ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪২ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

বুদ্ধিমত্তা

ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি। অসাধারণ উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন। যে কেউ যখনই কোন প্রশ্ন করতেন তা দুনিয়াবী হউক বা উখরোবী হউক তিনি তৎক্ষণাৎ তার জাওয়াব দিতে পারতেন। সুবহানাল্লাহ!

. একদিন শহরে একটি ময়ুর চুরি হয়। ময়ূরের মালিক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন। তিনি নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে দাঁড়িয়ে বললেন, ময়ূর চোরের লজ্জা করে না যে, সে নামায পড়ে আর তার মাথায় ময়ূরের পালক লেগে থাকে? একথা শুনে এক ব্যক্তি মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। তখন তিনি উক্ত ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। সে চুরির কথা স্বীকার করে এবং ময়ূরের মালিককে তা ফিরিয়ে দিল। সুবহানাল্লাহ!

. একদিন এক ব্যক্তি এসে উনাকে বললো, শুনেছি, আপনি নাকি সব প্রশ্নেরই তাৎক্ষনিক জাওয়াব দিয়ে থাকেন। ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ইহা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার দয়া, দান, ইহসান। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই তা দান করেন। তুমিও প্রশ্ন করতে পারো। তখন উক্ত ব্যক্তি বললো, বলুন তো, ইস্তিঞ্জা মিষ্ট নাকি তিক্ত? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মিষ্ট।

ঐ ব্যক্তি পূনরায় বললো, আপনি তা কিভাবে জানতে পারলেন? তিনি বললেন, এইভাবে জানতে পারলাম যে, মাছিরা সবসময় মিষ্ট জিনিষের উপর বসে। তিক্ত জিনিষের উপর বসে না।

ঐ ব্যক্তি উনার তাৎক্ষণিক জাওয়াব শুনে আশ্চর্য হয়ে গেল। উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষন করা থেকে বিরত রইল। সুবহানাল্লাহ!

. হযরত বিশর ইবনে ওয়ালিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন প্রতিবেশী ছিলেন যুবক। সেই যুবক উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন। উনার ইলিমের মজলিসে হাজির থাকতেন। একদিন সে যুবক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারকে আরয করলেন, আমি বিবাহের জন্য কুফার অমুক গোত্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা আমার নিকট সাধ্যাতীত মহর দাবী করেছে। আর আমার তো বিবাহের খুবই প্রয়োজন।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তুমি তাদের মতের উপর রাজী হয়ে যাও। যুবকটি রাজী হলো। বিবাহ সম্পন্ন হলো। বিবাহের পর যুবকটি আবার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমি তাদেরকে বলেছি, আমার নিকট এখন যে পরিমান মহর আছে তা নিয়ে নিন বাকী অর্থ পরে পরিশোধ করবো। কিন্তু তারা তাতে রাজী না। তারা বলেছে, যখন সম্পূর্ণ মহর আদায় হবে তখন মেয়েকে স্বামীর কাছে পাঠানো হবে। তার পূর্বে পাঠানো হবে না।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করো। কর্জ নিয়ে তাদের মহর আদায় করে দাও তাহলে বিষয়টি সহজ হবে। একথা বলে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনিই তাকে কর্জ দিলেন। তিনি কর্জকৃত অর্থ দিয়ে মহর আদায় করে স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিলেন।

তারপর যুবকটি ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট আসলেন। তিনি তাকে বললেন, তুমি তাদেরকে এই কথা জানিয়ে দাও যে, আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য একটি শহরে যেতে যাচ্ছি। স্ত্রীকেও সাথে নিয়ে যাব। পরিকল্পনা মুতাবিক সে দুটি উট ভাড়া করলো যে, স্ত্রীসহ খোরাসানে যাবে। যুবকটির শ্বশুর বাড়ীতে এই সংবাদ পৌঁছে গেল। ফলে তারা পেরেশান হয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারকে হাজির হলো। তারা অভিযোগ দায়ের করে ফতওয়া চাইলো।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, স্ত্রীকে নিয়ে যে কোন জায়গায় যাওয়ার অধিকার তার আছে। সে ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে নিয়ে সফরে যেতে পারবে।

তারা বললো, না এটা কখনো হতে পারে না। আমরা তাকে কখনই যেতে দিবো না।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তাহলে তোমরা তাকে রাজী করিয়ে নাও। আর তার কাছ থেকে নেয়া অর্থ তাকে ফেরত দাও। লোকেরা তাতে সম্মত হয়ে চলে গেলো। এদিকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি যুবককে ডেকে বললেন, তারা তোমার কাছ থেকে নেয়া মহর ফেরত দিতে রাজী হয়েছে। অতিরিক্ত মহরের দাবীও ছেড়ে দিয়েছে। যুবক বললো, আমাকে মহর ছাড়া আরো অতিরিক্ত কিছু অর্থ দিতে হবে। অন্যথায় আমি তাদের কথায় সফর থেকে বিরত থাকবো না। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি এখন বলো, তারা যা কিছু ফেরত দিতে চাচ্ছে তা ফেরত নিতে তুমি সম্মত কিনা? যদি সম্মত না হও তাহলে স্ত্রীর এই দাবী করার অধিকার আছে যে, তুমি তার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছ। কাজেই তার ঋণ আদায় করা ব্যতীত তাকে নিয়ে তুমি কোথাও যেতে পারবে না।

তখন যুবকটি বললো, হায় মহান আল্লাহ পাক! তারা তো এখনো আমার একথা শুনতে পারেনি। তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। যাক আমি তাদের কাছে কিছুই চাবো না। আর ছফর করা থেকেও বিরত থাকলাম। তারপর শ্বশুর বাড়ী থেকে যা কিছু দেয়া হলো সে তা গ্রহণ করলো। এভাবেই বিষয়টি সমাধান হয়ে গেলো। (তাযকিরাতুন নু’মান-৩৩৭)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭