আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯২

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা |

জাহান্দার,
মহান স্রষ্টা খালিক্ব মালিক ওই পাক আল্লাহর।
দুনিয়াবাসীরা লও শুনে লও পেতে হলে উদ্ধার,
তপ্ত ত্রাসিত তামাশায় আর কত রহ হাহাকার।

পৃথিবী পারের প্রতি ইঞ্চিতে আল্লাহর হুকুমাত,
ওরে ও কাফির অস্থির তোরে করে ফেলে কুপোকাত।
তোর বাহাদুরী ঝাড়িঝুড়ি সব হয়ে রহে এলোমেলো,
তোর সর্দারী ফুৎকারী মাঝে হাওয়া যে কেবল হলো।

আজ পৃথিবীর কুফরী গৃহেই বিরাজে অশান্তি,
গযব তাদেরে দফাইয়া দেয় টানিয়া যে দুর্গতি।
বন্যা প্লাবন তুষারাপাতের কঠিন অক্টোপাসে,
কাফিররা আজ চিৎকার করে জীবন খানিরে নাশে।

দাউ দাউ করে জ্বলে ছারখার হারাম অট্টালিকা,
হায় দাবানল জ্বালাইয়া দেয় কাফিরের অহমিকা।
প্রবল ঝড়েই উড়াইয়া নেয় অহঙ্কারের হাসি,
জমদূত হয়ে লইছে কাড়িয়া তাগুতের বদমাশি।

ইহুদী হানাদার কুখ্যাত ওই যালিমী খ্রিস্টান,
ওই মুসলমানেরে হত্যা করিছে নির্দয়ে অফুরান।
হায় পাক আফগান লিবিয়াসহই সিরিয়ার ময়দানে,
দানবগিরিই করছে কাফির লুটেরা ডাকাত বনে।

দেখি মুসলমানেরে হয়রান করে বানাইয়া মজলুম,
অসহায় রাখে কাফির গোষ্ঠী কাড়িয়া লইছে ঘুম।
মহান খোদার গযব পড়িল সেই সে কাফির ঘাড়ে,
বড়ই আযব খোদায়ী গযব উত্থিত খাক ফুরে।

পানিতে মারিল, আগুনে পুড়িল, হাওয়ায় উড়ালো ঘর,
ভূমিকম্পের ভয়াল থাবায় হলো তারা উভচর।
অগ্নিগিরির ধোঁয়া ও ছাইয়ে ডুবে গেলো আসমান,
অসংখ্য কাফির মৃত্যু খোয়াড়ে ধুঁকে ধুঁকে হয়রান।

অস্পৃশ্য ওই যবন ম্লেচ্ছ নিঃশেষে রয় জারি,
পেয়ে বিশ্বেই তারা চিহ্নিত হলো অসহায় ধিক্কারী।
ক্ষুধায় খাচ্ছে মল ও মূত্র গান্দা খাবার মুখে,
ওই খ্রিস্ট বৌদ্ধ ইহুদীরা আজ রহিছে চরম দুখে।

কোটি কোটি ধন কাফিরের সব আগুনে পুড়িয়া ছাই,
দেখি ঘরবাড়ি আর অট্টালিকা বন্যায় হায় নাই।
মহামারি রোগে জাবরায় ধরে কাফিরের দেশে দেশে,
হায় পারমাণবিক চুল্লিও ফাটি রাখিছে সর্বনাশে।

অহঙ্কার আর দম্ভ বড়াই হয়ে গেলো ছারখার,
কুল্লু কাফির হচ্ছে ফকির দুর্গতি কারাগার।
ওই আজ প্রকৃতির তীব্র ঘাতেই কাফির পরাস্ত,
দেখ খোদার গযব গর্জে মারিছে কাফির সমস্ত।
লও লও হুঁশ ওরে ও মানুষ গযবের প্রতিঘাতে,
খোদার মার দুনিয়ার বার বুঝে লও সম্বিতে।
আধুনিক কালের কামান রকেট পারমাণবিক বোমা,
সবগুলো হায় অচলে ডুবায় রহে না তিলোত্তমা।

হায় হাহাকার সবই বেকার ঠেকাতে পারেনা রে,
খোদার গযব রহিছে সরব দুর্দমী দুর্বারে।
রাতকানা ওই কাট্টা কাফির ইহুদী দুর্মুশা,
অগ্নিদগ্ধে দগ্ধিত হয়ে রহিয়াছে কোণঠাসা।

বড়ই ফাজিল নাছারা কাহিল ভূমিকম্পের চাপে,
বন্যা প্লাবন ঘুর্ণিঝড়ে হরদমে আজ কাঁপে।
দাবানল আর অগ্নি লাভায় ছারখার গনপুর,
দম্ভ অহং হিংসার বুকে ঠাটা পড়ে ভাঙচুর।

স্থল পথ, পানির পথ, আকাশ পথেও বাঁধা,
খোদার গযব দেয় বাস্তব অতর্কিতে বাধা।
ওরে ও মু’মিন কওরে আমীন মুনাজাত মাহফিলে,
ওই মুনাজাত করে কুপোকাত গযবের উত্তালে।

ওই মুসতাজাবুদ দাওয়াত হলেন মহান মুজাদ্দিদ,
এই যামানার তিনি আধার আল্লাহর তামজীদ।
উনার দীপ্ত রোস্নাই মাঝে মুসলিম তেজিয়ার,
উনার নূরানী যবানী জোয়ারে ফুটে উঠে দ্বীনদার।

সুযোগ এসেছে মুসলমানের খোদার তরফ হতে,
শুনুন ঐকতানের ঐকান্তিক দপ্তরে রও জুতে।
আজ বদরের বিদ্যা শিখিতে জেগে উঠো মুসলিম,
আজ সত্যের শিকল ধরিতে ছেড়ে দাও অন্তিম।

মুসলিম আজ তামাম পৃথিবী দখল করিবে ফের,
দেখি আলবত দ্বীনি খিলাফত আসবেই আমাদের।
আমরা সকল মুসলমানেরা বদরী শপথ গ্রহে,
ঝাঁপাইয়া পড়ি দুর্দমে ধরি রহি না ভীতুর কুহে।

ওই মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামে আ’যম আল্লাহর বাহাদুর,
আজ পৃথিবীর তিনিই আবির নেই দ্বিধা বিন্দুর।
উনার মহান জজবাহী ডাকে বিশ্ব মুসলমান,
নও জাগরণে উত্তালীবানে রহে রহে বারাকান।

ওই মুজাদ্দিদ আ’যমী তনয় তিনিও মহাবীর ইসলামে,
পিতার যোগ্য সন্তানি জোশে সদা রন উদ্যমে।
পিতা ও পুত্র দুইয়ে মিলে আজ তামাম পৃথিবী জুড়ে,
ইসলামী ডাকে রাখেন ঐক্যে জান বাজি বাহু ডোরে।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান