আল হালীমু, আল হাফীযু, আল হাইইয়ু, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক ছাড়া ঈমানের কালিমা অপূর্ণ

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বলেন-

انما المؤمنون الذين امنوا بالله ورسوله

অর্থ: নিশ্চয়ই প্রকৃত মু’মিন-মুসলমান তাঁরাই যাঁরা আল্লাহ তায়ালা ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর ঈমান এনেছেন।” (সূরাতুন নূর-৬২)

আল্লাহ রব্বুল আলামীন সূরা আলে ইমরান-এর ১৭৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন-

فامنوا بالله ورسله وان تؤمنوا وتتقوا فلكم اجر عظيم.

অর্থ: “তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও উনার নবী-রসূল আলাইহিমুছ ছলাতু ওয়াসসালামগণের উপর ঈমান আনো। যদি তোমরা ঈমান আনো এবং ভয় কর, তাহলে তোমাদের জন্য মহা পুরষ্কার আছে।”

আয়াত শরীফদ্বয়ে ঈমানের জন্য আল্লাহ পাক উনার সাথে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিও ঈমানকে শর্ত করা হয়েছে। মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক ছাড়া ঈমানের কালিমা অপূর্ণ অর্থাৎ উনার নাম মুবারকই ঈমানের কালিমার মূল। সুবহানাল্লাহ!

মনে রাখতে হবে, ১ লক্ষ ২৪ হাজার, মতান্তরে ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী-রসূল আলাইহিমুছ ছলাতু ওয়াসসালামগণও ঈমান। তবে উনাদেরও ঈমান আমাদের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুনা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও মিশকাত শরীফ-এ বর্ণিত আছে-

عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بنى الاسلام على خمس شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله صلى الله عليه وسلم واقام الصلوة وايتاء الزكوة والحج وصوم رمضان.

অর্থ: ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, দীন ইসলাম মৌলিক পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। (১) এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কোন ইলাহ বা মা’বূদ নেই আর সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার আব্দ (হাবীব, নবী) ও রসূল (২) ছলাত (নামায) কায়িম করা (৩) যাকাত আদায় করা (৪) হজ্জ করা (৫) রমাদ্বান মাসে রোযা রাখা।” সুবহানাল্লাহ!

মু’মিন-মুসলমানগণের ঈমান ও আক্বীদার মূল কালিমাহ শরীফ হলো-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক ছাড়া কোন ইলাহ বা মা’বূদ নেই, সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালা উনার  রসূল।”

কিন্তু বর্তমান এই আখিরী যামানায় দেশে-বিদেশে কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল ওহাবী খারিজী সালাফী আত্মপ্রকাশ করেছে, যারা বলে কালিমা শরীফ-এ হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক সংযুক্ত করা ঠিক নয়, কেননা এ বিষয়ে সরাসরি হাদীছ শরীফ-এর কোন বর্ণনা নেই। নাঊযুল্লিাহ!

মিথ্যাবাদী দাজ্জাল ওহাবী, খারিজী, সালাফী জাহিল ফিতনাবাজ উলামায়ে ‘ছূ’ ও তাদের অনুসারীদের বক্তব্য সম্পূর্ণ কুফরী ও গুমরাহীমূলক। কারণ ঈমানের কালিমা শরীফ-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

হুবহু এভাবেই হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে।  নি¤েœ এ সম্পর্কিত দুইখানা হাদীছ শরীফ পূর্ণ ছহীহ সনদ, মতন ও অর্থসহ উল্লেখ করা হলো,

১ম হাদীছ শরীফ

حدثنا على بن حمشاد العدل املاء ثنا هرون بن العباس الهاشمى ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصارى حدثنا سعيد بن ابى عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال اوحى الله الى عيسى عليه السلام يا عيسى امن بمحمد وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لا محمد ما خلقت ادم ولولا محمد ما خلقت الجنة والنار ولقد خلقت العرش على الماء فاضطرب فكتبت عليه لا اله الا الله محمد رسول الله فسكن. فاذا حديث صحيح الاسناد.

اخرجه الامام الحافظ ابو عبد الله محمد بن عبد الله الحاكم النيشابورى رحمة الله عليه فى المستدرك على الصحيحين كتاب تواريخ المتقدمين ذكر اخبار سيد المرسلين وخاتم النبين محمد بن عبد الله بن عبد المطلب المصطفى صلوات الله عليه وعلى اله الطاهرين. (الجلد ৪ الصفحة ۱۵۸۳ محتصر المستدرك الجلد ۲ الصفحة ۱۰৬۷)

অর্থ: হযরত ইমাম হাফিয আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আলী বিন হামশাদ আদ্ল ইমলা রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত হারূন বিন আব্বাস হাশিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত জানদাল বিন ওয়ালিক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আমর বিন আউস আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

সনদ পরিবর্তন: হযরত ইমাম হাফিয আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত সাঈদ বিন আবূ উরূবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ক্বতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি হযরত সাঈদ বিন মুসাইয়িব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, মহান আল্লাহ পাক জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম! আপনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে যাঁরা উনাকে পেতে চায় তাঁদেরকে নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে। যদি রসূলুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি না হতেন, তাহলে হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে তৈরী করতাম না। আমি যখন পানির উপর আরশ তৈরি করলাম তখন তা টলমল করছিল, যখনই আরশের মধ্যে

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

লিখে দেই তৎক্ষনাত আরশ স্থির হয়ে যায়।” (সুবহানাল্লাহ)

এই হাদীছ শরীফখানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। আখরাজাহুল ইমামুল হাফিয আবূ আব্দিল্লাহ বিন মুহম্মদ বিন আব্দিল্লাহিল হাকিম নীসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ফিল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন-কিতাবু তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন-যিকরু আখবারি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ওয়া খাতামিন নাবিয়্যীন মুহম্মদ বিন আব্দিল্লাহ বিন আব্দিল মুত্তালিবিল মুছত্বফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলা আলিহিত ত্বাহিরীন ৪র্থ খণ্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা (আলমুসতাদরাক লিল হাকিম), মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খণ্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা)

২য় হাদীছ শরীফ

حدثنا ابو سعيد عمرو بن محمد بن منصور العدل ثنا ابو الحسن محمد بن اسحاق بن ابراهيم الحنظلى ثنا ابو الحارث عبد الله بن مسلم الفهرى ثنا اسماعيل بن مسلمة انبأ عبد  الرحمن بن زيد بن أسلم عن ابيه عن جده عن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما افترى ادم الخطيئة قال يارب اسألك بحق محمد لما غفرت لى فقال الله يا ادم وكيف عرفت محمدا ولم اخلقه؟ قال يا رب لما خلقتنى بيدك ونفخت فى من روحك رفعت رأسى فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعلمت أنك لم تضف الى اسمك الا احب الخلق اليك فقال الله صدقت يا ادم انه لاحب الخلق الى ادعنى بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.

اخرجه الامام الحافظ ابو عبد الله محمد بن عبد الله الحاكم النيسابورى رحمة الله عليه فى المستدرك على الصحيحين كتاب تواريخ المتقدمين ذكر اخبار سيد المرسلين وخاتم النبين محمد بن عبد الله بن عبد المطلب المصطفى صلوات الله عليه وعلى اله الطاهرين. (الجلد ৪ الصفحة ۱۵۸۳. الصحيحة ۱/۸۸ مختصر المستدرك ۲/۱۰৬۹. التوسل (۱۱۵). تفسير الدر المنثور ۱/۵۸. كنز العمال ۱۱/৪۵۵)

অর্থ: হযরত ইমাম হাফিয আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবূ সাঈদ আমর বিন মুহম্মদ বিন মানছূর আদ্ল রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবুল হাসান মুহম্মদ বিন ইসহাক বিন ইবরাহীম হানযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আবুল হারিছ আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম ফাহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ইসমাঈল বিন মাসলামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর দিয়েছেন হযরত আব্দুর রহমান বিন যায়িদ বিন আসলাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে, তিনি উনার দাদা থেকে, তিনি ছাহাবী হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে। তিনি বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া ক্ববূলের সময় হলো। তখন তিনি দুয়া করলেন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনার ওয়াসীলায় প্রার্থনা করছি, অতএব আমার দুয়া ক্ববূল করুন। আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনলেন, অথচ এখনো উনাকে দুনিয়ায় প্রেরণ করিনি? জবাবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম বললেন, হে আমার রব! আপনি যখন আমাকে আপনার কুদরতী হাত মুবারকে তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ ফুকে দেন, তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করে আরশের খুঁটিসমূহে লিখিত দেখতে পাই-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

‘আল্লাহ পাক ব্যতীত কোন ইলাহ বা মাবূদ নেই সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার রসূল।’ তখন আমি বুঝতে পারলাম আপনার নাম মুবারকের সাথে যাঁর নাম মুবারক সংযুক্ত আছে তিনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার সবচেয়ে মুহব্বতের হবেন। আল্লাহ পাক বললেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম আপনি ঠিকই বলেছেন, কারণ তিনি সৃষ্টির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে মুহব্বতের। হযরত আদম আলাইহিস সালাম বললেন, আয় আল্লাহ পাক! উনার ওয়াসীলায় আমার প্রার্থনা ক্ববূল করুন। আল্লাহ পাক বললেন, আমি আপনার দুয়া কবূল করলাম। যদি আমার হাবীব মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন তাহলে আমি আপনাকেও তৈরি করতাম না। সুবহানাল্লাহ!

এ হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ।

আখরাজাহুল ইমামুল হাফিয আবূ আব্দিল্লাহ মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ হাকিম নীসাবূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ফিল মুসতাদরাক আলাল ছহীহাইন-কিতাবু তাওয়ারিখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ওয়া খাতামিন নাবিয়্যীন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিবিল মুস্তফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলা আলিহিত ত্বাহিরীন ৪র্থ খণ্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম), আছ ছহীহাহ্ ১ম খণ্ড ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খণ্ড ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াস্সুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিছ ছূয়ূত্বী ১ম খণ্ড ৫৮ পৃষ্ঠা, কাংযুল উম্মাল ১১ খণ্ড ৪৫৫ পৃষ্ঠা।

কুরআন শরীফ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমানিত হলো যে, কেউ যদি ক্বিয়ামত পর্যন্ত শুধু

لا اله الا الله

‘আল্লাহ পাক ব্যতীত কোন ইলাহ বা মা’বূদ নেই’ বলে বিশ্বাস করে সে কখনোই ঈমানদার হতে পারবে না, বরং কাফির ও চিরজাহান্নামী থেকেই যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে

محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

‘হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার রসূল’ এ বাক্যকে মনে প্রাণে মেনে না নিবে। অর্থাৎ মু’মিন-মুসলমানের জন্য ঈমানী পূর্ণ কালিমা হচ্ছে-

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ, “আল্লাহ পাক ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আর সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত রসূল।”

মূলকথা হলো: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক মু’মিন-মুসলমানের ঈমানের মূল। উনার নাম মুবারক ছাড়া ঈমানের কালিমা অপূর্ণ।

আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বত মা’রিফত যিয়ারত ও শাফায়াত নছীব করুন। আমীন।

-আল্লামা মাওলানা সাইয়্যিদ আহমদ শিহাবুদ্দীন মুজাদ্দিদী।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম