সম্মানিত পাঠক সমাজ! এরপর মুর্হরম, মার্চ-এপ্রিল সংখ্যায় আলাউদ্দিন লিখেছে, “পরবর্তী সময়ে কিন্তু দ্বীনে ইলাহীর কনসেপ্ট ধূর্ত মৌঃ ইসমাঈল ও সৈয়দ আহমদ বেরেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) লুফে নেয়। তারা দ্বীনে ইলাহীর আদলে ভারতবর্ষে তরীক্বায়ে মুহম্মদীয়া বা আওর মুহম্মদীয়া তরীক্বা নামক নতুন এক তরীক্বা ইজতিহাদ করে তরীক্বত পন্থীদের মাঝে এর প্রচারণা শুরু করে।” এ ধরণের লিখনীর জবাব আমি আগেই দিয়েছি। আমি বার বার বলেছি, এখনও বলছি, মাদ্রাসার সিলেবাস ভিত্তিক কিছু নির্দিষ্ট কিতাব ছাড়া মনে হয় তার ঝুঁলিতে আর কিছুই নেই। তরিক্বায়ে মুহম্মদীয়ার প্রচার-প্রসার হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বহু আগে থেকে ভারতবর্ষে চালুছিল। তাদের মুরুব্বীদের লিখিত কিতাব হতেই এর প্রমাণ মেলে। সাইয়্যিদ আতাহার রেজভী ছাহেব “হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ ও সমকালীন রাজনীতি” কিতাবে ভারতবর্ষে তরীক্বায়ে মুহম্মদীয়ার প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন বুযূর্গের নাম উল্লেখ করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন, হযরত মীর্জা মাযহার জানজানান শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। এমনকি তিনি তাঁর এ কিতাবে তরিক্বায়ে মুহম্মদীয়া সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র পরিচ্ছদ রেখে তাতে এ তরীক্বার বিস্তৃত আলোচনা ও প্রশংসা করেছেন। কাজেই পড়াশুনা না করে মূর্খের মত কথা বললে পরাজয়ের গ্লানী বয়ে বেড়ানো ব্যতীত কোন গত্যন্তর থাকে কি? এরপর ৪৯-৫০ পৃষ্ঠায় সে লিখেছে, “হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা নাকি জেনে শুনে একটি ভন্ড ও ভেজাল তরীক্বার (আওর মুহম্মদীয়া তরীক্বার) মিথ্যা বন্দনা গাইতে গিয়ে …… শ্রেষ্ঠ ইমাম-মাশায়েখদের ছোট ও অপমানিত করেছেন।” পাঠকবর্গ! প্রত্যেকটি মশহুর তরীক্বাই মর্যাদাসম্পন্ন এবং বারগাহে ইলাহীতে কবুল ও মকবুল যোগ্য। যেমন, প্রত্যেক তরীক্বার ইমামগণ তাদের স্ব স্ব তরীক্বার প্রশংসা করেছেন। মর্যাদার দিক দিয়ে কেউ কারো থেকে কম নন। কিন্তু সাত’শ হিজরীতে হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তরীক্বতের ময়দানে এসে এক ভিন্নতর সংস্কার সাধন করেন। তিনি অন্যান্য তরীক্বাগুলোর মাঝে তাঁর নিজের নক্শবন্দীয়া তরীক্বার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেন। তাঁর তরীক্বার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে স্বয়ং তিনি বলেন, “ইনদিরাজুন্ নিহায়েত ফিল বিদ্য়াত। অর্থাৎ শেষ বস্তু প্রারম্ভে প্রবেশ করানো।” এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন, সকল তরীক্বাগুলোর শেষে যে নিয়ামত হাছিল হবে তাঁর তরীক্বার প্রথমেই তা হাছিল হবে। (সুবহানাল্লাহ্)
পরবর্তীতে দ্বিতীয় সহস্রাব্দীর মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিও একই কথা বলেছেন। এ তরীক্বার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে রাশহাত হাজিরাতুল কুদ্স, রওজাতুল কাইয়্যূমিয়া,মকতুবাত শরীফ, হালাতে মাশায়েখে নক্শবন্দীয়া প্রভৃতি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। এ তরীক্বার মাশায়েখগণ অধিক সুন্নতের পাবন্দ বলে এ তরীক্বার বুযূর্গী অন্যান্য তরীক্বার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর বিশেষতঃ এ তরীক্বা হযরত ছিদ্দীকে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ছিনা মুবারক থেকে এসেছে। অথচ অন্যান্য প্রায় সকল তরীক্বাই হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সাথে সম্পৃক্ত। কাজেই হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি যদি তাঁর তরীক্বাকে সকল তরীক্বার চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলেন এবং এজন্য কতক নাদান যদি বলে, তিনি নিজের বুযূর্গীর জন্য অন্যান্য তরীক্বাকে হেয় ও খাঁটো করেছেন তবে তার চেয়ে অধিক নিকৃষ্ট, কমবখত, নাদান আর কে হতে পারে? এরপর উক্ত পত্রিকায় হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সুন্নত অনুসরণকে কটাক্ষ করে সে সুন্নতী জামে মসজিদ, সুন্নতী কাঠের কাপে বিদ্য়াতী তরীক্বায় চা পান ইত্যাদি অনেক কথা লিখেছে। সবশেষে তার বক্তব্য হলো, তাহলে বিধবা বিবাহের মত এত বড় সুন্নতটি তিনি কেন পালন করছেন না? সম্মানিত পাঠক সমাজ! প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় অন্য আর একজন স্ত্রী গ্রহণ করা সম্পূর্ণরূপে সুন্নতের খিলাফ। যেমন, সাইয়্যিদুল বাশার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রা স্ত্রী হযরত খাদিজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীনকে গ্রহণ করেননি। তাঁর যত শাদী মুবারক হয়েছে সব হযরত খাদিজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর ওফাতের পর। হাদীস শরীফে কুমারী মেয়েকে বিবাহ্ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে; বিধবাকে বিবাহ্ করার জন্য নয়। এবং আরো বর্ণিত হয়েছে, ‘খইরুল উমুয়ে আওসাতু হা- অর্থাৎ এখানে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।’ তাছাড়া ক্বওলী হাদীস শরীফ ও ফে’লী হাদীস শরীফের মধ্যে ক্বওলী হাদীস শরীফকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এটাই শরীয়তের নির্দেশ। যেমন, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি যার উছীলায় এক কোটিরও বেশী লোক ঈমান পেয়েছে, তিনি প্রথম জীবনে বিবাহ্ করেননি। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক বিশেষ নির্দেশ পেয়ে পর পর দু’টি বিবাহ্ করেছেন। এখানে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশই হচ্ছে শরীয়ত। এছাড়া হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা কুমারী মেয়ে বিয়ে কর। কেননা কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের আধিক্য দ্বারা অন্যান্য আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালামগণের মাঝে আমি ফখর করবো। কাজেই কুমারী মেয়েকেই বিয়ে করা উম্মতের জন্য খাছ সুন্নত। আমরা আল্লাহ্ পাক-এর নিকট সর্বাবস্থায় দোয়া করি আল্লাহ্ পাক যেন আমাদেরকে তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল সুন্নত আমল করার আমাদের তাওফিক দান করেন। যেমন, হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি তাঁর ছহীহ্ বুখারীর ২য় খন্ডের ৭৫৭-৭৫৮ পৃষ্ঠায় কিতাবুন নিকাহ্ অধ্যায়ের প্রথম বিবাহ্রে যে দীর্ঘ হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছেন তার শেষ অংশ হচ্ছে, “ফা মার রাগিবা আন সুন্নতী ফালাইসা মিন্নী” অর্থাৎ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যারা আমার সুন্নতের প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করে তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।” দুনিয়া জোড়া ইমাম-মুজতাহিদ, মুহাদ্দিস, মুফাস্সির সকলেই জানেন, হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি অবিবাহিত অবস্থাতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাহলে আমরা কি এ কথা বলবো যে, তিনি বিবাহ্ না করার কারণে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত থেকে খারিজ হয়ে গেছেন। (নাউযুবিল্লাহ্) এ ঘটনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিয়ে না করেও শরীয়তের সীমার মধ্যে ছিলেন। তাজদীদ ও দ্বীনের দাওয়াতের মধ্যে ব্যস্ত থাকার দরুণ তিনি বিয়ে করার সময় পর্যন্ত পাননি। ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, মুজাদ্দিদুয্ যামান রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যে বে-মেছাল সুন্নতের অনুসরণকারী তা আজ সকলের জানা হয়ে গেছে। তাঁর চলাফেরা, কথাবার্তা, উঠাবসা, ইবাদত-বন্দেগী, খাওয়া-দাওয়া, দর্স-তাদ্রীস মোয়ামেলাত-মোয়াশেরাত অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তে তিনি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত অনুসরণ করার কোশেশ করেন । কেউ যদি হিংসা-বিদ্বেষ হীনমন্যতা পরিত্যাগ করে পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ, হাদীস শরীফ এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপর এর লিখিত নির্ভরযোগ্য ও বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করতঃ সামান্য কয়েক দিন হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ছোহ্বত ইখতিয়ার করে; তাহলে অবশ্য অবশ্যই তাকে একথার স্বীকৃতি দিতে হবে যে, সত্যিই তিনি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ-অনুকরণে এক অসাধারণ, বে-মেছাল মর্যাদা সম্পন্ন মহান ওলী। এরপর ৫১ পৃষ্ঠায় আলাউদ্দীন ওরফে বালাউদ্দীন বাইয়্যিনাত-এর ৬০তম সংখ্যার ৪৩ পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি দিয়ে লক্বব সম্পর্কে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর শ্রদ্ধেয় শ্বশুর হযরত মাওলানা মুহম্মদ রুকুনুদ্দীন ছাহেবের বক্তব্যের মাঝখান থেকে এই বক্তব্য তুলে দিয়েছে, “ ….. জাহিরান এগুলি অহংকার বুঝায় তবে অহংকার দিলের ….. এ সমস্ত তাঁর মুরীদানরা দেয়।” পাঠক সমাজ! স্বভাবতই এই কথাগুলো পড়লে মনে হয় তিনি বুঝি হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে ওলী জানেন না এবং অহংকারী মনে করেন। পাঠক সমাজ! অথচ দেখুন, ঐ ৪৩ পৃষ্ঠায় পাশাপাশি এ কথাগুলোও লিখা রয়েছে, “আমি যখন তাঁকে পড়াই তখন তাঁর আখলাক খুবই ভালো ছিলো বলে লোকের নিকট বলতাম যে, এখন যদি আমি মারা যাই আর আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি দুনিয়াতে কি করে এসেছ? তখন আমি বলবো, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেবকে পড়াইয়া এসেছি।” (সুবহানাল্লাহ্) উক্ত পৃষ্ঠায় আরো লিখা রয়েছে- “তার আমল-আখলাক, ইবাদত-বন্দেগী, মোয়ামেলাত-মোয়াশিরাত প্রত্যেকটি দেখলে লোক এই কথাই বলবে যে, ইহাই সুন্নত।” সম্মানিত পাঠকবর্গ! একজন উস্তাদ তাঁর ছাত্রের প্রতি কতটুকু সন্তুষ্ট ও রাজী থাকলে এ কথাগুলো বলতে পারেন তা সহজেই অনুমেয়। এই মুহূর্তে চিশ্তীয়া খান্দানের চেরাগ হযরত খাজা উছমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর একটি উক্তি আমার মনে পড়ছে, তিনি বলেছেন, “কাল ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্ পাক যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি আমার জন্য কি নিয়ে এসেছে? আমি বলবো, আয় আল্লাহ্ পাক! হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে নিয়ে এসেছি।” কিন্তু শত আফসুস্! আলাউদ্দীনের জন্য, সে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে মানুষের সামনে খাঁটো করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সে ইহুদীদের গর্তে ঢুকে পড়েছে। কারণ, ইহুদীদের স্বভাব হচ্ছে, বাক্য, শব্দ, অর্থের পরিবর্তন করা। অতিরিক্ত কিছু সংযোজন করা এবং মাঝখান থেকে তুলে দিয়ে বিভ্রান্তি পয়দা করা।
যেমন, ২০০১ ঈসায়ী সংখ্যায় সম্পাদক জালালুদ্দীন আল কাদেরী ইসলামী বিশ্বকোষের দোহাই দিয়ে আহমদ রেযা খান ছাহেবের নামের আগে ইমাম শব্দ সাত বার, রহমতুল্লাহি আলাইহি শব্দ সাত বার, মাওলানা শব্দ চার বার, আলা শব্দ তিন বার এবং হযরত শব্দটি তিন বার অতিরিক্ত জুড়ে দিয়ে তিনিও ইহুদীদের কাতারে চলে গিয়েছেন। রেজভীরা কি সূরা মায়েদার ১৩ নং আয়াত শরীফ পাঠ করেনা? যাতে বর্ণিত হয়েছে, “তারা কালামকে তার স্থান থেকে বিচ্যূত করে দেয়।” সূরা বাক্বারার ৭৫ নং আয়াত শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে, “তাদের মধ্যে একদল ছিলো যারা আল্লাহ্ পাক-এর বাণী শ্রবণ করতো অতঃপর বুঝে-শুনে পরিবর্তন করে দিতো এবং তারা তা অবগত ছিলো।”
অতএব, কোরআনী ফরমান অনুযায়ী কতক রেজভীরা ‘ইহুদী গ্রুপের’ বলে প্রমাণিত হলো। অতঃপর মে/২০০১ ঈসায়ী সংখ্যাতে রেজভী মুখপত্রের সম্পাদক জালালুদ্দীন ছাহেব নিজেই প্রমাণ করলেন যে, তিনি ইহুদী। কাজেই ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের কিভাবে আপোষ হতে পারে? পাঠক সমাজ! এরপর দেখুন ৫০ পৃষ্ঠায় সে লিখেছে, “হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মাদ্রাসার নাম মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ, নাকি মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর নামে রাখা হয়েছে।”
এর জবাবে বলতে হয় যে, তবে তো সৈয়দ আহমদ শাহ্ ছিরিকোটির মাদ্রাসা জামিয়া আহমদীয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নাম অনুসারে রাখা হয়েছে এবং জামিয়া আহমদীয়া মাদ্রাসা হচ্ছে বাংলাদেশের কাদিয়ানীদের প্রাণকেন্দ্র এবং সেখান থেকে যারা পাশ করে বের হয় তারা কাদিয়ানী হয়ে বের হয়। সিরিকোটি শাহ্ কি তাহলে গুপ্তভাবে বাংলার মুলূকে কাদিয়ানীদের বীজ বপন করে গেলেন?
পরিশেষে এই বিস্তৃত লিখা থেকে বুঝা গেল, আসলেই মাদ্রাসা পড়ুয়া স, আ, ত, ম আলাউদ্দীন একটা নিরেট মূর্খ, নাদান, বেয়াদব, আহমক। আর তার আহম্মকী নাদানীর ধুম্রজালে আবদ্ধ গোটা রেজভী গ্রুপ। (চলবে)
-মুহম্মদ শফিকুল আলম, মতিঝিল, ঢাকা।
ইলমে আকলিয়ার দৈন্য এবং বিলায়েতের অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত আলিমে দ্বীন তৈরি হচ্ছে না।