ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৪ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া ও পরহেযগারীতা

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

হযরত মক্কী ইবনে ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘আমি কুফাবাসীদের সাথে ওঠা-বসা করেছি অনেক; কিন্তু আমি হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে অধিক মুত্তাকী কাউকে দেখিনি।’ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এরূপই বলেছেন। (আল-কামার : পৃষ্ঠা ৩৫৮)

হযরত ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘আমি হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেছি এবং উনার কাছ থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ শুনেছি। মহান আল্লাহ পাক উনার কসম করে বলছি, যখনই আমি উনার চেহারা মুবারক উনার মধ্যে তাকিয়েছি, তখনই দেখেছি যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে অত্যন্ত কাতর আছেন।’ (আল-কামার : পৃষ্ঠা ৩৫৯)

আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘আমি হযরত সুফিয়ান সাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললাম, হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গীবত করা থেকে কত দূরে অবস্থান করেছেন, আমি তো উনাকে উনার দুশমনেরও গীবত করতে শুনিনি।’ তখন তিনি বললেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী ও সমঝদার ছিলেন। সুতরাং এমন মূর্খতা কেন করবেন, যা উনার নেক আমলসমূহকে খতম করে দিবে?’ (আল-কামার : পৃষ্ঠা ৩৬৩)

আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত ইবনুল মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আলোচনা মুবারক করতে গিয়ে একথাও বলেছেন- ‘এরূপ ব্যক্তির তাক্বওয়া সম্পর্কে কত আর বলা যাবে, যাঁর মুবারক সামনে দুনিয়ার ধন-সম্পদ পেশ করা সত্ত্বেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি সরকারি সর্বোচ্চ পদ গ্রহণের জন্য উনাকে আহ্বান করা হয়েছে, কিন্তু তাক্বওয়ার প্রয়োজনে তাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেজন্য অন্যায়ভাবে উনাকে দোররা মারা হয়েছে, তাতেও তিনি ছবর ইখতিয়ার করেছেন তবুও সেই পদ গ্রহণ করেননি।’ (উকূদুল জিমান : পৃষ্ঠা ২৩৯)

হযরত হাসান ইবনে ছালেহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক বড় মুত্তাক্বী ছিলেন, হারাম ও সন্দেহজনক বস্তু থেকে বিরত থাকতেন। আমি কখনও কোন ফক্বীহকেও এত বেশি নিজের নফস এবং পবিত্র ইলম উনার হিফাযতকারী হিসেবে দেখিনি। উনার সকল প্রস্তুতিই ছিল কবরের জন্য।’ (উকূদুল জিমান : পৃষ্ঠা ২৩৯)

হযরত সাহল ইবনে মাযাহিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘আমরা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট যেতাম, কিন্তু উনার গৃহে চাটাই ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেতাম না।’ (উকূদুল জিমান : পৃষ্ঠা ৩০৪)

হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “আমি খলীফা হারুনুর রশীদের দরবারে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ হযরত আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেখানে প্রবেশ করলেন। খলীফা হারুনুর রশীদ উনাকে বললেন, ‘আপনি আমার কাছে হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আখলাক বয়ান করুন।’ তিনি বললেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হারাম করা বিষয় থেকে অনেক দূরে অবস্থান করেন। দুনিয়াদার লোকদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকেন। গভীর নীরবতায় তিনি সর্বদা নিমজ্জিত এবং সর্বদা ধ্যান ও চিন্তায় রত থাকেন। তিনি অনর্থক ও নিষ্ফল কোন কথা বলেন না। যখন উনাকে কোন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন জানা থাকলে তিনি জাওয়াব দেন নতুবা নয়। আমীরুল মু’মিনীন! উনার সম্পর্কে আমার জানা আছে যে, তিনি উনার নফস এবং পবিত্র দ্বীন উনাকে হিফাযত করেন। মানুষের দোষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিজের সংশোধনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। যার আলোচনা করেন, তার ভালো দিকটাই আলোচনা করেন।’ খলীফা হারুনুর রশীদ বললেন- এটাই ছালিহীন উনাদের আখলাক্ব মুবারক। (মানাকিবে হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি : পৃষ্ঠা ৯)

হযরত কাজী শারীক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অধিকাংশ সময় নীরবে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ফিকাহ উনার গভীর দৃষ্টি ছিল। পবিত্র ইলম ও আমলের আলোচনায় অনেক সূক্ষ্ম পবিত্র দলীল উনার মাধ্যমে সূক্ষ্ম ফলাফল গ্রহণ করতেন। যারা উনার নিকট শিক্ষা লাভ করতো, তিনি নিজেকে তাদের মধ্যে সর্বদা নিয়োজিত রাখতেন। যদি কোন ছাত্র গরীব হতো, তবে তিনি ওই ছাত্র এবং ওই ছাত্রের পরিবারের জন্য উনার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক খরচ বহন করতেন এবং মাসিক ভাতা বরাদ্দ করতেন, যেন সে একাগ্রচিত্তে ইলম হাছিল করতে পারে। অতঃপর যখন সে শিক্ষা সমাপ্ত করতো, তখন তিনি ওই ছাত্রকে বলতেন, ‘হালাল ও হারামের ইলম হাছিল করে তুমি অনেক সম্পদ অর্জন করেছো।’ হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি মানুষের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করতেন না। মানুষের সঙ্গে কথাবার্তাও কম বলতেন।’ (উকূদুল জিমান : পৃষ্ঠা ২০৬)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩২

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫