ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার

প্রতি আদব প্রদর্শন

হযরত আমর ইবনে জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ! আপনি দয়া করে সেই কালিমাটি সম্পর্কে বলুন, যার প্রথমাংশ কুফর এবং শেষাংশ ঈমান।”

সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুহসিনীন, ইমামুল মুত্তাক্বীন, ফখরুল আরিফীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- যখন বান্দা বলেلا اله  (লা ইলাহা) তখন সে কুফরী করে। আর যখন বলে الا الله (ইল্লাল্লাহ) তখন ঈমানদার হয়।

তিনি ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ্ দ্বীন, ইমামে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দিকে লক্ষ্য করে আরো বললেন- হে নু’মান বিন ছাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমার পিতা আমার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বাতিল ক্বিয়াস করে স্বীয় মতামত প্রকাশ করেছে ইবলিস। মহান আল্লাহ পাক তাকে বলেছিলেন যে,

ما منعك الا تسجد اذ امرتك

অর্থ: “আমি তোমাকে সিজদা করতে বললাম, তারপরেও তুমি সিজদা করলে না কেন?” (পবিত্র সূরা আ’রাফ: পবিত্র আয়াত শরীফ১২)

তখন সে বাতিল ক্বিয়াস করে স্বীয় মত পোষণ করতঃ বলেছিল-

انا خير منه خلقتنى من نار وخلقته من طين

 অর্থ: “সে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম হতে উত্তম। কারণ, তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন থেকে। আর হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে।” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)

কাজেই, যে ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন উনার হুকুম-আহকামের ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার খিলাফ, মনগড়া ক্বিয়াস করে স্বীয় মত প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতের দিন ইবলিসের সাথী করবেন। কেননা, এ ব্যাপারে সে তাকে অনুসরণ করে বাতিল ক্বিয়াস করেছে। নাউযুবিল্লাহ! (হিলয়াতুল আউলিয়া-৩/২২৯)

কাজেই, এ ব্যাপারে নিজে সাবধান থাকবেন এবং অনুসারীদেরকেও সাবধান থাকার তাকিদ দিবেন।

উল্লেখ্য যে, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘ইমামুল মুসলিমীন’ লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)। যিনি সেই সময়েও সারা দুনিয়ায় ‘ইমাম আ’যম’ হিসেবে মাশহূর বা বিখ্যাত। এমনকি তিনিই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ ক্বিয়াসকে পরিত্যাজ্য বলে ফতওয়া দেন। উপরš‘ তিনি যদি যবান খুলেন তাহলে উনার উপর কথা বলার ভাষা কারো নেই। সবাই উনার ইলম ও হিকমতের কাছে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য। সেই মহান ব্যক্তিত্ব তিনি উনার শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সামনে কোন টু শব্দ করলেন না। শুধু অবোধ শিশুর মত বসে মাথা মুবারক নেড়ে সম্মতি জ্ঞাপন করলেন। কেননা সুলতানুল আউলিয়া, ইমামুল মুত্তাক্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি একদিকে ছিলেন আওলাদে রসূল তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বংশধর। অপরদিকে ছিলেন সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা। উভয় দিক দিয়েই তিনি ছিলেন চরম-পরম সম্মানিত, মর্যাদাবান ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া তিনি আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ হক্বদার-মিছদাক ছিলেন। উনি যথাযথভাবে সেগুলো আমল করেছেন।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى

অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। (আর তোমাদের পক্ষ্যে তা দেয়াও সম্ভব নয় তবে যেহেতু তোমাদের ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করতে হবে, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে হবে সেহেতু), তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে তোমরা সদাচারণ করবে।”

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩২

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪