“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সি.আই.এ-এর চর রূপে – ৫

সংখ্যা: ১০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “সমস্ত কাফিরদের ধর্ম এক।” দৃশ্যতঃ কেউ কেউ পুঁজিবাদী আমেরিকা আর সমাজতন্ত্রী রাশিয়াকে পরস্পর ভিন্নধর্মী বলে মনে করেন। কিন্তু এ ফারাক কেবল বিষয়গত। কৌশলগত ক্ষেত্রে দু’জনের চরিত্রই এক ও অভিন্ন।

সমাজতন্ত্রী রাশিয়ার আফগান অন্তর্ভুক্তিকালে আমরা দেখেছি একের পর এক একান্ত ফরমাবরদার শাসককেও প্রয়োজন ফুরালে ওদের নতুন স্বার্থ ও কৌশলগত কারণে মুহূর্তের নিমিষে বাথরূমের ন্যাপকিনের মত ছিটকে ফেলেছে।

এক সময়ের প্রিয়ভাজন তালেবানের প্রতি আমেরিকার বর্তমানে দৃশ্যতঃ রুষ্ট হওয়ার পিছনে ঐ একই কৌশলগত কারণ রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহলের মন্তব্য। এদিকে লাদেন এখনও জীবিত রয়েছে। আফগান সীমান্তেই লুকিয়ে আছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে ইত্যকার খবর আসলেও সেদিকে আমেরিকার নজর নেই। বরং বাস্তবে আমেরিকার জন্য চরম লজ্জাকর এবং কার্যতঃ অসম্ভব হলেও আমেরিকা দৃশ্যতঃ এটাই দেখাচ্ছে যে, তার এবং তার মিত্রদের সকল জনশক্তি, টেকনোলজি, সামরিক শক্তি ধন-সম্পদ সবই নিতান্ত দুর্বল ঐ শক্তিমান (!) লাদেনের কাছে।

যে আমেরিকা প্রায় গোটা বিশ্বকে তার সামরিক শক্তি তথা বাহুবল ও অর্থ বলে করায়ত্ত করতে প্রচেষ্ট, যে আমেরিকা স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শীর্ষে, সেই আমেরিকার পক্ষে লাদেনের মত চুনোপুটিকে ধরার অপারগতা যে তার ইচ্ছাকৃত কানামাছি ভো ভো খেলার শামিল তা বুঝতে একটুও বাকি থাকে না। ওসামার ক্ষেত্রে আমেরিকা সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে কেবলি ঘুর পথে হম্বিতম্বি করতে ব্যস্ত। সম্প্রতি আমেরিকা প্রচার করেছে যে, তারা ওসামার ডি,এন,এ সংগ্রহ করতে উদ্যোগী। আর এই ডি,এন,এ প্রযুক্তি দিয়ে তারা নিশ্চিত হবে যে, ওসামা মারা গেছে অথবা বেঁচে আছে।   মূলতঃ এটিও যে বাকপটু আমেরিকার কৌশলগত প্রচারণা তাও বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইতোমধ্যে খবরে প্রকাশ যে, টুইন টাওয়ার হামলা আফগান আক্রমনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে ভূয়া সংবাদ পরিবেশনের উদ্দেশ্যে পেন্টাগনে ‘ষ্ট্রাটেজিক ইনফ্লুয়েন্স’ নামে একটি বিশেষ অফিস খোলা হয়েছিলো। এরপর অফিসটির উদ্দেশ্যর খবর জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার কারণে পেন্টাগন ঐ অফিসটি বন্ধ করে দেয়। এক সংবাদ সম্মেলনে রামসফেল্ড পেন্টাগনের এই বিশেষ উইংটি বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানান। এ সময় এই উইং সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিব্রতকর জিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ রামসফেল্ড তাদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, কি চান আপনারা, রক্ত?

পেন্টাগন কর্মকর্তারা জানান, অফিসটির নানা বিতর্কিত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিলো। বিতর্কিত উপায়গুলোর মধ্যে ছিলো ভুল তথ্য ব্যবহার ও বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে ভুয়া খবর পরিবেশন করা। সংবাদ সম্মেলনে রামসফেল্ড বলেন, নানা সমালোচনা, আলোচনা ও বিতর্কের কারণে অফিসটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে তিনি বলেন, অতীতেও এ ধরণের কাজ হয়েছে। প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে এ ধরণের কৌশল গ্রহণ করা হয় বলে তিনি জানান।’

বলাবাহুল্য, ওসামাকে টুইন টাওয়ার হামলার হিরো বানানো আমেরিকার এ ধরণেরই একটি প্রচারণা কৌশল। এ প্রচারণার বলেই তারা আফগানে তাদের কৌশলগত হামলা চালিয়েছে। এদিকে গত ১৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ বলেছেন, মার্কিন টুইন টাওয়ারে হামলা পরিচালনাকারী ১৯ জন সন্ত্রাসী বড় জোর আরব বংশোদ্ভূত হতে পারে। কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে যে, এরা  সবাই পশ্চিমা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত ছিলো যা ইসলাম ধর্ম পরিপন্থী। মোশারফ আরো বলেন, এ সন্ত্রাসীরা গার্লফ্রেন্ড, মদ এবং নাইট ক্লাবে অভ্যস্ত ছিলো। তার মতে ১’শ জন আল কায়েদা হত্যা করলেই সন্ত্রাস নির্মূল হবেনা। শুধু পাতাগুলো ধ্বংস হবে। কিন্তু সন্ত্রাস জন্মদানের গাছ ঠিকই রয়ে যাবে।     মূলতঃ সন্ত্রাসের জনক আমেরিকা তথা তার ইহুদী শক্তি। তারাই সন্ত্রাসের হোতা। তারা সকল নীল নকশাঁর নেপথ্য শক্তি ও যোগানদাতা। ওসামা তথা তালেবান তাদের ব্যবহৃত ঘুটি মাত্র।   তবে একথা মনে রাখতে হবে যে, ওসামা আমেরিকার সি.আই.এ এর একান্ত এজেন্ট হলেও সি.আই.এ তার নিজস্ব প্রয়োজনেই ওসামাকে বাঁচিয়ে রাখবে অথবা নিজস্ব প্রয়োজন ফুরালেই বা ভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই সমাজতন্ত্রী রাশিয়ার কৌশলেই তাকে বাথরুমের ন্যাপকিনের মত পরিতাজ্য করবে বা হত্যা করবে।  য

-মুহম্মদ ওয়ালিউর রহমান, ঢাকা।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)   

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পেছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -৬      

প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দিনের  বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

“মাসিক আল বাইয়্যিনাত”  আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মুখপত্র  (দ্বিতীয় পর্ব)