ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২১৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

বাহাছ বা তর্কযুদ্ধে ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি

ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে ফিক্বাহর প্রতি মনোনিবেশের পর পরই খারিজীদের সাথে বাহাছ বা তর্কযুদ্ধ হয়। অবশ্য বাতিল ফিরক্বা সবার সাথেই উনার বাহাছ হয়। আর সেই বাহাছে সবাই পরাজিত হয়। এমনকি কাফির-নাস্তিকদেরকেও তিনি বাহাছে পরাস্ত করে ইসলামের শাশ্বত গৌরব ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা খারিজীদের সাথে সংঘটিত বাহাছের কথা এখানে বর্ণনা করবো, যা খারিজীদের মতবাদ ‘কবীরা গুনাহকারী কাফির হয়ে যায়’ বিষয়ে হয়েছিল।

সেদিন খারিজীদের একটি দল ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মসজিদে এসে উনার মজলিসে বসে বলেছিল, মসজিদের দরজায় দুটি জানাযা হাযির। একটি হলো এক মদ্যপায়ীর, যে অধিক মদপানের কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে। দ্বিতীয়টি হলো এক ব্যভিচারিণীর, যে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল এবং সন্তানসম্ভবা হওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এরা কোন ধর্ম ও গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল? এরা কী ইহুদী? বলা হলো- না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কী খ্রিস্টান? জবাবে বলা হলো- না। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, তারা তো অগ্নিপূজক নয়? বলা হলো- না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সবশেষ তাদের সম্পর্ক কোন দ্বীনের সাথে ছিল? খারিজীরা বললো:

لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

-এর সাথে সাক্ষ্যদাতা মিল্লাতের সাথে। ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ঠিক আছে। বলুন, কালিমা ত্বয়্যিবার শাহাদাত কী ঈমানের এক-তৃতীয়াংশ, এক-চতুর্থাংশ, না এক-পঞ্চমাংশ? তারা বললো, ঈমান তো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় না।

ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে এই সাক্ষ্যের সাথে ঈমানের সম্পর্ক কী? জবাবে খারিজীরা বলল, পূর্ণাঙ্গ ঈমান। ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তারপর এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশ্নের কী অর্থ থাকতে পারে, যাদের মু’মিন হওয়ার বিষয়ে আপনারা নিজেরাই স্বীকৃতি দিচ্ছেন? খারিজীরা বললো : এখন আমাদের বলুন, এরা কী জান্নাতী না জাহান্নামী? ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমি তাদের বিষয়ে সে কথাই বলবো যা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি এদের চেয়ে আরও জঘন্য অপরাধী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে বলেছিলেন-

 فمن تبعنى فانه منى ومن عصانى فانك غفور رحيم

অর্থ : “যে আমার অনুসরণ করবে, সেই আমার দলভুক্ত কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে আপনি তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।” (সূরা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৩৬)

আর ওই কথাই বলবো যা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এদের চেয়েও বড় গুনাহগার সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেছিলেন-

ان تعذبـهم فانـهم عبادك وان تغفر لـهم فانك انت العزيز الحكيم.

অর্থ : “আপদি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন তবে আপনি তো পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।” (সূরা মায়িদা : আয়াত শরীফ ১১৮)

আর যখন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্প্রদায় বলেছিল-

انؤمن لك واتبعك الارذلون.

অর্থ : “আমরা কী আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো অথচ ইতর জনেরা আপনার অনুসরণ করবে।” (সূরা শূ’আরা : আয়াত শরীফ ১১১)

তখন তিনি বলেছিলেন, “তারা কী করতো তা আমার জানা নেই। তাদের হিসাব নেয়া তো আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার কাজ, যদি তোমরা বুঝতে। আর মু’মিনদের তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়।” (সূরা শু’আরা : আয়াত শরীফ ১১২-১১৪)

ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কথারই পুনরাবৃত্তি করবো। তিনি বলেন, “তোমাদের দৃষ্টিতে যারা হেয়, তাদের সম্বন্ধে আমি বলি না যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে কখনই কল্যাণ দান করবেন না, তাদের অন্তরে যা আছে, তা মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্যক অবগত। তাহলে আমি অবশ্যই যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো।” (সূরা হূদ : আয়াত শরীফ ৩১)

খারিজীরা ইমামুল মুসলিমীন, ইমাম আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পূর্ণাঙ্গ জবাব শুনে চুপ হয়ে গেলো।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৮

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩২