ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-২ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২১৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

তা’রীফ বা পরিচিতি:

ইমামুল মুসলিমীন, ইমামে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৮০ হিজরী সনে বিলাদত শরীফ লাভ করেন। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আশরাফুল আওলিয়া, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এটাকেই মু’তাবার বা সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য বলেছেন। আল্লামা আব্দুল কাদির কুরশী এবং আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী আল হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ অধিকাংশ ইমাম, মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (তাবয়ীদুস ছহীফাহ, জাওয়াহিরুল মুদ্বিয়্যাহ লিস সুয়ূতী)।

উনার মুবারক নাম: নু’মান। কুনিয়াত বা উপনাম আবু হানীফা। ইমামে আ’যম লক্বব এবং আবু হানীফা উপনামে তিনি মাশহূর বা বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন। উনার পিতার নাম: হযরত সাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি। দাদার নাম মুবারক: হযরত যুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার পিতা এবং দাদা আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার বরকতপূর্ণ ছোহবত লাভ করেছিলেন। উনার পিতা বাল্যকালে উনার দাদার সাথে অসংখ্যবার উনার ছোহবতে গিয়েছিলেন এবং বিভিন্নভাবে খিদমত করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উনার খিদমতে ফালুদা নামক উন্নতমানের আহার্য পেশ করতেন। উনার দাদা হযরত যুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার এক ঈদের দিনে খলীফাতুল মুসলিমীন, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিদমতে অতি উন্নতমানের মিষ্টান্ন পেশ করলেন। ইহাতে তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন এবং বললেন, “আমাদের এখানে প্রতিদিনই ঈদ।” তিনি হযরত সাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার সন্তান-সন্ততির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেছিলেন। সেই দোয়ার প্রতিফলনই ঘটেছিল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক জীবন ও কর্মের পরতে পরতে।

তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠতম তাবিয়ী। ২৫/২৬ জন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দিদার লাভে ধন্য হয়েছিলেন। সাতজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নিকট থেকে হাদীছ শরীফ রেওয়ায়েত বা বর্ণনা করেছেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে তিনটি, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে একটি। হযরত ওয়াছিলাহ ইবনুল আসকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে একটি, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে একটি, হযরত আয়িশা বিনতে আজরাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে একটি এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে একটি। (তাবয়ীদুস ছহীফাহ)।

অত্যন্ত পরহিযগার, মুত্তাক্বী, আল্লাহওয়ালা এবং প্রভাব প্রতিপত্তিশালী পরিবারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন। সে পরিবারের অর্থ-সম্পদের প্রাচুর্যতা ছিল প্রশংসনীয় ও অতুলনীয়। ইলিম-হিকমত ও ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনের পূণ্যভূমি কুফায় তিনি বিলাদাত শরীফ লাভ করেন। সর্বোপরি উনার পিতা হযরত সাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন পারস্য বংশোদ্ভূত রাজন্যবর্গের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি কুফার তায়মুল্লাহ ইবনে সালাবাহ গোত্রের মিত্র ছিলেন বলে উনাকে ‘তায়ামুল্লাহ’ও বলা হয়। (আখবারু ইমাম আবু হানীফা ওয়া আসহাবুহু)

বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবন:

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত এবং অসাধারণ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। জীবনের অধিকাংশ সময়ই ইলিম ও হিকমতের পুণ্যভূমি কুফা নগরীতে বসবাস করেন। ইলিম আহরণ, বিতরণ এবং গবেষণায় জীবন কুরবান করেন। উনার দাদা ও পিতা অত্যন্ত প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী ব্যবসায়ী এবং খাঁটি দ্বীনদার, আল্লাহওয়ালা ছিলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে এ পরিবারের অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক ছিল।

হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শৈশবকালেই পবিত্র কুরআন শরীফ হিফয করেছিলেন। উনার জীবনের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াতে খুবই অনুরাগ ছিল। নির্ভরযোগ্যসূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি ইমাম আসিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি সাত জন ক্বারীর অন্যতম ছিলেন, উনার কাছ থেকে ইলমে ক্বিরায়াত শিক্ষা লাভ করেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত তীক্ষè প্রতিভা ও স্মৃতিশক্তির সাথে সুন্দর, আকর্ষনীয় চেহারা মুবারকের অধিকারী ছিলেন। উনাকে দেখামাত্রই দৃষ্টিপাতকারীদের দৃষ্টি উনার প্রতি নিবদ্ধ হতো। ইলমে হাদীছ, তাফসীর, ফিক্বাহ, কালাম, বালাগাত, ফাসাহাত, মানতিক, সাহিত্য ও কবিতাসহ ইলমের প্রতিটি শাখায় বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। শৈশবকাল থেকেই ইলমে লাদুন্নীর পূর্ণ অধিকারী ছিলেন তিনি।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭