ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪৮ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

তিনি ইমামুল মুহাদ্দিছীন তথা মুহাদ্দিছগণ উনাদের ইমাম (২)

ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দুনিয়ার যমীনে খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার এক মহান নিদর্শন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক উনার সম্মানিত অদ্বিতীয় আমানতদার। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন এবং নবী-রসূল নন। এছাড়া যত মর্যাদা-মর্তবা মুবারক রয়েছে সব মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের অধিকারী হচ্ছেন অনুসরণীয়-অনুকরণীয় সকল ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম চিরন্তন সত্য এ বিষয়টির সর্বান্তকরণে, সুস্পষ্টরূপে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পক্ষান্তরে উলামায়ে ‘সূ’, পরশ্রীকাতর, দাজ্জালে কায্যাব, দুনিয়াদার আলিম তারা বিনা দলীলে মনগড়ভাবে তা অস্বীকার করেছে। ইতিহাসের একজন সাধারণ ছাত্রও এই চিরসত্য বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক অবগত যে, তৎকালীন হক্কানী-রব্বানী সকল আলিম, ইমাম, মুজতাহিদগণ এই মহান ইমাম, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুউচ্চ মর্যাদা, বুযুর্গী সম্মানের সামনে নতশীর হয়েছেন। এমনকি যারা বিভ্রান্তিতে পড়ে উনার প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন হয়েছিল তারাও উনার ইলিম-আক্বল সমঝ, আচার-আচরণ এবং আল্লাহভীতি দেখে তওবা ইস্তিগফার করে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। পরবর্তীতে জীবনে আর কখনো বিরোধিতা করেননি। বরং উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে নিজেকে ধন্য মনে করেছিলেন।

হযরত হাফিয যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সহ অনুসরণীয় সকল ঐতিহাসিকগণ উনার মুবারক আলোচনা “ইমামে আ’যম আবু হানীফা” শিরোনাম দিয়ে শুরু করেছেন।

উনারা সবাই উনাকে ছিক্বাহ, তাবিয়ী, আলিমে বা আমল, শ্রেষ্ঠ আবিদ, সর্বশ্রেষ্ঠ যাহিদ ও সর্বজ্ঞানে মহাজ্ঞানী এবং সম্মানিত দ্বীনের ধারক ও বাহক মনে করতেন।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সবচেয়ে উঁচু সনদ অহদিয়্যাত:

উছূলে হাদীছ শরীফ তথা হাদীছ শরীফ উনার মূলনীতিতে উঁচু সনদের দিক থেকে অহদিয়্যাত একটি তবকা বা স্তর রয়েছে। আর অহদিয়্যাত ঐ সকল হাদীছ শরীফকে বলা হয় যাতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী কারো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি কোনো হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন। আর তা তখনই সম্ভব, যখন তিনি তাবিয়ী হবেন।

এই অহদিয়্যাত-এর দুর্লভ ও উন্নত তবকা বা স্তর ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল মুজতাহিদীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারই শুধু নছীব হয়েছে। অন্য কোনো ইমাম ও মুহাদ্দিছ উনাদের কারো ভাগ্যে জুটেনি। উনার এমনি সৌভাগ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাঝে শুধুমাত্র একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মধ্যস্থতা রয়েছে। “জামিউল মাসানিদিল ইমামিল আ’যম-২/৩৫৩ পৃষ্ঠায়, গ্রন্থকার হযরত আল্লামা খাওয়ারেযমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছয় জন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং একজন মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ। তা নিম্নরূপ-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَنس بِنْ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِر بِنْ عَبْدِ الله رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بِنْ اَبِىْ اَوْفى رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَائِشَةَ بنت عجرد رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهَا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ واثلة بن الاسفع رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭