ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

শিক্ষা জীবন

পূর্ব প্রকাশিতের পর

তিনি ছিলেন তীক্ষ্ন ধীশক্তির অধিকারী। একবার যা শুনতেন জীবনে কখনো তা ভুলতেন না। সুবহানাল্লাহ!

উনার পিতা হযরত সাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরহেযগার, মুত্তাক্বী-আমানতদার ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী। উনার ব্যবসা ছিলো রেশমী বস্ত্রের। সেই সুবাদে বাল্যকালেই হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে এ ব্যবসা শিখেছেন এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত তা ত্যাগ করেননি। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে যে, æজান্নাতে যদি কোন ব্যবসা থাকতো তাহলে সেটা হতো কাপড়ের ব্যবসা।”

তিনি যৌবনের প্রথম দিকেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র ছোহবত বা সান্নিধ্য পান। ফলে ইলিম ও হিকমতের সমস্ত শাখায় গভীরভাবে বিচরণ করেন। পরিশেষে ইলমে হাদীছ ও ইলমে ফিক্বাহ-এর গভীর প্রজ্ঞা লাভ করে ইরাকের শ্রেষ্ঠ ফক্বীহ এবং সারাবিশ্বে ‘ইমামে আ’যম’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।

একদিনের ঘটনা ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক তখন বিশ বছর। তিনি কুফা নগরীর বিখ্যাত ইমাম হযরত শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীর নিকট দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে সাক্ষাৎ হলো।

হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কিছুক্ষণ উনার চেহারা মুবারক-এর দিকে তাকিয়ে রইলেন। পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার যাতায়াত কোথায়?

উল্লেখ্য যে, হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেহারা মুবারক-এ ইলিম-এর নূর বিচ্ছুরিত হতে দেখে মনে করেছিলেন যে, তিনি একজন তলিবুল ইলিম। কোন বিশিষ্ট ইমাম, মুজতাহিদ কিংবা কোন আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত ইখতিয়ার করেন। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রশ্নের উত্তরে বললেন, æআমি ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাজারে যাতায়াত করি।”

হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, আমি জানতে চাচ্ছি যে, আপনি কার ছোহবত ইখতিয়ার করেন তথা কার নিকট থেকে ইলিম হাছিল করেন?

ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উত্তরে বললেন, আমি এখন উল্লেখযোগ্য কোন ব্যক্তিত্বের ছোহবত ইখতিয়ার করি না তথা ইলিম হাছিল করি না। তখন হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমি তো আপনার চেহারা মুবারক-এ ইলিমের নূর বিচ্ছুরিত হতে দেখছি।

কাজেই, আপনি ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে কামিয়াব করবেন।

হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপদেশ ও দোয়া ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপর বিশেষ তা’ছীর (প্রভাব বিস্তার) করলো। তিনি ইমাম, মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী হলেন। সেই দিনেই ইমাম, মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করা শুরু করলেন। সুবহানাল্লাহ!

ইমাম আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশেষ ছাত্র হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, একবার  আমি ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতে আরয করলাম। আপনি কার থেকে ফিক্বাহ অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন? তিনি বললেন, শক্তি সামর্থ্য ও সুযোগ-সুবিধা চিরস্থায়ী মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। সুতরাং উনারই জন্য সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। যখন আমি ইলিম হাছিল তথা জ্ঞান অন্বেষণে মনোনিবেশ করলাম, তখন আমি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উপর এক এক করে দৃষ্টিপাত করলাম এবং এ সবের উপকারিতা ও পরিণামের উপর চিন্তা করলাম। আমার মন চাইলো ‘ইলমে কালাম’-এর উপর বিশেষ লেখা-পড়া করবো। তারপর চিন্তা করে দেখলাম এর পরিণাম ভাল নয়। আর এতে উপকারিতাও সামান্য। এ বিষয়ে গভীর পা-িত্য অর্জন করলেও এ বিষয়ে সঠিক বর্ণনা করা সহজসাধ্য নয়। তদুপরি এ বিষয়ের উপর নানা ধরনের আপত্তি ও অনুযোগ উত্থাপিত হয়ে থাকে এবং এ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞকে বিদয়াতী ও ভ্রষ্ট বলা হয়ে থাকে।

তারপর আমি আরবী সাহিত্য ও নাহু-ছরফ (ব্যাকরণ)-এর উপর দৃষ্টিপাত করলাম। এতে আমি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম যে, অবশেষে এ শাস্ত্রবিদদের বসে বসে ছাত্রদের সাহিত্য ও ব্যাকরণের পাঠদান ব্যতীত কোন কাজ থাকে না। তারপর আমি কবিতা ও পদ্য শাস্ত্রের দিকে মনোনিবেশ করলাম। এতে আমার এ শাস্ত্রের মূল উদ্দেশ্য কারো প্রশংসা ও কুৎসা রটনা এবং অপ্রয়োজনীয় বাক-চাতুরতা ও দ্বীনের ক্ষতি ভিন্ন কিছু নয় বলে ধরা পড়লো।

তারপর আমি ক্বিরাআত ও তাজবীদের বিষয়ে চিন্তা করলাম। আমি বুঝলাম, এ বিষয়ে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনের পর অবশেষে কয়েকজন যুবক সমবেত হয়ে আমার নিকট কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মর্মবাণী ও সার্বিক অর্থ, ব্যাখ্যা তার নিকট রয়ে যাবে এক দুর্ভেদ্য বিষয় হিসেবে।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭