(ধারাবাহিক)
নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের ন্যায় আউলিয়া-ই-কিরামগণকেও মহান আল্লাহ্ পাক বিভিন্ন ভাবে সান্তনার বাণী শুনিয়ে থাকেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগীতা করেন। কাফির-মুশরিক, মুনাফিক এবং উলামায়ে “ছূ”দের অমানুষিক দুঃখ-কষ্ট, অপবাদ-অপব্যাখ্যার মুকাবিলায় সু-সংবাদ প্রদান করে দ্বীনের প্রচার-প্রসারের ধারাকে অব্যাহত রাখেন। তাঁদের প্রতি মুহব্বত-ভালবাসা, সন্তুষ্টি-রেজামন্দী প্রকাশ করে সান্তনা প্রদান করতঃ তাদের আত্মাকে এত্মিনান বা প্রশান্তি দিয়ে থাকেন। আল্লাহ্ পাক বলেন, “আল্লাহ্ পাক শুধু এজন্যই সুসংবাদ দিয়েছেন। যেন তোমাদের অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।” (সূরা আনফাল/১০) এ আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাস্সিরীন, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্ হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির একটি আশ্রয় স্থল আছে। আউলিয়া-ই-কিরামগণের আশ্রয় স্থল হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর গায়িবী মদদ এবং সুসংবাদ থেকে উজ্জিবীত হয়েই দ্বীনের প্রচার প্রসারের মত সীমাহীন কষ্ট-তাকলীফ অকাতরে বরণ করে থাকেন। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হলে একটু শীতল বাতাস যেমন সবকিছুকে ঠান্ডা করে দেয় তদ্রুপ কাফির-মুশরিক, মুরতাদ, মুনাফিক, উলামায়ে “ছূ”দের দেয়া সীমাহীন অমানুষিক কষ্ট-তাকলীফ আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সু-সংবাদের দ্বারা দূরিভূত হয়ে যায়। দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জজ্বা ও প্রেরণা জন্মে। আল্লাহ্ পাক বলেন, “সর্বপ্রকার সাহায্য আল্লাহ্ পাক-এর তরফ থেকে। আর তিনি মহা পরাক্রমশালী ও হিক্বমতওয়ালা।” (সূরা আনফাল/১০) আল্লাহ্ পাক আরো বলেন, “নিশ্চয়ই যারা বলে ‘আল্লাহ্ পাক আমাদের রব’ এবং এ পথে ইস্তিকামত বা অটল রয়েছে তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।” (সূরা আহ্কাফ/১৩) আল্লাহ্ পাক অন্যত্র বলেন, “নিশ্চয়ই যারা বলে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ পাক; অতঃপর তাতে ইস্তিকামত (অবিচল) থাকে, তখন তাদের কাছে ফেরেশ্তা নাযিল হয় এবং বলে তোমরা ভয় করনা, চিন্তা করনা এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সু-সংবাদ শোন। আমরা তোমাদের ইহ্কাল ও পরকালের সাথী বেশে হিফাযত করবো।” (সূরা হা-মীম-সিজদা/৩০-৩১)
সম্মানিত পাঠক! আল্লাহ্ পাক-এর তরফ থেকে ফেরেশ্তাগণের মাধ্যমে সে সু-সংবাদ প্রদান কখন ও কিভাবে আউলিয়া-ই-কিরামগণ প্রাপ্ত হয়েছেন। নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম, ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং পূর্ববর্তী আউলিয়া-ই-কিরাম কর্তৃক পরবর্তী আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম তথা ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল মামদুহ্ হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী কিভাবে সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়েছেন তা যথাস্থানে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্। তবে এখানে এতটুকুই বলে রাখি যে, আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সে সুসংবাদের ধারা হালজামানার মুজাদ্দিদ, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ক্ষেত্রে অব্যাহত আছে। তাঁর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধীসমূহ তারই সাক্ষ্য বহন করে। এ মহান ওলী দুনিয়াতে তাশরীফ আনয়নের দিন হতে আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এত অধিক সু-সংবাদ প্রাপ্ত হয়েছেন যা নিরূপন করা অসম্ভব। যদি তাঁর খোশ-খবরী এবং মর্যাদা-মর্তবার বিষয়ে কিতাব প্রণয়ন করা হয় তবে তা হবে বিশাল সমুদ্রের তুলনায় এক বিন্দুর ন্যায়। য (চলবে)
-মাওলানা, মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম, কুড়িগ্রাম।
“ফযলুর জিহালতীর জবাব” সত্যিই রাজারবাগীদের নিকট ‘দ্বীনে রেযাখানী’ নিরাপদ নয়
ছবিকে হালালকারী আজকের নামধারী আলিমরা মূলতঃ ‘মাকতুবাত শরীফে’ উল্লিখিত উলামায়ে “ছূ”দের উত্তরসূরী