আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ

অর্থ: “যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! নিমোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

বিশেষ প্রতিযোগীতা মুবারক

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২১শে শা’বান শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা। সারা দুনিয়াব্যাপী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা প্রতিযোগীতা হয়েছে। যে, ‘নূরে আউওয়াল’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনি হিজাবে আযমতে যে ‘নূর মুবারক’ দেখেছিলেন, ঐ ‘নূর মুবারকখানা’ মহান আল্লাহ পাক উনি যাহির করেছেন। এটা এমন সুন্দর! এই সৌন্দর্য মুবারক ভাষা দিয়া প্রকাশ করা যাবে না। খোদায়ী হুসনেদাদ। ঐ ‘নূর মুবারকখানা’ উনার সবচেয়ে বেশি নৈকট্য লাভ করতে পারে কে? সবাইকে একটা পতাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিযোগীতা শুরু হলো। যখন শেষ হলো, তখন দেখলাম- সবচেয়ে সামনে আমি রয়ে গেছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ওখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও আছেন, সেই ‘নূর মুবারক’ উনার ওখানে আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমার পরে কে আছেন, ঐটা আর আমি বলবো না। আমার পরে একজনকে আমি দেখেছি। এরপরে অনেক লোকজন আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এমন সুন্দর নূর মুবারক! ঐটা তো আর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। উপরের মধ্যে লাইট যেভাবে- এ লাইটটা যেমন ছাদের মধ্যে লাগানো। প্রত্যেকে পতাকা নিয়ে দাঁড়ানো আছে । সামনে বসা আছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন শুরু হলো, কোথায় থেকে শুরু হলো জানি না। শুরু হয়েছে। শেষ যখন, শেষে তখন দেখলাম সবচেয়ে সামনে যে, সেইই আমি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) পিছনে কে আছে আমার দ্বিতীয় ঐটা আর বলা দরকার নেই। যদি কোনো সময় প্রয়োজন হয় বলবো। এখন আর দরকার নেই। মানে খুবই সুন্দর নূর মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কতো যে সুন্দর তা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এখন নিসবত-কুরবত, নৈকট্য বেশি লাভ করতে পারে কে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন উনারা না দিলে তো সম্ভব না। সেটাই বললাম যে, উনাদের নিসবত-কুরবতটা তো মূল বিষয়। কাজেই, সব মিলে একটা প্রতিযোগীতা। এখন কোথা থেকে শুরু হয়েছে বর্ণনা নেই। তবে শেষটা বর্ণনা আছে। এটা ‘নূরে আউওয়াল নূর মুবারক’। যেটা হাক্বীক্বত। খোদায়ী হুসনেদাদ বলা হয়। মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যেই সৌন্দর্য মুবারক দান করা হয়েছে, সেটার হাক্বীক্বতটা। (সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) একটা বড় ‘নূর মুবারক’। খুবই সুন্দর। উজ্জ্বল, নূরানী, অনেক কিছু। যেটা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনি বলছেন যে, উনি ৭০ হজার বছর পর একবার ৭২ হাজার বার দেখছেন, ঐ ‘নূর মুবারক’। (সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সেটাই বললাম যে, আসলে উনাদের নিসবতটাই তো আমাদের মূল। অন্য কিছু তো আমাদের দরকার নেই। এখন যতো নৈকট্য লাভ করা যয়, যতো নিসবতে থাকা যায়।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই নিসবত মুবারক সম্পূর্ণটা আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে এবং হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। আর চতুর্থ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মূল নিসবত মুবারক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আছে; সেটা আলাদা। এগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত নিসবত মুবারক। এছাড়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আলাদা অনেক নিসবত মুবারক রয়েছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

فَاسْتَبِقُوا الْـخَيْـرَاتِ

অর্থ: “তোমরা নেক কাজে প্রতিযোগীতা করো।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৮)

কোথায় প্রতিযোগীতা করবে বলো দেখি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য কতো বড় কতো কিছু করা যায়, এ বিষয়ে প্রতিযোগীতা করতে হবে।

এখন যাহিরী-বাতিনী অনেক রকম প্রতিযোগীতা আছে। বললাম- বাতিনী প্রতিযোগীতা হলো, দেখলাম আমি। সারা দুনিয়ার লোক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করলো। কোথায় থেকে শুরু হয়েছে জানা নেই। শেষটা দেখা গেছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা আছেন এক জায়গায়। উনার সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক যে বলা হয়েছে, ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উপরে। সবার কাছে একটা করে পতাকা। প্রতিযোগীতা শুরু হলো। যখন শেষ হলো, তখন দেখলাম- সবচেয়ে সামনে আমি রয়ে গেছি। একদম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি এরকম। (তখন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ডান হাত মুবারক উনার তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলী মুবারক রেখে বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুল মুবারক উনাকে ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুলীর দ্বিতীয় গিরা পর্যন্ত নিয়ে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি এ রকম)। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

স্পর্শ হয়নি, পাশাপাশি। উপরে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার বরাবর আমার পতাকা মুবারকখানা। এরপর অন্যান্যরা। পিছনে তাকায় দেখলাম- অনেক লোক।

পবিত্র হিযাবে আযমত উনার ‘মহাসম্মানিত নূরে আউওওয়াল মুবারক’ যে বলা হয়, ‘মহাসম্মানিত মূল নূর মুবারকখানা’ উপরে। খুব সুন্দর। এটা ভাষা দিয়ে বলা যাবে না। সুন্দর নূর মুবারক। সূর্যের মতো। ওখানে বসা আছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। উনার বরাবর। ওখানে পৌঁছতে হবে। কে আগে পৌঁছতে পারে। প্রত্যেকের হাতে পতাকা আছে একটা। এটা নিয়ে ঐ নূর মুবারক উনার কাছে এসে পৌঁছতে হবে। উনার পাশাপাশি স্পর্শ করে পাশাপাশি এরকম। একদম কাছাকাছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) স্পর্শ হয়নি, তবে পাশাপশি। যখন পৌঁছলাম, থামলাম, তখন পিছনে দেখলাম অনেক লোকজন। জিন-ইনসান অনেকে আছেন। লাখণ্ডলাখ, কোটি-কোটি আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আছেন, ওখানে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনারাও আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন সবার নাম বললাম না আমি। কাজেই প্রতিযোগীতায় প্রথম হতে হলে তো প্রথম হওয়ার মত কাজ করতে হবে। ঐ রকম কাজ করতে হবে।

মহাসম্মানিত হিযাবে আযমত মুবারক-এ যে মূল মহাসম্মানিত নূর মুবারকখানা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উদাহরণ স্বরূপ- লাইটটা ধরো। এই বরাবর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। পতাকা হলো এটার পাশে আর বরাবর নূর মুবারক।

বুঝতে পারোনি এখন? মহাসম্মানিত নূর মুবারকখানা উপরে তো, এই বরাবর নিচে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা। এখানে পৌঁছতে হবে। আমার পতাকা মুবারক একদম মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনার পাশাপাশি। আর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশাপাশি। উনার সামনে এসে থামলাম। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) স্পর্শ হয়নি, তবে খুব একটা পার্থক্যও ছিলো না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) খুব একটা ফাঁকাও ছিলো না। একদম স্পর্শ করলে তো আদবের খিলাফ হয় না?

(সুওয়াল: সামনা সামনি?)

জওয়াব মুবারক: হ্যাঁ, সামনা সামনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সামনা সামনি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ঐ যে আমি বললাম যে, প্রতিযোগীতা হলো সারা দুনিয়াব্যাপী, ওখানে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন না, আর সবাই ছিলেন। আর সবাই ছিলেন। আমি বলিনি, তো আজকে বলি- আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি, আমার পরে সর্বপ্রথম রয়েছেন আফদ্বনুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনি। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এই কথা শুনে মানুষ অন্যকিছু অর্থাৎ অনেক কিছু মনে করতে পারে। এখানে অনেক কিছু মনে করার কিছুই নেই। যেটা সংঘটিত হয়েছে সেটাই বললাম। (সুবহানা মামাদুহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আরো অনেক বড় বড় ওয়াকেয়া আছে। সব তো বলা যায় না। সব বললে ঈমান ও আক্বীদা শুদ্ধ রাখা অনেকের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। এই যে একটা বললাম, একটুখানি। এটাই কয়জন কতটুকু বুঝলো? হ্যাঁ? এটাই কতটুকু বুঝলো?

কঠিন বিষয় এগুলি। এরকম আরো অনেক ঘটনা মুবারক আছে। সব তো আর সবাই বুঝবে না।” (সুবহানা মামাদুহ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ  (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তথা সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেছিলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নিয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) রাখলেন। রাখার পর যখন আমি বললাম, আরো আপনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত দান করুন, যাতে আমি আরো বুঝতে পারি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে যেতে হবে। আমি বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আপনাকে ছেড়ে জুদা হতে পারি না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক) উনার কাছে আমাকে পৌঁছালেন উনিসহ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ) আমি, আর উনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক-এ)। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অনেকক্ষণ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৪৮ ঘন্টা এই অবস্থা বা হাল ছিল।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে যিনি খ্বলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ছাদিক্ব ইবনে ছিদ্দীক্ব।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম