আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্ত্বলা’ আলাল গইব, হায়াতুন্ নবী, উস্ওয়াতুন হাসানাহ্, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনী আও আদনা, ক্বয়িদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে প্রকাশিত কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্ত্বলা’ আলাল গইব, হায়াতুন্ নবী, উস্ওয়াতুন হাসানাহ্, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনী আও আদনা, ক্বয়িদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে অসংখ্য-অগণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ প্রকাশিত হয়েছেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে মুহব্বতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে সমস্ত কায়িনাতবাসীকে নিয়ে খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং সমস্ত কায়িনাতকে অপরূপ সাজে সুসজ্জিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন- “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউয়াল শরীফ) উনার রাত্র মুবারক সম্পর্কে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, মালিকুল জান্নাত, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এটা ছিলো চন্দ্রের আলোয় আলোকিত রাত। চারপাশে কোনো প্রকার অন্ধকার ছিলো না। সে সময় সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম) তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উনার ভাঙ্গা দেয়াল মুবারক মেরামত করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হারাম শরীফ উনার দিকে যান। ফলে সে সময় আমার নিকট কোনো পুরুষ-মহিলা কেউই ছিলেন না। আমার একাকিত্বের কারণে (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক কে দিবেন, সে বিষয় চিন্তা করে) আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করছিলাম (মহাসম্মানিত কান্না মুবারক করছিলাম)। হায়! কোনো মহিলাই নেই যিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন। আমার জন্য কোনো একান্ত সাথীও নেই, যিনি আমাকে সান্ত্বনা দিবেন। কোনো দাসীও নেই, যিনি আমার মনোবল অটুট রাখবেন।’ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘অতঃপর আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার এক কোণায় তাকালাম, হঠাৎ দেখি তা ফেটে সেখান থেকে চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল চারজন সুউচ্চ সম্মানিতা মহিলা বের হয়ে এলেন। উনারা সাদা সেলওয়ার পরিধান করেছিলেন- সেগুলো নূরে আচ্ছাদিত ছিলো এবং উনাদের ক্বমীছ মুবারক থেকে মেশকের সুরভী ছড়াচ্ছিলো। উনারা ছিলেন আবদে মানাফ বংশীয় মহিলা উনাদের অনুরূপ। উনাদের প্রথমজন এগিয়ে এসে বললেন, ‘হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মতো কে আছেন? আপনি যে সাইয়্যিদুল বাশার অর্থাৎ সমস্ত জিন-ইনসান তামাম কায়িনাতবাসী সকলের সাইয়্যিদ এবং সম্মানিত রবী‘য়াহ ও মুদ্বার গোত্রের ফখর অর্থাৎ সারা কায়িনাতের যিনি ফখর উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খেদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) ধারণ মুবারক করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি আমার ডান দিকে বসলেন। তখন আমি উনাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, ‘আমি উম্মুল বাশার সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম।’ অতঃপর উনাদের মধ্য থেকে দ্বিতীয়জন এগিয়ে এসে বললেন, ‘হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মতো কে আছেন? আপনিতো (মুত্বহ্হার) পূত-পবিত্র এবং (মুত্বহ্হির) পবিত্রতাদানকারী উনাকে, স্বচ্ছ ইলিম মুবারক উনার মালিক উনাকে, বদান্যতার সাগর উনাকে, উজ্জ্বল নূর মুবারক উনাকে এবং সম্মানিত মা’রিফাত মুবারক উনার রহস্য উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ গ্রহণ করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি আমার বাম দিকে বসলেন। তখন আমি উনাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, ‘আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আহ্লিয়া সাইয়্যিদাতুনা হযরত সার্রাহ আলাইহাস সালাম।’ অতঃপর উনাদের মধ্য থেকে তৃতীয়জন এগিয়ে এসে বললেন, ‘হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার তো কোনো তুলনাই হয় না। আপনিতো চির আলোকিত হাবীব, যিনি সমস্ত প্রশংসা ও ছানা-ছিফত মুবারক উনাদের মালিক উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ গ্রহণ করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আত্বহার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক) উনার দিকে বসলেন। আমি উনাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, ‘আমি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসিয়াহ্ বিনতে মুযাহিম আলাইহাস সালাম।’ এরপর উনাদের মধ্য থেকে চতুর্থজন এগিয়ে আসলেন। তিনি ছিলেন অন্যদের তুলনায় অধিক মর্যাদা সম্পন্না এবং ঔজ্জ্বল্য সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী। তিনি বললেন, ‘হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার সমকক্ষ কেউই নেই। আপনি তো এমন এক সুমহান মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ গ্রহণ করেছেন, যিনি হচ্ছেন- অকাট্য দলীলসমূহ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফসমূহ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত অর্থাৎ নিদর্শন মুবারকসমূহ উনাদের ছাহিব, মালিক। যিনি সমস্ত যমীনবাসী এবং আসমানবাসী সকলের সাইয়্যিদ। উনার প্রতি দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বোত্তম ছলাত মুবারক এবং পরিপূর্ণ সালাম মুবারক।’ সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি আমার সম্মুখে বসলেন এবং বললেন, ‘হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমার উপর ভালোভাবে হেলান মুবারক দিন।’ তখন আমি উনাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, ‘আমি হযরত মারইয়াম বিনতে ‘ইমরান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আমরা আপনার সম্মানিত খাদিমাহ্ এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গ্রহণকারিণী, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দানকারিণী।’ সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, অতঃপর আমি উনাদের সাথে আন্তরিক হলাম অর্থাৎ উনাদের প্রতি সম্মানিত মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করলাম। আর আমি লক্ষ্য করতে লাগলাম যে, অনেকেই দলে দলে আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক আসছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার দিকে তাকালাম, হঠাৎ দেখি যে, তা একই রকম অনেক আওয়ায মুবারক এবং অনেক ভাষার কথা দ্বারা ভরে গেছে। তার মধ্যে সুরিয়ানী ভাষার প্রাধান্য ছিলো। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, অতঃপর আমি সে সময় লক্ষ্য করলাম, হঠাৎ অসংখ্য তারকা (অর্থাৎ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা) আমার ডানে-বামে উড়ছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত আদেশ মুবারক করলেন, ‘হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানার্থে) রূহসমূহকে শারাবান ত্বহূরা পাত্রের নিকট শ্রেণীবদ্ধ করুন। হে (সম্মানিত জান্নাত উনার দায়িত্বশীল ফেরেশতা) হযরত রিদ্বওয়ান আলাইহিস সালাম! সমস্ত মাখলূক্বাতের, সারা কায়িনাতের সাইয়্যিদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানার্থে সম্মানিত জান্নাতী হুর উনাদেরকে নতুন সাজে সুসজ্জিত করুন এবং সর্বত্র পবিত্র মেশকের সুরভি ছড়িয়ে দিন। সুবহানাল্লাহ! হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! বিছিয়ে দিন নৈকট্য ও মহামিলনের গালিচা মুবারক সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য, যিনি অধিকারী নূরের, উচ্চ মর্যাদার এবং মহামিলনের। হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! দোযখের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা হযরত মালিক আলাইহিস সালাম উনাকে আদেশ করুন তিনি যেন দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেন। সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতা হযরত রিদ্বওয়ান আলাইহিস সালাম উনাকে বলুন, তিনি যেন সমস্ত জান্নাত মুবারক উনাদের দরজা মুবারকসমূহ উন্মুক্ত করে দেন। সুবহানাল্লাহ! হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি জান্নাতী বিশেষ পোশাকে সুসজ্জিত হোন। হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো সুসজ্জিত সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, মুক্বাররবীন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, নেকট্যপ্রাপ্ত অর্থাৎ সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার চারপাশে অবস্থানকারী ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এবং কাছের ও দূরের সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে যমীনে অবতরণ করুন। সুবহানাল্লাহ! হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি আসমান-যমীনের সর্বত্র এবং সমগ্র কায়িনাতে ঘোষণা করে দিন- সময় ঘনিয়ে এসেছেন, মুহিব্ব ও মাহবূব উনাদের মিলনের, ত্বালিব ও মাত্বলূব উনাদের সাক্ষাতের।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যা সম্মানিত হুকুম করেছেন, হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম তিনি তা হুবহু বাস্তবায়ন করলেন। সুবহানাল্লাহ! এক জামা‘য়াত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত পাহাড়সমূহে দাঁড় করিয়ে দায়িত্ব দিলেন। উনারা সম্পূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হারাম শরীফ উনাকে বেষ্টন করে নিলেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের পাখা মুবারকগুলো ছিলো সুগন্ধিযুক্ত সাদা মেঘের টুকরার ন্যায়। তখন পাখিরা অতি সুমিষ্ট আওয়াজে সম্মানিত প্রশংসা মুবারক উনার সম্মানিত তাসবীহ মুবারক পাঠ করতে লাগলো এবং উন্মুক্ত প্রান্তরে বনের পশুগুলো আশার ডাক দিতে লাগলো। এ সবকিছুই সেই মহান মালিক জলীল জাব্বার মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আদেশ মুবারক উনার প্রতিফলন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুনাওওয়ার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র চোখ মুবারক) উনার পর্দা মুবারক খুলে দিলেন। তখন আমি দেখতে পেলাম, শাম দেশের বছরা নগরীর প্রাসাদসমূহ। আমি তিনটি সম্মানিত পতাকা মুবারক স্থাপিত দেখলাম- একটি সম্মানিত পতাকা মুবারক পূর্ব প্রান্তে, আরেকটি সম্মানিত পতাকা মুবারক পশ্চিম প্রান্তে এবং তৃতীয় সম্মানিত পতাকা মুবারকটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ছাদ মুবারক-এ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, তখন আমি আরো দেখতে পেলাম যে, পাখিদের একটি দল। যেই পখিগুলোর ঠেঁাটগুলো ছিলো লাল স্বর্ণের ন্যায়, ডানাগুলো বিস্ময়াভিভূতকারী মাণিক্যের মতো। সেগুলো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করে মণি-মুক্তা ছড়িয়ে দিলো। এরপর উক্ত পাখিগুলো আমার চারপাশে অবস্থান করে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত তাসবীহ মুবারক পাঠ করতে লাগলো। এ অবস্থায় আমি প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে অত্যন্ত আনন্দিত হতে লাগলাম, বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুশী মুবারক প্রকাশ করতে লাগলাম। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দলে দলে আমার নিকট আসতে লাগলেন। আর উনাদের হাত মুবারক-এ ছিলো উজ্জ্বল লাল স্বর্ণ এবং চকচকে সাদা রৌপ্য নির্মিত ধূপাধার (সুগন্ধি ছড়ানোর পাত্র) মুবারক। উনারা ধূপ, ঊদ (একপ্রকার সুগন্ধি কাঠ), আম্বর এবং লোবানের সুগন্ধি ছড়াচ্ছিলেন। সেই সাথে উনারা উচ্চকণ্ঠে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম, সম্মান, মুহব্বত ও আদবের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল এবং মহামর্যাদাবান হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক পাঠ করছিলেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মান ও ইয্যত মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এ অবস্থায় চন্দ্র তাঁবুর ন্যায় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার উপর বিস্তৃত হলো। আর তারকারাজি সারিবদ্ধ হলো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার উপর নয়নাভিরাম, মনোহর, উজ্জ্বল মোমবাতির ন্যায়। তখন আমার সামনে পরিবেশন করা হয়েছিলো দুধের চেয়ে সাদা ও সুগন্ধিময় এক প্রকার জান্নাতী পানীয় মুবারক। যা ছিলো মিষ্টান্ন ও মধুর চেয়ে অতি মিষ্টি এবং বরফের চেয়ে অধিক ঠাণ্ডা। আমার অত্যন্ত পিপাসা লেগেছিলো। ফলে আমি উক্ত জান্নাতী বিশেষ পানীয় মুবারক গ্রহণ করলাম এবং পান করলাম। এতো অধিক সুস্বাদু কোনো পানীয় বা খাবার আমি  কখনো পান করিনি বা খাইনি। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর আমার থেকে প্রকাশিত হলেন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাম আলাম)

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেন-

اِنِّـىْ رَاَيْتُ خَرَجَ مِنِّـىْ نُـوْرٌ اَضَاءَتْ مِنْهُ قُصُوْرُ الشَّامِ

অর্থ: “আমি নিশ্চিতভাবে দেখলাম যে, আমার থেকে একখণ্ড মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক যাহির হলেন, যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোতে শাম দেশের রাজপ্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গেলো।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ২৯/১৯৬, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ৩/৫৬, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/২২২, আল খছায়িছুল কুবরা ১/১১০, ২/৩৩৬ ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

رَاَتْ اُمِّـىْ حِيْـنَ وَضَعَـتْنِـىْ سَطَعَ مِنْـهَا نُـوْرٌ اَضَاءَتْ لَهٗ قُصُوْرُ بُصْرٰى

অর্থ: “আমি যখন যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিলাম, তখন আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) থেকে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক জাহির হতে দেখেন। সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোয় বসরার রাজপ্রাসাদসমূহ আলোকিত হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা, ইবনে সা’দ ১/১০২)

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-

وُلِدَ مَنْ لَّوْلَاهُ مَا خُلِقَ الْوُجُوْدُ وَلَا يُصَوَّرُ وَالِدٌ وَّلَا مَوْلُوْدٌ وُّلِدَ يَـوْمَ الْاِثْـنَـيْـنِ لِاِثْـنَـتَـىْ عَشْرَةَ لَيْـلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيْعِ نِ الْاَوَّلِ فَاَصْبَحَتْ بَطْحَاءُ مَكَّةَ تَـرْقُصُ طَـرَبًا وَاهْتَــزَّ الْـحَرَمُ فَـرَحًا عَجَبًا وَّاسْتَـبْشَرَتْ اَهْلُ السَّمٰوَاتِ بِوِلَادَتِهٖ وَفَازَتْ سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ اُمُّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَعَادَتِهٖ وَخَرَّتِ الْاَصْنَامُ عَلـٰى رُئُـوْسِهَا وَاَيْـقَنَتِ الْكَهَنَةُ بـِخِزْيــِهَا وَبُــؤْسِهَا وَنَطَقَ الضَّبُّ بِرِسَالَتِهٖ وَاَقَــرَّ الذِّئْبُ بِنُــبُـوَّتِهٖ وَجَلَالَتِهٖ فَـلَهُ النَّسَبُ الرَّفِـيْعُ الْـمُشَرَّفُ فَـهُوَ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ بْنُ حَضْرَتْ عَـبْدِ اللهِ عَلَـيْهِ السَّلَامُ بْنِ حَضْرَتْ عَـبْدِ الْـمُطَّـلِبِ عَلَـيْهِ السَّلَامُ بْنِ حَضْرَتْ هَاشِمٍ عَلَـيْهِ السَّلَامُ سَيِّدُ بَـنِـىْ عَدْنَانَ وَخَيْـرُ اٰلٍ حِيْـنَ رُبِّـىَ عِنْدَ جَدِّهٖ يَــتِـيْمًا وَّرَضِعَ مِنْ ثَدْيَـىْ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ الرَّضَاعَةِ الثَّانِـيَةِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ حَلِـيْمَةَ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) فَصَارَ حَلِـيْمًا فَمَنْ عَظَّمَ لَـيْـلَةَ مَوْلِدِهٖ بِـمَا اَمْكَـنَهٗ مِنَ التَّـعْظِـيْمِ وَالْاِكْرَامِ كَانَ مِنَ الْفَائِزِيْنَ بِدَارِ السَّلَامُ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার দিনে এমন এক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন, যিনি না হলে কায়িনাতের কিছুই সৃষ্টি করা হতো না। আকৃতিতে আসতো না কোনো পিতা ও সন্তান। তিনি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার শুভক্ষণে খুশির আনন্দে দুলেছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার কঙ্করময় মরুভূমি। সুবহানাল্লাহ! সীমাহীন খুশি আর আনন্দে মেতে উঠেছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হারাম শরীফও। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছিলেন (আসমানবাসী অর্থাৎ) সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনার সৌভাগ্যে ধন্য হন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক উনার কারণে খান খান হয়ে ভেঙে পড়েছিলো প্রতিমাগুলো। জ্যোতিষীরা বুঝতে পেরেছিলো তাদের লাঞ্ছনা ও দুর্ভাগ্য অনিবার্য। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালত মুবারক উনার রহস্য জানিয়ে দিয়েছিলো গুঁইসাপ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রেসালাত মুবারক এবং মহত্ত্ব মুবারক উনার কথা স্বীকার করেছিলো জঙ্গলের বাঘ। উনার বংশ অতি অভিজাত ও সম্মানিত।

তিনি সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ইবনে হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম ইবনে হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম; যিনি ছিলেন আদনান গোত্রের সাইয়্যিদ।

তিনি একক বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক হিসেবে স্বীয় দাদা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যন্ত সসম্মানে লালিত-পালিত হন। উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুগ্ধ মুবারক পান করান সাইয়্যিদাতুনা হযরত সা’দিয়াহ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালিমা আলাইহাস সালাম) তিনি। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন অত্যন্ত ধৈর্যশীল। সুতরাং যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উনাকে তা’যীম-তাকরীম করবেন এবং এই উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করবেন, তিনি চির শান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (খুতবাতে ইবনে নাবাতা)

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশকালে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফসমূহ জানার এবং উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উপলদ্ধি করার উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করার, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে হাক্বীক্বীভাবে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ