিরাতে সহনীয় শাহানাত।
তফযযুল বাহার করে উদ্ধার উদাসীন মানবতা,
ঘাত সংঘাত নস্যাৎ করে ফিরালেন সজীবতা।

বেহুদগী সব রহিলই ভাগি চাঙ্গাতে ধাবমান,
সহনশীলতা উচ্চেই রেখে লুফে লয় খ্যাতিয়ান।
আখিরী রসূল সৃষ্টি আবুল রহমতে আবাদান,
খোদব খোদ রহমত হয়ে তিনি হন জাহিরান।

ওই রসূলে আ’লার সকল বাহার কার্যকলাপ জানি,
রহমত উহা আলবত ভাবি ইয়াক্বীনান আরকানী।
যাহির বাতিন, আউয়াল আখির তিনি হন রহমত,
রবীউল আউয়াল হয়েই কামাল গ্রহে দিল আযমত।

আজ পৃথিবীসহই গোটা আলম, মীলাদের মাহফিলে,
আমূল সৃষ্টি তুষ্টি জুড়িয়া জপিছে দুরূদ মিলে।
ওই নূরী বুলবুল মাহে রবীউল, নিয়ে এলো মহা ঈদ,
উহা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শাহী আহলাদ নূরে নূর তাহমীদ।

ওরে দুনিয়ার মুসলমানেরা ঈদি জমায়েত হতে,
শপথ লও রসূলী মুহব্বতে দায়িমী জিন্দেগীতে।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, করিতে আবাদ আবাদুল আবাদান,
প্রতি মু’মিনীন রহিবে আমীন হিম্মতি মিজবান।

দেখ, আজ জগতের মধ্যমণি মাখলূক্বি সরদার,
তাশরীফ আনেন উজালা রাখেন নকশায়ে সরকার।
ওই আওলাদে রসূল খলীফাতুল্লাহ মুজাদ্দিদ সুলতান,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ করেন আবাদ মুলকে মুসলমান।
তামাম বাতিল তাগুত পালিদ ইবলীসী কারসাজি,
নিস্তানাবুদ করেন অযুত জাব্বারিউল গাজী।
তিনি বালাগাল ক্ববিউল আউয়াল আজ জাহিলের ভবে
আটলান্টিকী হিল্লোলি খাতে, কাফির রাখেন ডুবে।

মরু সাহারার তা-বী ঝরে ইহুদী ও খ্রিস্টান,
বৌদ্ধ হিন্দু বাহাই শিয়া বেমালুম খান খান।
আজকে ভূমির অগ্নি লাভা, মুজাদ্দিদী ইশরায়,
দুশমনে দ্বীন ছারখার করে বন ও গঞ্জ গায়।

সেই মুজাদ্দিদ দিয়ে তাজদীদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
ফরয করেন প্রমাণ সই, মহাবীর আসআদ।
ওই মীলাদুন নবীই খোশ রবি, পালনে ঈমানদার,
রহে হাক্বীক্বী মু’মিন, রাখিয়া ইয়াক্বীন, নূরানীতে ইসরার।

ফের মীলাদ ক্বিয়ামী দুশমনেরাই প্রচার করিয়া বলে,
বিলাদত শরীফে খুশি করাটাই নেই সনাতন কালে।
ওই লা-মাযহাবী, খারিজী, ক্বওমী, মওদুদী, তাবলীগী,
তাগুত তাদের ক্বলবগুলিরে গড়ায় মহারোগী।

কুরআন হাদীছে পষ্ট রহিছে কাফিলায়ে আছহাব,
রহেন মীলাদুন নবী পালন করিতে গরকেই বেহিসাব।
ইমামে আ’যম শাহ সাইয়্যিদ মহামতি মুর্শিদ,
নিজ দরবারসহ দেশময় জুড়ে সাজালেন শাহী ঈদ।

ওই লক্ষ লক্ষ পোস্টারসহ লিফলেট ফেস্টুন,
আর পুস্তিকাসহ রেসালা শরীফ সহস্র মাসনূন।
দেখি চৌদ্দশত বত্রিশ হিজরী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
পঁয়তাল্লিশ দিন ব্যাপিয়া করেন সৌর্যে ইমতিদাদ।

শোন, ওই মীলাদুন নবীই সকল ঈদের ঈদ,
ফরয জানতে তাগিদ করেন মহান মুজাদ্দিদ।
দেখ, রাজধানীসহ দেশময় জুড়ে প্রতিটি শহর দ্বার,
মীলাদুন নবীর রোশ্নি তোরণে রেখেছেন গুলজার।

শোকর ঢাকা শহরের চৌদিকসহ বিশেষ অবস্থানে,
শাহী তোরণের জৌলুসে আজ চমকিছে গুলশানে।
বিশাল বিশাল তেরটি তোরণ নজর কাড়িছে হৃদ,
রাজধানী জুড়ে আলোড়ন পড়ে পালনে শ্রেষ্ঠ ঈদ।

লক্ষ লক্ষ আশিকে রসূলের মিলন সাগর দেখে,
তাগুতবাদীরা জ্বলিয়া লুকায় হিংসার সিন্দুকে।
দেখি মহা গৌরবে জগৎজুড়িয়া সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
হচ্ছে পালন ইশকে মিলন মুজাদ্দিদী ইমদাদ।

শব্দার্থ:
ইমতিদাদ: দীর্ঘীকরণ, প্রবর্ধন। ইমদাদ: সাহায্য। জাইয়্যিদ: বৃহৎ, বিস্তৃত। জামাদাত: অজৈব, পাথর। তফযযুল: বদান্যতা।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯৩